কাঁথি: পথ দুর্ঘটনায় এক ব্যক্তির মৃত্যুকে ঘিরে রণক্ষেত্রে পরিণত হল গোটা এলাকা। পুলিশের গাড়ি ভাঙচুরের পাশাপশি পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট বৃষ্টিও করে উত্তেজিত জনতা। এই ঘটনায় এক মহিলা সহ ছয়জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে পুলিশের উপর হামলা ও সরকারি কাজে বাধা সহ একাধিক অভিযোগ দায়ের করেছে কাঁথি থানার পুলিশ।
পুলিশ সূত্রের খবর, অভিযুক্তরা হল মদন মাইতি, অয়ন ভট্টাচার্য, প্রদীপ জানা, বিজয় জানা, মনোরঞ্জন প্রধান ও স্ত্রী অনিতা রানী প্রধান। প্রত্যেকের বাড়ি কাঁথি থানার কালতলিয়া এলাকায়। গ্রেফতার মনোরঞ্জন প্রধান ও তার স্ত্রী অনিতা রানী প্রধান এলাকার বিজেপি নেতা তথা পঞ্চায়েত সদস্য উমেশ প্রধানের বাবা ও মা। রবিবার অভিযুক্তদের কাঁথি মহকুমা আদালতে তোলা হয়। বিচারক তাদের জামিন নাকচ করে জেল হেফাজতে থাকার নির্দেশ দেন।
যদিও বর্তমানে এলাকায় উত্তেজনা থাকায় পুলিশি টহল চলছে। বাকি অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ। এর আগে শনিবার রাতভর অভিযান চালিয়ে পুলিশ ৬ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এঘটনায়কাঁথি মহকুমা পুলিশ আধিকারিক সোমনাথ সাহা বলেন, “অভিযান চালিয়ে এক মহিলা সহ ৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুরো ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। বাকি অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি শুরু করা হয়েছে।”
প্রসঙ্গত, শনিবার সকালে বাজার করতে এসে পথ দুর্ঘটনায় এক ব্যক্তির পীযূষ মাইতি (৩৯) মৃত্যুকে ঘিরে রণক্ষেত্র রূপ নিল পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কাঁথি মহিষাগোট এলাকায়। মৃত ব্যক্তির পরিবারের সরকারি চাকরির দাবিতে দিঘা নন্দকুমার ১১৬ বি জাতীয় মহিষাগোট বাসস্ট্যাণ্ড সংলগ্ন এলাকায় রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখায় কয়েক’শ গ্রামবাসী। অবরোধ তুলতে গেলে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট বৃষ্টি শুরু করে। ঘটনায় বেশ কয়েকজন পুলিশ কর্মী রক্তাক্ত জখম হয়েছেন। ভাঙচুর করা হয় একাধিক বাস ও গাড়ি। উত্তেজিত গ্রামবাসীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ লাঠিচার্জ করে।