থানার পুলিশ ও তৃণমূলের আশ্রিত দুষ্কৃতীরা একসঙ্গে কাজ করে, দাবি বিজেপি নেতার

0
82

ভগবানপুর: থানার রক্ষক মানে পুলিশরা আর সাধারণের রক্ষক নেই। সবাই এখন তৃণমূলের হয়ে কাজ করেন এমনটাই দাবি করেছেন ভগবানপুরে বিজেপি নেতা। সবটাই এখন তৃণমূলের দলীয় অফিসে পরিনত হয়েছে বলেই আক্রমণ করেছেন তিনি। ঘটনার সূত্রপাত তৃণমূল কর্মীকে বেধড়ক মারধর ও বাইক ছিনতাই নিয়ে। সেই ঘটনার পরেই তৃণমূল কর্মীর অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত বিজেপি কর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাতেই ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন বিজেপি নেতা।

চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ভগবানপুর বিধানসভায় মহম্মদপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। ভগবানপুর থানার পুলিশ জানিয়েছে তৃণমূল কর্মীকে বেধড়ক মারধর ও বাইক ছিনতাইয়ের ঘটনায় অভিযুক্ত হলেন যুবক শচীন্দ্রনাথ মণ্ডল। তাঁর বাড়ি ভগবানপুর থানার মহম্মদপুর গ্রামে। গ্রেফতার করার পর রবিবার অভিযুক্তকে কাঁথি মহকুমা আদালতে তোলা হয়। বিজেপি কর্মীর গ্রেফতার ঘিরে তৃণমূল ও বিজেপির মধ্যে রাজনৈতিক চাপানউতোর শুরু হয়েছে।

- Advertisement -

আরও পড়ুন- বেশি ভাড়া নেওয়া যাবে না, নিলেই পারমিট বাতিলের হুঁশিয়ারি রাজ্যের

অভিযোগ রয়েছে, গত কয়েকদিন আগে ভগবানপুরে মহম্মদপুর তৃণমূল কর্মী মানস দলপতি উপর চড়াও হয় বিজেপি কর্মীশচীন্দ্রনাথ সহ তার দলবল। এমনটাই জানা গিয়েছে। অভিযুক্ত বিজেপি কর্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, সে তৃণমূল কর্মী মানস দলপতিকে কাঠের বাটাম দিয়ে বেধড়ক মারধর করে এবং সঙ্গে থাকা বাইক ছিনতাই করে চম্পট দেয়। রক্তাক্ত জখম হয় তৃণমূল কর্মীকে উদ্ধার করে ভগবানপুর গ্রামীন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সুস্থ হয়ে গত ২৬ জুন তৃণমূল কর্মী মানস দলপতি ভগবানপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ পেয়েই দ্রুত তদন্তে নামে পুলিশ।

থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে খবর পেয়েই অভিযুক্ত শচীন্দ্রনাথ সহ তার দলবল এলাকা ছেড়ে অন্য জায়গায় আত্মগোপন করে বলেই জানা গিয়েছিল। তবে শেষ রক্ষা হয়নি। ভগবানপুর থানার ওসি নাড়ুগোপাল বিশ্বাস জানিয়েছেন, “অভিযোগের ভিত্তিতে ওই যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুরো ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। ঘটনায় বাকী অভিযুক্তদের ধরতে জোরদার তল্লাশি শুরু করা হয়েছে।” শনিবার গোপন সূত্রের খবর পেয়ে ভগবানপুর থানার পুলিশ ভগবানপুরে নিমতলা বাজার থেকে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে।

আরও পড়ুন- জন্মদিনে বিশেষ জনের শুভেচ্ছাবার্তা পেয়ে আবেগে ডগমগ দিলীপ ঘোষ

এই গ্রেফতার নিয়েই কটাক্ষ করেছেন ওই এলাকার বিজেপি নেতারা। গ্রেফতারি নিয়ে এলাকার বিজেপি নেতা দেবব্রত কর বলেন “ভগবানপুর থানার পুলিশ ও তৃণমূলের আশ্রিত দুষ্কৃতীরা একসঙ্গে কাজ করছেন। এখন ভগবানপুর থানা নেই, তৃণমূলের দলীয় অফিসে পরিণত হয়েছে। তৃণমূলে হার্মাদ বাহিনীরা বিজেপি কর্মীদের মারধর করে পুলিশের হাতে তুলে দিচ্ছে। আর মিথ্যা মামলা দিয়ে পুলিশ বিজেপি কর্মীদের গ্রেফতার করছে।”

তবে বিজেপি নেতার এই কথা মানতে নারাজ তৃণমূল নেতৃত্বরা। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার তৃণমূল কংগ্রেসের কো-অডিনেটর নেতা মামুদ হোসেন এই প্রসঙ্গে বিজেপিকে পাল্টা আক্রমণ করেছেন। বলেছেন, “রাজ্যে ক্ষমতায় আসতে না পেরে বিজেপি এলাকায় সন্ত্রাস সৃষ্টি করছে। সিপিএমের কিছু হার্মাদ বাহিনী বিজেপি হয়ে এলাকায় দখলের রাজনীতি শুরু করেছে। আইন আইনের পথে চলবে। এইসব করে বেশিদিন চলতে পারেনা।”