মোকার দাপটে বাংলাদেশে ভূমিধসের আশঙ্কা, বাংলার কোথায় কতটা প্রভাব- রইল বিস্তারিত

0
123

খাস প্রতিবেদন: আর কিছুক্ষণের মধ্যেই বাংলাদেশ উপকূলে আছড়ে পড়বে ঘূর্ণিঝড় মোকা। ইতিমধ্যে তার দাপটে ক্ষতির সন্মুখীন হতে শুরু করেছে বাংলাদেশের কক্সবাজার, টেকনাফ, সেন্ট মার্টিন এবং উপকূলীয় এলাকাগুলি৷ ঘণ্টায় ১৯০ থেকে ২০০ কিলোমিটার বেগে ধেয়ে আসছে মোকা। তবে ল্যান্ডফলের আগে গতিবেগ কমবে বলেই মনে করছেন আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা৷ পরিস্থিতির গুরুত্ব বিচার করে বাংলাদেশের তিনটি সমুদ্রবন্দর এবং ১২টি জেলার জন্য মহাবিপদের সঙ্কেত দিয়ে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করেছে হাওয়া অফিস।

আরও পড়ুন: বিশ্ব উষ্ণায়ন নিয়ে সচেতন করতে অভিনব পন্থা গ্রামবাসীদের

- Advertisement -

অন্যদিকে প্রত্যক্ষভাবে মোকার প্রভাব পড়তে শুরু করেছে এই রাজ্যেও৷ মোকার দাপটে শনিবার সন্ধ্যে থেকে বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে দুই চব্বিশ পরগণা, দুই মেদিনীপুর, কলকাতার একাংশে৷ আজ রবিবারও সংশ্লিষ্ট জেলাগুলিতে বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টির সম্ভবনা রয়েছে৷ বৃষ্টিপাতের সম্ভবনা রয়েছে উত্তরবঙ্গেও৷ তবে সোমবার থেকে দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলা ফের তাপপ্রবাহের মুখোমুখি হতে পারে বলেই জানিয়েছেন আলিপুর আবহাওয়া দফতরের আঞ্চলিক অধিকর্তা জি কে দাস৷ হাওয়া অফিস সূত্রের খবর, সোমবার থেকে দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় ৩ থেকে ৫ ডিগ্রি তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেতে পারে৷ ফলে তাপপ্রবাহের সম্ভবনা প্রবল৷ অন্যদিকে ১৭ থেকে ২২ শে মে-এর মধ্যে দক্ষিণবঙ্গের দু এক জায়গায় বজ্রবিদ্যুৎ সহ হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।

আরও পড়ুন: পানীয় জলের হাহাকার, জঙ্গলমহলে পথ অবরোধে মহিলারা, অস্বস্তিতে তৃণমূল

এদিকে শনিবার সন্ধ্যা থেকেই নিজের ‘খেলা’ দেখাতে শুরু করেছে মোকা৷ বা্ংলাদেশের কক্সবাজার, টেকনাফ, সেন্ট মার্টিন এবং উপকূলীয় এলাকাগুলিতে ইতিমধ্যেই মোকার দাপট প্রত্যক্ষ করতে শুরু করেছেন বাসিন্দারা৷ যে কারণে, কক্সবাজার বিমানবন্দর থেকে বিমান চলাচলও বন্ধ রাখা হয়েছে। চট্টগ্রাম, সিলেট এবং বরিশালে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি শুরু হয়েছে৷ এমনকি মোকার দাপটে কক্সবাজার, বান্দারবন, রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি এবং চট্টগ্রাম— এই পাঁচ জেলার পাহাড়ি অঞ্চলে ভূমিধসের সতর্কতাও জারি করেছে হাওয়া অফিস৷ বঙ্গের পাশাপাশি শনি এবং রবিবার ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে ত্রিপুরা ,মিজোরামেও, নাগাল্যান্ড, মণিপুর এবং দক্ষিণ অসমেও৷

আরও পড়ুন: এত বোমা, গুলি আসছে কোথা থেকে- প্রশ্নের মুখে আইনের শাসন