চালানি মাছে মন ভরছে না, দেশি মুরগির ঝোল খেতে চান কেষ্ট

0
45
Anubrata mandal

কলকাতা: শুরুর দিকে ছিলেন মনমরা৷ যেমন আর পাঁচজন থাকেন৷ তবে এখন বেশ কিছুটা অভ্যস্ত হয়ে গিয়েছেন৷ বরং সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mandal) আবদার (পড়ুন, দাপট)৷ আসানসোল বিশেষ সংশোধনাগারের হাসপাতাল ওয়ার্ডে রয়েছেন কেষ্ট মণ্ডল৷ সূত্রের খবর, মুড়ি, চিঁড়ে, ছাতু কিংবা চালানি মাছ, পোলট্রির ডিম কিংবা পোলট্রির মাংসে মন ভরছে না বীরভূমের ‘শাহেনশা’র৷ বরং, তিনি চাইছেন জ্যান্ত চারাপোনা কিংবা নিতান্ত পক্ষে দেশি মুরগির ঝোল! যার জেরে কিঞ্চিৎ বিড়ম্বনার মুখে জেল কর্তৃপক্ষ৷

জেল সূত্রের অবশ্য দাবি, অনুব্রতকে স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, এটা জেলখানা৷ এখানে কোনও আলাদা ‘আবদার’ বরদাস্ত করা হবে না৷ অন্য বন্দিদের যা খাবার বরাদ্দ, তাই খেতে হবে৷ যদিও এই নিয়ে কিঞ্চিৎ মনে দুঃখ রয়েছে বীরভূমের একদা দোর্দন্ডপ্রতাপ নেতার৷ রয়েছেন জেল হাসপাতালে৷ ইতিমধ্যে বেশ কয়েকজনের সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠতাও তৈরি হয়েছে৷ তাঁদের কাছেই অনুযোগের সুরে কেষ্ট বলেছেন, এই সব চালানি মাছ খেয়ে ঘন ঘন ঢেঁকুর উঠছে৷ তাই দেশি মুরগির ঝোল কিংবা জ্যান্ত চারা পোনার ঝোল হলে ভাল হয়!

- Advertisement -

বস্তুত, আদালতের নির্দেশে গত ২৪ আগস্ট থেকে আসানসোল জেলে রয়েছেন অনুব্রত (Anubrata Mandal)৷ আগামী ৭ সেপ্টেম্বর ফের তাঁকে তোলা হবে আদালতে৷ তার আগে পর্যন্ত ওই মুড়ি, চিঁড়ে, ছাতু কিংবা চালানি মাছ, পোলট্রির ডিম কিংবা পোলট্রির মাংসই খেতে হবে অনুব্রতকে৷ সম্প্রতি জেলে গিয়ে তাঁর জেরা করেন সিবিআই কর্তারা৷ সেখানেও খাবার নিয়ে অনুব্রত নিজের ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বলে সূত্রের খবর৷  জেলের এক কর্মীর কথায়, ‘‘দাদা, এমনিতেই খবরের শিরোনামে থাকেন৷ ফলে মন চাইলেও ওনার প্রতি কোনও দুর্বলতা দেখাতে পারছি না৷ যদি কেস খেয়ে যায়!’’

আরও পড়ুন: বিরোধী শূন্য পঞ্চায়েত গড়তে এবার ‘দুয়ারে যোগদান’ কর্মসূচি

downloads: https://play.google.com/store/apps/details?id=app.aartsspl.khaskhobor