খুব সাবধান, সংসারে সুখের পরিমাণ বাড়লেই বাসা বাঁধেন অলক্ষ্মী

0
115

বিশ্বদীপ ব্যানার্জি: মানুষ সুখের জন্য কী না করে? কিন্তু বেশি সুখ হলেও সর্বনাশ! তখন আবির্ভূতা হন দেবী অলক্ষ্মী। কথায় বলে, অর্থই অনর্থের মূল। সংসারে লক্ষ্মী এবং অলক্ষ্মী সহাবস্থান করেন। লক্ষ্মী ধনদৌলত এবং সৌভাগ্য দিলে অবধারিতভাবেই অলক্ষ্মীর প্রভাবে অহংকার, ঈর্ষা, দ্বেষ ইত্যাদির আবির্ভাব ঘটে।

খাস খবর অ্যাপের লিঙ্ক:
https://play.google.com/store/apps/details?id=app.aartsspl.khaskhobor

- Advertisement -

খাস খবর ফেসবুক পেজের লিঙ্ক:
https://www.facebook.com/khaskhobor2020/

 

‘কল্কিপুরাণ’ এবং ‘মহাভারত’ অনুসারে, দেবী অলক্ষ্মী লক্ষ্মীদেবীর জ্যেষ্ঠা ভগিনী। যিনি কলি নামক দৈত্যের স্ত্রী। কনিষ্ঠা ভগিনীকে স্বয়ং বিষ্ণুকে স্বামী হিসেবে পেতে দেখে দুঃখিত এবং ঈর্ষান্বিত হলে তাঁকে শ্রীলক্ষ্মীই দৈত্য কলির স্ত্রী হয়ে অত্যাচার, আলস্য, ঈর্ষা, ক্রোধ, লোভ এবং কামের মধ্যে বাস করার বর দেন। পুরাকালে ব্রহ্মার পিঠ থেকে অলক্ষ্মী এবং মুখের আভা থেকে লক্ষ্মীর জন্ম হয়েছিল। অন্য মতে, অলক্ষ্মীর উৎপত্তি সমুদ্র মন্থনের সময় নাগরাজ বাসুকির মুখনিঃসৃত ‘কালকূট’ বা ‘হলাহল’ বিষ থেকে।

আরও পড়ুন: Holi: দোলের দিনেই “লরেন”কে সন্ন্যাসের প্রথম পাঠ দিয়েছিলেন শ্রীরামকৃষ্ণ

অলক্ষ্মী দুর্ভাগ্য এবং অমঙ্গলের দেবী। দীপাবলীর দিন তাই গোবর দিয়ে অলক্ষ্মীর প্রতিভূ তৈরী করে প্রথমে পুজো তারপর সেটি বাড়ির বাইরে ফেলে আসা হয়। দীপাবলী’ অন্ধকাররূপী অশুভ শক্তি নাশের উৎসব। সে হেতু পশ্চিমবঙ্গীয় এয়োস্ত্রীরা গৃহশান্তি রক্ষার্থে এদিন অমঙ্গলের প্রতীক অলক্ষ্মীকে বিদায় দিয়ে থাকেন।

এসময় মহিলারা কুলো পিটতে পিটতে “অলক্ষ্মী যা, লক্ষ্মী আয়..” বলতে থাকেন, পুরুষেরা বাজাতে থাকেন ঘন্টা-কাঁসর। গৃহে ফিরে আসার পর প্রদীপ জ্বেলে লক্ষ্মীকে আবাহন করা হয় এবং পুনরায় যাতে অলক্ষ্মী প্রবেশ না করতে পারেন, ঘরের দ্বারে একটি চুনমাখানো সুতোয় সাতটি লঙ্কা আর একটি লেবু ঝুলিয়ে দেওয়া হয়।