Durga Puja 2021: প্রিয়জনকে বিজয়ার শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন, জেনে নিন পিছনের তাৎপর্য

0
250

বিশ্বদীপ ব্যানার্জি: দুর্গাপুজো শেষ। তা বলে উৎসব মোটেই নয়। কোজাগরী লক্ষ্মীপুজোর এখনও বেশ কিছুদিন দেরি। তার আগে এ মুহূর্তে আমরা গুরুজনদের প্রণাম আর বাকীদের শুভেচ্ছাবার্তা প্রদান করছি। কোভিড হানা না দিলে হয়তো তাঁদের বাড়ীতেই পৌঁছে যেতাম।

এইটিই বাঙালির রেওয়াজ। এ সময় আমরা একে অপরকে মিষ্টিমুখ করিয়ে শুভেচ্ছা বিনিময় করি। বলি, “শুভ বিজয়া।” কেন বলি, বলুনতো।

- Advertisement -

মা দুর্গার দুই সখী জয়া এবং বিজয়া। এঁরা দৃশ্য এবং অদৃশ্যভাবে সর্বদা দেবীর দু পাশে থাকেন। এঁদের মধ্যে বিজয়া হলেন হিন্দু পুরাণে বর্ণিত ৬৪ জন যোগিনীর অন্যতম। যে কারণে তাঁর গাত্রবর্ণ সবুজ। কিন্তু এই বিজয়ার থেকে বিজয়া দশমীর ধারণাটি আসেনি। তাহলে?

আরও পড়ুন: Dussehra 2021: জীবনে সাফল্যের পথ খুঁজে নিতে রাবণের এই উপদেশগুলি জেনে রাখুন

জবাবটি লুকিয়ে রয়েছে রামায়ণে। আমরা জানি, রাবণ বধের নিমিত্ত শ্রীরামচন্দ্রই শরতে দেবীর অকালবোধন করেছিলেন। দশমীর দিনে তিনি নিজের সংকল্প পূরণ করে বিজয়প্রাপ্ত হন। পন্ডিতরা বলেন, এই বিজয় থেকেই এসেছে “বিজয়া” কথাটি। দশমীতে রাবণ বধের পর বিজয় উৎসব পালন করেছিলেন রাম-লক্ষ্মণ, তাঁরা পুনরায় মিলিত হন সীতাদেবীর সঙ্গে। সে থেকেই বিজয়ার সময় প্রিয়জনদের শুভেচ্ছা বিনিময়ের ধারণাটির উদ্ভব।

হিন্দু পুরাণে প্রক্ষেপ অপরিসীম। ফলে বিজয়া সংক্রান্ত একটি ভিন্ন মতও রয়েছে। রামের রাবণ বধের বিজয় দিবস নয়, বিজয়ার ধারণাটি এসেছে বরং দেবরাজ ইন্দ্র পালিত বিজয় দিবস থেকে। এই মত অনুসারে, ঋষি দধীচির অস্থি দ্বারা নির্মিত বজ্র দিয়ে বৃত্রাসুরকে ইন্দ্র এই তিথিতেই বিনাশ করেছিলেন। এবং সে সময় স্বয়ং বিষ্ণু ছিলেন ইন্দ্রের রথের সারথি।