সাম্প্রদায়িককে তাস করেই নন্দীগ্রামে ভোট বৈতরণি পেরোতে চাইছে শুভেন্দু: সুফিয়ান

0
466

রানা দাস ও সৌমেন শীল, নন্দীগ্রাম: বিজেপির বিরুদ্ধে সাম্প্রদায়িক রাজনীতির অভিযোগ দীর্ঘদিনের। হিন্দু-মুসলিম বিভাজন করে রাজনৈতিক ফায়দা লাভের করে বলে অভিযোগ আছে পদ্ম শিবিরের বিরুদ্ধে। সেই একই অভিযোগ এবার উঠল শুভেন্দু অধিকারীর (suvendu adhikari) বিরুদ্ধে। নন্দীগ্রামের বিজেপি প্রার্থী সাম্প্রদায়িক তাস খেলে ভোটের বৈতরণী পার করতে চাইছেন বলে দাবি করলেন নন্দীগ্রামের তৃণমূল নেতা সেখ সুফিয়ান (sk sufiyan)।

আরও পড়ুন: নন্দীগ্রাম জমি আন্দোলনের সঙ্গে কোনও সম্পর্ক নেই শুভেন্দুর: বিস্ফোরক সুফিয়ান

- Advertisement -

দল বদল করলেও নির্বাচনী কেন্দ্র বদল হয়নি শুভেন্দুর। নিজের কেন্দ্রে নন্দীগ্রাম থেকেই বিজেপির পদ্ম ফুল প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন শুভেন্দু। আর সেই নির্বাচনী প্রচারে বিভিন্ন জায়গায় বক্তব্য রাখতে গিয়েই সাম্প্রদায়িক উসকানি দিচ্ছেন তিনি। এমনই দাবি নন্দীগ্রামের তৃণমূল প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্বাচনী এজেন্ট সেখ সুফিয়ানের। শুভেন্দুর বক্তব্য থেকে বড় সাম্প্রদায়িক হিংসা ঘটতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তিনি।

নিজের প্রাসাদসম বাড়ির নিচে অফিসে বসে ‘খাস খবর’কে সেখ সুফিয়ান বললেন, “শুভেন্দু যে পথে হাঁটছে তাতে, যে কোনও মুহূর্তে দাঙ্গা বেঁধে যেতে পারে। বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলছে হিন্দু মহিলাদের সিঁথিতে সিঁদুর থাকবে না, হাতে শাঁখা থাকবে না, বৈষ্ণবদের গলায় মালা থাকবে না।” সেই সঙ্গে তিনি আরও বলেছেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ১০ বছর সরকার চালাচ্ছেন, এখানে কোথাও কোনও মহিলার হাতের শাঁখা ভাঙেনি, সিঁথির সিঁদুর মোছেনি।”

দল বদল করে গেরুয়া শিবিরে নাম লেখাতেই শুভেন্দু অধিকারী এই প্রকারের সাম্প্রদায়িক রাজনীতি শুরু করেছেন বলে অভিযোগ সুফিয়ানের। কিন্তু এই উপায়ে কখনই মানুষের মন জেতা যাবে না বলে দাবি করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্বাচনী এজেন্ট। তাঁর মতে, “উসকানিমূলক বক্তব্য রেখে সাম্প্রদায়িক হিংসার পরিবেশ সৃষ্টি করছে শুভেন্দু। কিন্তু মানুষ সাম্প্রদায়িক শুভেন্দুকে ভোট দেবে না। এই ধরণের লোকজনকে মানুষ ঘৃণা করে।”

প্রার্থী হিসেবে নাম ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই নিয়মিত নন্দীগ্রামে গিয়ে প্রচার চালাচ্ছেন শুভেন্দু অধিকারী। খুব স্বাভাবিকভাবেই নয়া দলের নিয়ম মেনে স্লোগান দিচ্ছেন, ‘জয় শ্রীরাম’। সেই রাম নামের উপরে ভরসা করেই ভোটের বৈতরণী পার করতে চাইছেন কাঁথির শান্তিকুঞ্জের মেজো ছেলে। নন্দীগ্রাম বিধানসভায় মোট ভোটারদের একটা বড় অংশ মুসলিম। এই অবস্থায় শুভেন্দুর রাম নাম কতটা প্রভাব ফেলবে তা জানা যাবে নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর।