খাস খবর ডেস্ক: আইপিএল এর ১৫ তম আসরে বহু প্রতীক্ষিত মেগা নিলাম ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত হবে। অনেক খেলোয়াড়ই মোটা অঙ্কের দাম পাবেন বলে আশা করা হচ্ছে। তাদের মধ্যে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের পেস বোলাররা রয়েছেন। ভারতের মহম্মদ শামির তার অভিজ্ঞতার পাশাপাশি পাওয়ারপ্লে এবং ডেথ ওভারে দুর্দান্ত বোলিংয়ের কারণে সবচেয়ে বেশি চাহিদা থাকবে। তিনি ছাড়াও এমন অনেক পেসার রয়েছেন যারা ফ্র্যাঞ্চাইজিদের টার্গেটে রয়েছেন। আসুন দেখেনি তাদের নাম-
মহম্মদ শামি: জসপ্রীত বুমরাহের পরে ফর্মে থাকা মহম্মদ শামি ভারতীয় ক্রিকেটের অন্যতম সেরা পেস বোলার। গত তিন মরশুম ধরে তিনি আইপিএলে ধারাবাহিকভাবে ভালো পারফর্ম করে আসছেন। শামি পাওয়ার প্লের পাশাপাশি ডেথ ওভারেও ভালো বোলিং করতে সক্ষম। আইপিএল ২০২০ সালে তিনি সুপার ওভারে মাত্র পাঁচ রান ডিফেন্ড করেছিলেন। নিলামে শামির চাহিদা তুঙ্গে থাকতে পারে।
ট্রেন্ট বোল্ট: নিলামে এবার সকলের নজর থাকবে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের প্রাক্তন পেস বোলার ট্রেন্ট বোল্টের দিকে। আরটিএম কার্ড না থাকায় বোল্টকে অন্য দলের হয়ে খেলতে দেখা যাবে। মুম্বই দলও আবার বোল্টের জন্য বড় বিড করতে পারে। জসপ্রীত বুমরাহের সঙ্গে তার বোলিং জুটি আইপিএলের সবচেয়ে বিপজ্জনক। ফলে যে কোনও ফ্রাঞ্চাইজিই চাইবে তাদের দলে বোল্টে মতো বোলার আসুক।
আরও পড়ুন: কোহলিকে নিয়ে মজা করল অস্ট্রেলিয়া, যোগ্য জবাব দিলেন জাফর
জস হ্যাজেলউড: এই অস্ট্রেলিয়ান পেস বোলারকে প্রথম টেস্ট বিশেষজ্ঞ হিসেবে বিবেচনা করা হত। তবে গত কয়েক বছরে নিজেকে সবচেয়ে বিপজ্জনক সীমিত ওভারের বোলার প্রমাণ করেছেন হ্যাজেলউড। গত মরশুমে চেন্নাই সুপার কিংসকে চ্যাম্পিয়ন করতে বড় ভূমিকা পালন করেছিলেন তিনি। হ্যাজেলউডকে একজন চতুর বোলার হিসেবে বিবেচনা করা হয়। একই লাইনে একটানা বল করে যেতে পারেন।
আরও পড়ুন: চোরাচালান রুখতে ফের সীমান্তে BSF-এর গুলি, জখম এক বাংলাদেশি
কাগিসো রাবাডা: দক্ষিণ আফ্রিকার তারকা পেস বোলার কাগিসো রাবাডা পাওয়ারপ্লে এবং ডেথ বোলার বিশেষজ্ঞ হিসাবে খ্যাত। নিলামের সময় ফ্র্যাঞ্চাইজিদের মধ্যে লড়াই হতে পারে রাবাডাকে কেনার জন্য। শেষবার দিল্লি ক্যাপিটালস ৪.২ কোটি টাকায় কিনেছিল, যা এবার নিলামে চার গুণ বেশি পর্যন্ত হয়ে যেতে পারে।
লুঙ্গি এনজিডি: দক্ষিণ আফ্রিকার আরেক তারকা পেস বোলার লুঙ্গি এনজিডিও ভালো আইপিএল চুক্তি পেতে পারেন। এবার চেন্নাই সুপার কিংস দল তাকে ধরে রাখতে পারল না। দুটি নতুন আইপিএল ফ্র্যাঞ্চাইজি লখনউ এবং আহমেদাবাদ আসার পর এনজিডির চাহিদা বাড়তে পারে।