মমতার ঢঙে মুখ খুললেন লকেট, যারা যাওয়ার এখনই চলে যান

0
66

কলকাতা:‘যারা যাওয়ার তারা দেরি না করে এখনই চলে যান’৷ নিউটাউনের পাঁচতারা হোটেলে দলীয় শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকের পর সাফ জানিয়ে দিলেন বিজেপির নেত্রী তথা সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়৷ বস্তুত, সদ্য বিজেপি ত্যাগী ব্যারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিং এদিনও দাবি করেছেন, ‘‘বাংলায় বিজেপিকে যারা নেতৃত্ব দিচ্ছেন আগামীদিনে তাঁদের অনেকেই তৃণমূলে আসতে চলেছেন৷’’ তারপরেই লকেটের এহেন মন্তব্যের পর স্বাভাবিকভাবে জল্পনার পারদ চড়েছে৷ চর্চ্চায় উঠে আসছে, কে কে আছেন দল বদলের তালিকায়৷

বস্তুত, বঙ্গ বিজেপির ভাঙন রুখতে এবং আগামীদিনের কর্মসূচি ঠিক করতে এদিন নিউটাউনের পাঁচ তারা হোটেলে সাংবাদিক বৈঠকে বসেছিলেন রাজ্য বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বরা৷ উপস্থিত ছিলেন রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, লকেট চট্টোপাধ্যায়, সৌমিত্র খাঁ, অমিতাভ চক্রবর্তী, বিমান ঘোষ ,সুশান্ত ঘোষেরা(খানাকুলের বিধায়ক)৷ সেখানেই দলের পরবর্তী কর্মসূচি নিয়ে দীর্ঘক্ষণ বৈঠক হয়৷ সেখান থেকেই বেরানোর সময় লকেট বলেন, ‘যারা যাওয়ার তারা দেরি না করে এখনই চলে যান’৷

- Advertisement -

লকেটের এমন মন্তব্যের জেরে উঠে আসছে সৌমিত্র খাঁয়ের মতো তৃণমূল থেকে আসা বিজেপি নেতাদের নাম৷ যদিও সৌমিত্র এদিন সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, ‘‘অভিষেকের নেতৃত্বে তৃণমূল করতে পারব না৷’’ অন্যদিকে অর্জুন সিংয়ের নাম না করে লকেটের দাবি, ‘‘সারা দেশে বিজেপির সাংসদ সংখ্যা ৩০২ জন৷ তাতে কে এল গেল, তাতে দলের কিছু আসে যায় না৷ যেটুকু শূন্যস্থান তৈরি হয়েছে তা পূরণ করতে আমরা সক্ষম৷’’ সূত্রের খবর, বঙ্গ বিজেপির ভাঙন রোধের বিষয়ে এদিনের বৈঠকে একাধিক কৌশল ঠিক করা হয়েছে৷ আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচন সহ একাধিক বিষয় নিয়ে এদিনের বৈঠকে আলোচনা হয়৷ বৈঠকে হাজির ছিলেন পুরুলিয়া জেলার একাধিক বিধায়ক৷

বস্তুত, একুশের বিধানসভা ভোটের মুখে একের পর এক তৃণমূল নেতা দল বদলে বিজেপিতে গিয়েছিলেন৷ দল ভাঙনের সেই আবহে নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখে শোনা গিয়েছিল, ‘‘যারা দল ছাড়তে চান তারা দেরি না করে তাড়াতাড়ি চলে যান৷’’ লকেট এদিন সেই ঢঙেই হুঁশিয়ারি দিয়েছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল৷ স্বাভাবিকভাবেই, দল ভাঙনের চর্চ্চা শুরু হয়েছে বিজেপির অন্দরেও৷

আরও পড়ুন: মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ‘ঘনিষ্ঠ’ পরিচয় দিয়ে টাকা তোলার অভিযোগ