করোনা ঠেকাতে অভিনব পন্থা বাংলার গ্রামে

0
173

পুরুলিয়া ও তুফানগঞ্জ: করোনা ভাইরাসের মোকাবিলা করতে মঙ্গলবার রাতে দেশ জুড়ে লকডাউন ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী। রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে আগেই ৩১ মার্চ পর্যন্ত লকডাউন ঘোষণা করা হয়। সেই সরকারি নির্দেশিকা অমান্য করে বহু মানুষকে রাস্তায় দেখা গিয়েছে। পুলিশকেও দেখা গিয়েছে সেই সকল ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে।

এই লকডাউন অমান্য করা বা পুলিশের লাঠির ঘা দেওয়া সবই সাধারণত দেখা গিয়েছে শহর বা সংলগ্ন এলাকায়। এই সবের মাঝে একটু ভিন্ন ছবি দেখা গেল পশ্চিমবঙ্গের একাধিক গ্রামে। যেখানে গ্রামবাসীরা করোনা মোকাবিলায় নিয়েছেন অভিনব পন্থা। গ্রামের ঢোকার রাস্তার মুখ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। খুব স্পষ্টভাবে লিখে দেওয়া হয়েছে, “গ্রামে প্রবেশ নিষেধ।”

- Advertisement -

এমনই ছবি দেখা গিয়েছে পুরুলিয়ার এক গ্রামে। সেই সঙ্গে ওই জেলারই অন্য গ্রামে দেখা গিয়েছে একই ছবি। গাছের ডাল এবং নুড়ি-পাথর দিয়ে আটকানো হয়েছে রাস্তা। সেই সঙ্গে পোস্টারে লিখে দেওয়া হয়েছে, “করোনা রুখতে সাহায্য করুন। গ্রামে প্রবেশ করবেন না।” ওই একই জায়গায় করোনা দূর করে সুস্থা থাকার বার্তাও দেওয়া হয়েছে পথ আটকে লাগানো পোস্টারে।

একই প্রকারের ছবি দেখা গিয়েছে জলপাইগুড়ির তুফানগঞ্জ এলাকায়। গ্রামে যাতে করোনা ভাইরাস প্রবেশ করতে না পারে সেজন্য গ্রামের প্রধান রাস্তা আটকে দিল তুফানগঞ্জের দেওচড়াই গ্রাম পঞ্চায়েতের নেপালের খাতা গ্রামের বাসিন্দারা। মঙ্গলবার করোনা থেকে মুক্তি পেতে স্থানীয় সংগ্রামী সংঘের সদস্যরা এই পদক্ষেপ নেয়। পাশাপাশি সদস্যরা লক ডাউন নিয়ে সাধারণ মানুষদের বোঝানো ও বাইরে না বেরোনোর পরামর্শও দেন।

করোনা ভাইরাস এই মুহূর্তে দ্বিতীয় পর্যায়ে রয়েছে। ভিনদেশ থেকে আগত ব্যক্তিদের শরীর থেকেই ছড়াচ্ছে এই রোগ। এই করোনা যাতে তৃতীয় স্তরে না যায় সেই কারণে প্রতিরোধ গড়ে তোলা হচ্ছে। সেই লক্ষ্যেই বাতিল করে দেওয়া হয়েছে আন্তর্জাতিক বিমান পরিষেবা। সকল প্রকারের ট্রেনও বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। যাতে কোনও ব্যক্তি অন্য দেশ বা রাজ্য থেকে প্রবেশ করতে না পারে।

এই প্রতিকূল পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে বাংলার বিভিন্ন প্রান্তের গ্রামবাসীরাও প্রায় একই পন্থা নিয়েছেন। নিজেদের গ্রামে বহিরাগতদের প্রবেশাধিকার সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ করে দিয়েছেন।