হাতের কাছেই যেন একটুকরো ইউরোপ, ঘুরে আসুন এই জায়গা থেকে

0
177

খাস খবর ডেস্ক: হাতের কাছেই যেন একটুকরো ইউরোপ। ইউরোপের রোমান্টিসিজমের চর্চা জগৎ জুড়ে, নস্টালজিক প্রকৃতির সংস্পর্শ এক স্বর্গীয় অনুভূতি নিয়ে আসে। পাহাড়ে ঘেরা, সবুজে ঢাকা সাজানো এক লেপচা জনপদ সিটং গেলেই পাওয়া যাবে এই অনুভূতি। দার্জিলিং-এর চা-পাতা, টয়ট্রেনের সঙ্গে একযোগে যে নাম উচ্চারিত হয় তা হলো কমলালেবু। মজার বিষয় হলো, দার্জিলিং-এর কমলালেবুর সিংহভাগই উৎপন্ন এখানে। শীতকাল থেকে মার্চ-এপ্রিল পর্যন্ত ঘুরতে গেলে গাছে গাছে ঝুলে থাকতে দেখা যায়। তারপর কমলালেবু না থাকলেও এখানকার সৌন্দর্য বিন্দুমাত্র কমে না। ছবির মতো সুন্দর সিটংকে অনেকে ইউরোপের সুন্দর টুরিস্ট ডেস্টিনেশনের সঙ্গে তুলনা করেন।

আরও পড়ুনঃ ইন্সুরেন্স সংস্থার নাম করে কোটি টাকা প্রতারণা কাণ্ডে গ্রেফতার আরও দুই

- Advertisement -

দার্জিলিং হিমালয় পাদদেশের সবচেয়ে ধরাছোঁয়ার বাইরের অংশগুলির মধ্যে অবস্থিত এই ছোট্ট মনোরম লেপচা গ্রামটি একটি উপত্যকায় অবস্থিত। সিটং চার হাজার ফুট উচ্চতায় অবস্থিত। এখানে সারা বছরই ঠান্ডা আবহাওয়া থাকে। এখানে রয়েছে রিয়াং নদী। নদীতে জলের পরিমাণ অল্প হলেও নদীতে জলের স্রোত অনেকটাই বেশি। একটি ঝর্ণা থেকে এই নদীর সৃষ্টি হয়েছে। রিয়াং নদীর ধারে রয়েছে পিকনিক স্পট। শীতকালে প্রচুর মানুষ নদীর পাড়ে পিকনিক করে।

এখানকার মূল আকর্ষণ কমলালেবু হলেও আরো কিছু জিনিস রয়েছে যার জন্য পর্যটকদের কাছে আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে এই সিটং। শতাব্দী প্রাচীন একটি গুম্ফা রয়েছে যেটি মাটি ও দিয়ে বাশ দিয়ে তৈরি। এছাড়া এখানে একটি বহু পুরনো গির্জা রয়েছে, বর্তমানে ওই গির্জাটির সংস্কার করা হয়েছে। রংবেরঙের পাখির কলতান শুনে মন ভরে যায় পর্যটকদের। অপরূপ মনোরম পরিবেশ, প্রাকৃতিক শোভা মনে করিয়ে দেবে ইউরোপের কথা।

কিভাবে যাবেন? নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন থেকে কালিঝোরা হয়ে ৫৪ কিলোমিটার দূরত্বে ঘালেটার এবং বিরিকদারা প্রায় ৫৯ কিলোমিটার দূরে। কালিঝোরা এবং বিরিকদারা উভয় দিক থেকে একটি সোজা রুট নিচের দিকে গিয়ে মানা ক্রসিংয়ে ছেদ করেছে, সেখান থেকে ডানদিকে  মিটার উতরাই ঘালেটার প্রধান রাস্তা অর্থাৎ আপনার গন্তব্য সিটং। অথবা নিউ জলপাইগুড়ি রেলওয়ে স্টেশন থেকে শিলিগুড়ি তেনজিং নরগে বাসস্ট্যান্ডে আসার পর গাড়ি ভাড়া করে চলে যাওয়া যায় সিটং এ, এছাড়া বাগডোগরা বিমানবন্দর থেকেও সিটং যাওয়ার গাড়ি পাওয়া যায়। গাড়ি ভাড়া গড়ে ৩০০০ টাকা। তবে, সিজন ও সময় অনুযায়ী কম-বেশি হতে পারে।

কোথায় থাকবেন? থাকার জন্য রয়েছে হোমেস্ট। আগে থেকে বুক করে নিতে হবে। ট্যুরিজম সাইটেই খোঁজ পেয়ে যাবেন। খাওয়া-দাওয়া প্রতিদিন জনপ্রতি ১২০০-১৫০০ করে। খাবার-দাবার সাধারণ,  চিকেন এবং ডিম ছাড়া তেমন কিছু পাওয়া যাবে না।