বিশ্বদীপ ব্যানার্জি: দোল (Holi) নিজেকে পুরোপুরি রঙীন করে নেওয়ার উৎসব। এই দিনে ঘুচে যায় সমস্ত ভেদাভেদ। মনের সমস্ত মলিনতা ঢেকে যায় নানা রংয়ের প্রলেপে। এছাড়া দোলযাত্রার (Holi) একাধিক আধ্যাত্মিক এবং পৌরাণিক মাহাত্ম্য-ও রয়েছে।
খাস খবর অ্যাপের লিঙ্ক:
https://play.google.com/store/apps/details?id=app.aartsspl.khaskhobor
খাস খবর ফেসবুক পেজের লিঙ্ক:
https://www.facebook.com/khaskhobor2020/
হোলিকা দহন এবং শ্রীরাধিকার সঙ্গে কৃষ্ণের দোল (Holi) খেলার বৃত্তান্ত ইতিপূর্বে একাধিকবার উল্লেখিত। এছাড়া দোল পূর্ণিমার আরও এক আধ্যাত্মিক তাৎপর্য হল, এই তিথিতেই দেবী শচীর কোল আলো করে এই ধরাধামে অবতীর্ণ হন মহাপ্রভু শ্রীগৌরাঙ্গ। কিন্তু আরও একটি তাৎপর্য আছে এই দিনের (Holi)। যা অনেকেরই অজানা। এই তিথিতেই সিমলের নরেন্দ্রনাথ দত্ত তথা প্রিয় “লরেন”কে সন্ন্যাসের প্রথম পাঠ দিয়েছিলেন শ্রীরামকৃষ্ণ পরমহংস।
হ্যাঁ, শ্রীম-র “রামকৃষ্ণ কথামৃত” গ্রন্থেও এই ঘটনার উল্লেখ রয়েছে। সেটা ছিল ১৮৮৫ খ্রিষ্টাব্দের ১লা মার্চ। দোল পূর্ণিমার দিন। ঠাকুর একটু আবির নিয়ে প্রথমে মন্দিরে মা ভবতারিণীর পায়ে দেন। তারপর একে একে রাধামাধবের পায়ে এবং সমস্ত পটচিত্রে দেন। এরপর নরেনের সামনাসামনি হয়ে তাঁর গালেও মাখিয়ে দেন। তারপর শ্রীম এবং বাকি উপস্থিত ভক্তদের।
আরও পড়ুন: Holi Hain: দোল খেলার উৎপত্তি কীভাবে, পুরাণ দেয় যে ব্যখ্যা
একাধিক প্রত্যক্ষদর্শী-ই পরবর্তীকালে জানিয়েছিলেন যে ঠাকুরের দোল (Holi) খেলা অতি পছন্দের ছিল। সেদিন-ও আবির ছড়াতে ছড়াতে মনের আনন্দে নামগান শুরু করে দেন তিনি। এরই মধ্যে এক সময় ভাবাবিষ্ট-ও হয়ে পড়লেন।
অতঃপর যখন হুঁশ ফিরল। ঠাকুর রামকৃষ্ণ ডেকে নিলেন “লরেন”কে। দিলেন এমন এক পাঠ, যা ছিল সিমলের নরেন্দ্রনাথ দত্ত থেকে বিশ্বজয়ী স্বামী বিবেকানন্দ হয়ে ওঠার প্রথম অধ্যায়। ঠাকুর নরেনকে বললেন, “বাবা, তুই কামিনী কাঞ্চন ত্যাগ কর। ও না করলে কিচ্ছু হবে না।” বলাই বাহুল্য, স্বামীজি গুরুর সেই আদেশ অক্ষরে অক্ষরে পালন করেছিলেন। তাইতো আজ তিনি বিশ্ববরেণ্য। বিদেশিদের কাছে ভারতবর্ষের ধর্মের আরেক নাম।