মোদী সরকারের প্রতি কৃষকদের অবিশ্বাস তিনটি আইন প্রত্যহারে মুছে যাবেনা, কটাক্ষ শচীন পাইলটের

0
575

 

নয়াদিল্লি: আগামী বছর ভারতের পাঁচ রাজ্যে রয়েছে বিধানসভা নির্বাচন। সেই নির্বাচনে বিজেপির ফলাফল যে ভালো হবে না সেই কথাই সাফ জানিয়েছেন রাজস্থানের প্রাক্তন উপ-মুখ্যমন্ত্রী শচীন পাইলট। বিজেপিকে আরও মনে কয়ে দিয়েছেন যে প্রধানমন্ত্রী যতই তিন বিতর্কিত কৃষি আইন প্রত্যাহার করুক না কেন মোদী সরকারের প্রতি কৃষকদের অবিশ্বাস উঠে বিশ্বাস জন্মাবে না।

- Advertisement -

আরও পড়ুন : Punjab Election: ‘কংগ্রেস-বিজেপির আগে পাঞ্জাবে মুখ্যমন্ত্রীর নাম ঘোষণা করব’ বিরোধীদের উদ্দেশে বার্তা কেজরিওয়ালের

রাজস্থানের প্রাক্তন উপ-মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন যে সরকারকে কৃষকদের দাবি অনুসারে ন্যূনতম সমর্থন মূল্যের (এমএসপি) জন্য শুধুমাত্র একটি আইনি গ্যারান্টি নিশ্চিত করলেই হবে না সেই সঙ্গে একটি আইনও প্রণয়ন করতে হবে যাতে উৎপাদিত পণ্য ক্রয় করা যায়। সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া একটি সাক্ষাত্কারে, পাইলট বলেছেন, মোদী সরকার এখন যাই করুক না কেন কৃষক আন্দোলনের প্রভাব কৃষকদের মন থেকে মুছতে পারবে না কারণ এখন মুছে ফেলার কাজের ক্ষেত্রে ‘অনেক দেরি’ হয়ে গিয়েছে।

আরও পড়ুন : Minakshi Mukherjee : তৃণমূলকে ইঁদুরের সঙ্গে তুলনা কেন করলেন মীনাক্ষী 

পাইলট আরও বলেছেন, “ভারতের ইতিহাসে, কৃষক সম্প্রদায়ের এত দীর্ঘ আন্দোলন যা এক বছর ধরে চলেছিল তা দেখা যায়নি। যদি তাদের (আইন) প্রত্যাহার করতে হয় তবে জীবন এবং জীবিকা নষ্ট করার কী দরকার ছিল। অনেকে ক্ষতি হয়েছে। কিছু কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কৃষকদের খালিস্তানি, বিচ্ছিন্নতাবাদী, এমনকি সন্ত্রাসবাদী হিসাবেই উল্লেখ করেছিল।” পাইলট প্রশ্ন তুলেছেন, যদি এতটা শত্রুতা ছিল তাহলে কি সরকারকে আইন প্রত্যাহার করতে প্ররোচিত করেছিল? সেই সঙ্গে এটাও বলেছেন মোদী সরকার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে “অবশ্যই রাজনৈতিক স্বার্থে”।

প্রসঙ্গত, শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তিনটি কৃষি আইন প্রত্যাহার করার জন্য কেন্দ্র সরকারের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছেন। যে ইস্যু নিয়ে বিরুদ্ধে কৃষকরা গত এক বছর ধরে কৃষকরা দিল্লির সীমান্তে বিক্ষোভ করছে। পাইলট অভিযোগ করেছেন যে আইনগুলি ঘোষণা করার আগে কৃষক ইউনিয়নগুলির সঙ্গে কোনও আলোচনা করা হয়নি। আরও বলেছেন যে সংসদে ‘নিষ্ঠুর সংখ্যাগরিষ্ঠতা’ আরোপ করা হয়েছিল এবং তারপরে “কৃষকদের গলা বন্ধ’ করে দেওয়া দেওয়া হয়েছিল।