খাস খবর ডেস্ক : বাংলাদেশের সাম্প্রতিক সাম্প্রদায়িক হিংসাকে কেন্দ্র করে, এই মুহূর্তে উত্তপ্ত ভারত ও বাংলাদেশের রাজনীতি। বাম বিরোধীদের পক্ষ থেকে বারবার অভিযোগ করা বামেদের উদেশ্যে তারা, বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষদের উপর আক্রমণ হলে প্রতিবাদ করেন না, তবে বামেরা বিরোধীদের সেই অভিযোগ করার কোনও সুযোগই দেয়নি। কিন্তু এবারের ঘটনায় প্রতিবাদ করেও স্বস্তিতে নেই বামেরা।
আরও পড়ুন : Article 370 : “৩৭০ ধারা বাতিল করে কাশ্মীর সমস্যার পুরোপুরি সমাধান হয়নি”: মোহন ভাগবত
জোট সঙ্গী আব্বাস সিদ্দিকির সামাজিক মাধ্যমে একটি ভাইরাল বক্তব্যকে কেন্দ্র করে বেজায় অস্বস্তিতে ৩১ আলিমুদ্দিন স্ট্রীট। সামাজিক মাধ্যমে যে ভিডিওটি ছড়িয়েছে, (এই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি খাস খবর) সেখানে আইএসএফের প্রধান পৃষ্ঠপোষক আব্বাস সিদ্দিকিকে বলতে শোনা যাচ্ছে যে, “কেউ যদি মনে করে ইসলামকে অপমান করার স্বাধীনতা আছে, কোরানকে অপমান করার স্বাধীনতা আছে তবে আমারও স্বাধীনতার তোমার ধড় থেকে গলাটাকে আলাদা করে দেওয়ার সময় এসে গেছে”।
আরও পড়ুন : Bangladesh : বাংলাদেশের সাম্প্রদায়িক হিংসার ঘটনায় প্রতিবাদ সিপিএম পলিটব্যুরোর
এই বক্তব্যকে নিয়ে ইতিমধ্যে বাম নেতৃত্বের প্রতি বিভিন্ন প্রশ্নবাণ ছুড়ে দিচ্ছেন নেটিজেনরা। কেউ কেউ সামাজিক মাধ্যমে লিখছেন যে, “এখনই বাম নেতৃত্বের ক্ষমা চাওয়া উচিত আব্বাসের সঙ্গে জোট করার জন্যে”। কোনও কোনও বাম সমর্থক আক্ষেপের সুরে বলছেন, “দল আবার একটি ঐতিহাসিক ভুল করল”।
আব্বাসকে কেন্দ্র করে সিপিএম নেতৃত্বের বিড়ম্বনা শুরু হয়েছিল ২৮ ফেব্রুয়ারি ব্রিগেডের মঞ্চ থেকে, তারপর নির্বাচনী প্রচারে কখনও আব্বাস বলেছেন যে তিনি ছিলেন বলে নাকি সিপিএম প্রার্থী দিতে পেরেছে, প্রচার করতে পেরেছে। এমনকি প্রদেশ কংগ্রেসকেও আব্বাসের সঙ্গে জোটে যাওয়ায় অনেক কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের তিরস্কারের সম্মুখীন হতে হয়েছে। সিপিএম যদিও নির্বাচনী পর্যালোচনার দলীয় চিঠিতে পরিস্কার ভাবেই বলেছিল, আইএসএফ তার ধর্মীয় পরিচয় থেকে বেরিয়ে আসতে পারেনি। সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি যদিও মাস খানেক আগে কলকাতায় এসে বলেছিলেন ভোট শেষ জোট শেষ। তবে এরপর কবে যে আবার সিপিএম বলবে আব্বাস সিদ্দিকির দলের সঙ্গে জোট গঠন একটি ঐতিহাসিক ভুল তার অপেক্ষায় রাজনৈতিক মহল।