ক্যানিংয়ে দেখা মিলবে জলে জঙ্গলে ঘেরা সুন্দরবনের ‘প্রাণ ভ্রমরা’

0
72
Museum

সুন্দরবন: বিশ্বের একমাত্র ম্যানগ্রোভ বনভূমি সুন্দরবন, যা ভারতবর্ষের প্রায় ৪২৬৪ বর্গ কিমি জুড়ে অবস্থিত। এখানে বহু ধরনের প্রাণীর সন্ধান মেলে। প্রায় ২৬২৬ প্রজাতির প্রাণী রয়েছে বলে জানা যায়। এবার, জ্যুলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার সুন্দরবন আঞ্চলিক কেন্দ্রের উদ্যোগে স্থানীয় মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে প্রকৃতিকে রক্ষার পদক্ষেপ হিসেবে একটি মিউজিয়াম তৈরি হয়েছে ক্যানিংয়ে। চলতি মাসের তৃতীয় সপ্তাহে সংস্থার ডিরেক্টর ধৃতি বন্দ্যোপাধ্যায় উদ্বোধন করবেন এই মিউজিয়ামের। তারপরেই এটি, স্কুল পড়ুয়া ও সাধারণ মানুষের জন্য খুলে দেওয়া হবে।

আরও পড়ুনঃ অস্থায়ী কর্মীদের বিক্ষোভে বন্ধ জরুরি পরিষেবা, প্রশ্নের মুখে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ

- Advertisement -

সুন্দরবন আঞ্চলিক কেন্দ্রেই তৈরি হয়েছে এই মিউজিয়ামটি। সুন্দরবনে কী ধরনের প্রাণী রয়েছে, অতীতে কী ধরনের প্রাণী ছিল, সে সব বিষয় মিউজিয়ামে তুলে ধরা হয়েছে। সংস্থার সুন্দরবন আঞ্চলিক কেন্দ্রটি ১৯৭৯ সালে কাকদ্বীপে প্রতিষ্ঠিত হলেও বছর পাঁচেক পরে এটি ক্যানিংয়ে স্থানান্তরিত হয়। উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে থাকা সুন্দরবনের প্রাণীজগত্‍ নিয়ে আরও বেশি করে পর্যবেক্ষণের জন্যই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল।

আরও পড়ুনঃ অতিরিক্ত সেলফি তুলছেন, নিজের অজান্তেই ডেকে আনছেন বড়সড় বিপদ

১৯১৬ থেকে ভারতীয় প্রাণী জগত নিয়ে কাজ করছে জ্যুলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়া। ভারতের একটি রাষ্ট্রায়ত্ব সংস্থা। এর সদর দফতর কলকাতায় অবস্থিত। এটি একটি ব্রিটিশ ভারতে প্রতিষ্ঠিত সংস্থা। এই সংস্থাটি ১৯১৬ সালের ১ লা জুলাই প্রতিষ্ঠিত হয় কলকাতায়। এই সংস্থা সুন্দরবন এলাকা থেকে একটি নতুন প্রজাতির কঠিন খোলস যুক্ত জলজ প্রাণী (ক্রাস্টেসিয়ান), ৮টি নতুন প্রজাতির পতঙ্গ (আর্থোপ্টেরান), ১টি সরীসৃপ ও ৮টি নতুন প্রজাতির মাছের উপস্থিতি নথিভুক্ত করেছে। এছাড়াও প্রায় পাঁচশোর বেশি প্রজাতির প্রাণী যা সুন্দরবন এলাকায় পাওয়া যায়, তা এই মিউজিয়ামে প্রদর্শিত হয়েছে।

সংস্থার সুন্দরবন আঞ্চলিক শাখার প্রধান বিজ্ঞানী জেএস যোগেশ কুমার বলেন, “আমাদের ডিরেক্টরের নির্দেশে সুন্দরবনের প্রাণীবৈচিত্র সম্পর্কে জানার জন্য এটি তৈরির উদ্যোগ করা হয়েছে।” তিনি আরও বলেন, ‘২০২১ সালে ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজ়ারভেশন অফ নেচার সুন্দরবনকে বিপন্ন ইকো সিস্টেম হিসেবে ঘোষণা করেছে। ইতিমধ্যেই সুন্দরবন বায়োস্ফিয়ার রিজার্ভ থেকে বেশ কিছু স্তন্যপায়ী প্রাণী এবং অন্যান্য প্রজাতির প্রাণী বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছে। মিউজিয়ামে সুন্দরবনের কিছু বিলুপ্তপ্রায় প্রাণীর কঙ্কাল, যেমন জাভান গন্ডার, বুনো মহিষ, জলা হরিণ ইত্যাদির দেহাবশেষ থাকছে। থাকছে সরীসৃপের দেহাবশেষ।”