শান্তি রায়চৌধুরী: উসেইন বোল্টের আদর্শকে সামনে রেখে প্রতিটি অথলিটই এগোতে চায়। তার নামটা শুনলেই অ্যাথলিটদের শরীরে বিদ্যুৎ খেলে যায়। কেরালার পাল্লাকাড়ের এই ছেলেটির মনপ্রান ঘিরে রয়েছে কিংবদন্তি বোল্ট। সব স্বপ্ন তাকে ঘিরে। তার জার্সিতে ঘুমতো যায় ছেলেটি।
বুঝতে অসুবিধা হচ্ছে! কে এই ছেলেটি? এই ছেলেটি হচ্ছে মুরলি শঙ্কর। যে এবার কমন ওয়েলথে লংজাম্পে রুপোর পদক পেয়েছে। এবার জেনে নিন কেরালার পালাক্কাড়ে তার বাড়িটি কেমন। মূল ফটকে অলিম্পিকের পাঁচটি রিং। বাড়িতে ঢোকার মুখেই নজরে আসবে। বাড়ির ভেতর সমস্ত দেওয়ালে অলিম্পিকের নানা মুহূর্ত। সেখানে বোল্টের ছবিই প্রাধন্য পেয়েছে। ছোট বেলা থেকেই মুরলির বাড়ির এমন একটা পরিবেশ। তাঁর ছোটবেলার ছোট্ট ছোট্ট কাহিনি গুলো বায়োপিকের অংশ হতেই পারে।
আরও পড়ুন: Stephen Constantine -র প্রিয় ছাত্রকে সই করাল ইস্টবেঙ্গল
মুরলি শ্রীশঙ্করের বাড়িতে রয়েছে খেলাধুলার পরিবেশ। ছোট্টবেলার কোচই ছিলেন তাঁর বাবা এস মুরলি। তিনি নিজেও ট্রিপল জাম্প অ্যাথলিট ছিলেন। সাউথ এশিয়ান গেমসে রুপোর পদকজয়ী অ্যাথলিট। শ্রীশঙ্করের ছোটবেলা থেকেই বাবার সঙ্গ নিতেন। এক সঙ্গে অনুশীলন করতেন। ছোট্ট শ্রীশঙ্করের মধ্যে ভবিষ্যতের স্প্রিন্টার আবিষ্কার করেছিলেন বাবা এস মুরলি। অনূর্ধ্ব ১০ স্তরে ৫০ এবং ১০০ মিটারে রাজ্য চ্যাম্পিয়ন হন শ্রীশঙ্কর। কিন্তু ১৩ বছর বয়সে লং জাম্পে মনোনিবেশ করেন শ্রীশঙ্কর।
আরও পড়ুন: ১০ আগস্ট কি মোহনবাগানের নামের আগে থেকে সরছে ATK
শুধু বাবাই নয় শ্রীশঙ্করের মা কে এস বিজিমোলও একজন সফল ক্রীড়াবিদ। ১৯৯২ এশিয়ান জুনিয়র অ্যাথলেটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপে ৮০০ মিটারে রুপো পেয়েছিলেন। শ্রীশঙ্করের বোনও শ্রীপার্বতী হেপ্টাথলন অ্যাথলিট। একসময় কিংবদন্তি অ্যাথলিট শাইনি উইলসনের সঙ্গে অনুশীলন করতেন শ্রীশঙ্করের মা। সেই শাইনি উইলসনই ২০০৮ বেজিং অলিম্পিক থেকে উসেইন বোল্টের জার্সি এনেছিলেন। সেই জর্সিই ৯ বছরের ছোট্ট শ্রীশঙ্কর তিনি উপহার দিয়েছিলেন । ঘুমিয়ে পড়লে, যদি সেই জর্সি যদি হাতছাড়া হয়ে যায়,সেই ভয়ে শ্রীশঙ্কর সেই জার্সি পরেই ঘুমিয়েছেন। আর তা না হলে জার্সি কাছে নিয়ে ঘুমিয়েছেন!