ব্রহ্মচর্যের মূর্তিমান প্রতীক ‘চিরকুমার’ হনুমানও বিবাহিত, পূজিত হন সস্ত্রীক

0
87

খাস ডেস্ক: হনুমানকে বলা হয় ‘সঙ্কটমোচন’। সকলেই জানেন যে মারুতি চিরকুমার। সীতাদেবী তাঁকে বর দিয়েছিলেন পিতৃপুরুষগণকে জলদানের হেতু তিনি চার যুগ অমর থাকবেন। কিন্তু পুরাণ মানেই তো রহস্যের জাল, জানা-অজানা নানান কাহিনীর ভান্ডার। তবে তথ্য বলছে স্বয়ং সঙ্কটমোচনকেও একবার চূড়ান্ত সঙ্কটে পড়তে হয়। তার ফলে তাঁকে নাকি বিয়েটাও সেরে ফেলতে হয়!

হ্যাঁ ঠিকই পড়ছেন, বিয়ে! শুধু তাই নয়। এমনকী অন্ধ্রপ্রদেশের একটি মন্দিরে সস্ত্রীক হনুমান পূজিত হন। তাহলে কী মহাবীর সত্যিই ব্রহ্মচারী নন? এই প্রশ্ন উঠা খুবই স্বাভাবিক।

- Advertisement -

আরও পড়ুন: সামনেই কৌশিকী অমাবস্যা, জেনে নিন মাহাত্ম্য ও তাৎপর্য

বাল্মীকি রামায়ণে এর ব্যখ্যা পাওয়া যায় না। আসলে পুরাণ মানেই বহু প্রক্ষেপ। তেমনই একটি প্রক্ষেপ “পরাশর সংহিতা” অনুযায়ী, হনুমান ছিলেন সূর্যদেবের ছাত্র। সেই কোন ছোটবেলায় একবার মারুতি সূর্যকে ফল ভেবে গিলতে গিয়েছিলেন। সে সব দিন অতিক্রান্ত। এখন তিনি অতি প্রতিশ্রুতিমান শিক্ষার্থী। বেদ, বেদাঙ্গ, উপনিষদ সব কন্ঠস্থ হয়ে গিয়েছে। কিন্তু মুশকিলের সূত্রপাত এখানেই। নব ব্যকরণ অর্থাৎ ব্যকরণের নয়া সূত্রের অধিকারী হতে হলে বিবাহিত হওয়া অতি আবশ্যক। এদিকে হনুমান চিরকৌমার্যের ব্রত নিয়ে বসে আছেন।

উপায়ান্তর না দেখে গুরু সূর্য নিজের তেজ থেকে এক অপূর্ব সুন্দরী কন্যার জন্ম দিলেন। নাম শুভ্রচলা। এই শুভ্রচলার সাথে হনুমানের বিবাহ দিয়ে সূর্যদেব বর দেন, শুধুমাত্র শিক্ষার উদ্দেশ্যেই হনুমানের এই বিবাহ। এতে তাঁর ব্রহ্মচর্যে কোনও কালেই বিঘ্ন ঘটবে না। তিনি চিরকাল ‘কুমার’ হিসেবেই পরিচিতি পাবেন।

দক্ষিণ ভারতের তেলেঙ্গানার খাম্মামস্থিত একটি মন্দিরে সেই শুভ্রচলার সাথেই পূজিত হয়ে থাকেন কেশরীনন্দন হনুমান। সেখানে এই যুগলকে একত্রে শুভ্রচলা-অঞ্জনেয় নামে ডাকা হয়ে থাকে। কথিত আছে, জৈষ্ঠ মাসের শুক্লা দশমী তিথিতে হনুমানের সাথে শুভ্রলার বিবাহ সম্পন্ন হয়েছিল। তাই আজও সেই দিনটিতে মন্দিরে ‘হনুমান কল্যাণম্’ পালন করা হয়।