বাড়ছে অ্যাডিনো ভাইরাসের প্রকোপ, জেলার হাসপাতালে রোগীদের উপচে পড়া ভিড়

0
184

তিমিরকান্তি পতি, বাঁকুড়া: চলতি আবহাওয়া পরিবর্তনের সময়কালে রাজ্য জুড়ে অ্যাডিনো ভাইরাসের আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমবর্দ্ধমান। দক্ষিণের জেলা বাঁকুড়াও তার ব্যতিক্রম নয়। মূলতঃ শূন্য থেকে পাঁচ বছর বয়সী শিশুরাই এই ভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের পক্ষ থেকে পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে বলে খবর।

স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, অ্যাডিনো ভাইরাস একটি ডিএনএ ভাইরাস। সর্দি-কাশি-হাঁচির মাধ্যমে একজন মানুষ থেকে অন্য মানুষের দেহে প্রবেশ করে। অ্যাডিনো ভাইরাস সংক্রিমতদের মধ্যে সর্দি, কাশি, হাঁচি, জ্বর, গলাব্যাথার উপসর্গের পাশাপাশি শ্বাসকষ্ট হতে পারে। প্রবল শ্বাসকষ্ট হলে সংশ্লিষ্ট রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি করা জরুরি।

- Advertisement -

বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল সূত্রে খবর, সর্দি, কাশী, জ্বরের উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে আউটডোরে রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। নতুন করে ৮ জন সহ এই মুহূর্তে অ্যাডিনো ভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে মোট ৭০ জন রোগী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। তবে শেষ পাওয়া খবর পর্যন্ত কোন রোগীকেই ভেন্টিলেশনে রাখার প্রয়োজন হয়নি।

এবিষয়ে বাঁকুড়ার ডেপুটি সিএমওএইচ-৩ ডাঃ সজল বিশ্বাস বলেন, ‘‘এই মুহূর্তে মাস্ক পরা জরুরি৷ অ্যাডিনোভাইরাস যেহেতু ‘ছোঁয়াচে’ তাই জ্বর, সর্দির উপসর্গ থাকলে শিশুদের ওই ক’টা দিন স্কুলে না পাঠানোই ভালো।’’ যেহেতু শিশুদেরই এই রোগে আক্রান্তের সম্ভাবনা বেশী তাই তাদের ক্ষেত্রে যথাসম্ভব সতর্কতা অবলম্বন জরুরী বলে তিনি জানান।

বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের অধ্যক্ষ ডাঃ পঞ্চানন কুণ্ডু আবহাওয়া পরিবর্তনের এই সময়কালে শিশু ও বড়দের প্রত্যেকের ক্ষেত্রেই সাবধানতা অবলম্বন জরুরি বলে জানান। তিনি বলেন, অ্যাডিনো ভাইরাসে মূলতঃ শিশুরাই বেশী আক্রান্ত হচ্ছে। তবে বড়দের মাধ্যমে শিশুরা আক্রান্ত হতে পারে। তাই বড়রা আক্রান্ত হলে শিশুদের থেকে যেমন দূরত্বে থাকতে হবে, তেমনি শিশুদের ক্ষেত্রে এই ঘটনা ঘটলে তাকেও সবার থেকে আলাদা রাখতে হবে। তবে একাধিক রোগীর জন্য অক্সিজেনের ব্যবস্থা করতে হলেও এই মুহূর্তে কোন রোগীর পরিস্থিতি আশঙ্কাজনক নয় বলেই তিনি জানিয়েছেন।

আরও পড়ুন: বিশ্রাম নিচ্ছিলেন সাত পরিযায়ী শ্রমিক, পিষে দিল ডাম্পারের চাকা