অভিনব চ্যাটার্জি: জুলে ভার্নে কল্পনা করেছিলেন ডুবোজাহাজের অস্তিত্ব, কল্পনা করেছিলেন রকেট দ্বারা উৎক্ষেপিত মানুষের সৃষ্ট উপগ্রহ একদিন পৃথিবী পরিক্রমা করবে। সবই আজ বাস্তবায়িত এবং তার প্রযুক্তি বিশ্বের উন্নত দেশের করায়ত্ত। কিন্তু দক্ষিণ কোরিয়ার সৃষ্ট ও netflix-এ সম্প্রচারিত ২০১৮ সালের সিরিয়াল ‘My Secret Terrius’ এর কনটেন্ট কিন্তু কল্পবিজ্ঞানের কথা বলছে না। ২০১৮ সালের সৃষ্ট এই ধারাবাহিক বলছে যে করোনা একটি মানুষের তৈরি ভাইরাস এবং এটি যে একটি জৈব মারণাস্ত্র তারও স্পষ্ট ইঙ্গিত করেছে এই সিরিয়াল।
কিন্তু এই ঘটনার গভীরতা অনেক, প্রশ্ন হল দক্ষিণ কোরিয়ার এই ধারাবাহিকের নির্মাতারা নিশ্চয়ই জানতেন করোনা ভাইরাসের উৎপাদন প্রসঙ্গে। তাহলে এর উৎপাদন কেন্দ্র কোথায়? চীনে না মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গী রাষ্ট্র দক্ষিণ কোরিয়ায়? দক্ষিণ কোরিয়া যদি এই জৈব মারণাস্ত্রের কথা জানত তাহলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র জানবে না এটা ভাবা উচিত হবে না। এক্ষেত্রে যদি সবার অসম্মতি থাকতো তাহলে তখনই কেন বিষয়টি নিয়ে আন্তর্জাতিক স্তরে এটিকে নিয়ে বড় কিছু করা হলো না, প্রশ্ন উঠবেই।
এ প্রসঙ্গে একটা ভাবনা কি খুবই অবাস্তব, অপ্রাসঙ্গিক হবে যদি ভাবা যায় যে এটা কোন দেশের বা রাষ্ট্রের বিষয় নয় এটা আন্তর্জাতিক পুঁজিবাদের একটা চক্রান্ত? যেটা বলা হয়ে থাকে যে বর্তমান বিশ্বের খাদ্য উৎপাদনের একটা বড় অংশই চলে যায় অনুৎপাদক জনসংখ্যাকে বাঁচিয়ে রাখতে।
তাই বৃহৎ পুঁজির প্রয়োজন এই অনুৎপাদক অপ্রয়োজনীয় জনসংখ্যাকে নিকেশ করা। করোনা ভাইরাস কি তাহলে সেই অস্ত্র যা দিয়ে একদম টার্গেট করে ধরে ধরে নিকেশ করে দেওয়া যায় সেই জনসংখ্যাকে? প্রশ্ন তো উঠতেই পারে। বিপর্যয় যে ঘটে গেছে তা নিয়ে প্রশ্ন নেই। যা ঘটেছে তা আমাদের এখানে গোপনে বোমা বাধতে গিয়ে হাত উড়ে যাবার মতোই। এখন শাক দিয়ে মাছ ঢাকতে গিয়ে চীনকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে এবং একটি রাষ্ট্রকে দোষী সাব্যস্ত করে মূল বিষয় থেকে নজর ঘোরানোর চেষ্টা চলছে না তো? নেটফ্লিক্সের ২০১৮ সালের এই দক্ষিণ কোরীয় সিরিজ ‘My Secret Terrius’ কিন্তু অনেকগুলো প্রশ্ন সামনে এনে দিয়ে গেল।