এখনও থাকতে হবে জেলে, ED-এর মামলা প্রমাণিত হওয়া অবধি মুক্তি নেই কাপানের

0
32
S kappan

লখনউ: শেষ হয়েও হইল না শেষ! দীর্ঘ দু-বছর পর উত্তরপ্রদেশের জেল থেকে মুক্তি পেয়েছিলেন হাথরাস ধর্ষণকাণ্ডের সময় গ্রেফতার সাংবাদিক সিদ্দিক কাপান (S Kappan)। ২০২০ সালের অক্টোবর মাসে গ্রেফতার হওয়া কেরলের এই সাংবাদিককে গত ৯ সেপ্টেম্বর জামিন দেয় সুপ্রিম কোর্ট। তবে এখনও বেশ কিছুদিন তাঁকে জেলে থাকতে হবে বলে জানিয়েছে কারা দফতর।

বলা হয়েছে, কাপানের বিরুদ্ধে ইডির একটি মামলা এখনও শুনানি হওয়া বাকি আছে। ততদিন পর্যন্ত কারাগারেই থাকতে হবে সাংবাদিককে। শুক্রবার মুক্তির সময় কাপানের কাছ থেকে ১ লক্ষ টাকা জরিমানা চেয়েছিল আদালত। আদালতের নির্দেশ অমান্য না করার একটি মুচলেখাতেও স্বাক্ষর করতে হয়েছিল তাঁকে। সেইসঙ্গে মুক্তির পর আগামী ৬ সপ্তাহ তাঁকে দিল্লিতে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। শুধু তাই নয়, সপ্তাহের প্রতি সোমবার কাপানকে রাজধানীর নিজামুদ্দিন থানায় গিয়ে হাজিরা দিতে হবে বলেও জানিয়েছিল আদালত।

- Advertisement -

বলা বাহুল্য, কাপানের মুক্তিতে খুশি হয়েছিল সাংবাদিক সহ বিরোধী দলগুলি। তাঁরা বলেছিলেন, উত্তরপ্রদেশ সরকার কাপানকে ফাঁসিয়েছে। সেইসঙ্গে তাঁর বিরুদ্ধে আর্থিক তছ্রুপির যে মামলা রয়েছে সেটিও খারিজ হয়ে যাবে বলে আশাবাদী তাঁরা। উল্লেখ্য, ২০২০ সালে উত্তর প্রদেশের হাতরাসে যাওয়ার পথে সিদ্দিক কাপানকে গ্রেফতার করা হয়েছিল, যেখানে তিনি বলেছিলেন যে তিনি ১৯ বছর বয়সী যুবতীর গণধর্ষণ ও হত্যার বিষয়ে রিপোর্ট করতে যাচ্ছেন।

সেই তথ্য সেওয়ার পরেই সন্ত্রাশবাদে অর্থায়নের অভিযোগে বেআইনি কার্যকলাপ প্রতিরোধ আইনের (ইউএপিএ) অধীনে তাকে অভিযুক্ত করা হয়েছিল। সিদ্দিক কাপান মালায়ালাম নিউজ পোর্টাল আজিমুখামের একজন সাংবাদিক। কাপ্পান বরাবরই বলেছেন তাকে ফাঁসানো হচ্ছে। তবে শুক্রবার আদালতে, উত্তরপ্রদেশ সরকার যুক্তি দিয়ে বলেছিল যে, কাপ্পানকে দাঙ্গা উসকে দেওয়ার জন্য অর্থ প্রদান করা হয়েছিল এবং তিনি একজন স্বীকৃত সাংবাদিকও নন।

যোগী সরকাররে আইনজীবীর কথায়, “কাপ্পান (S Kappan) একটি দাঙ্গা পরিস্থিতি তৈরি করার এবং বিস্ফোরক ব্যবহার করার চেষ্টা করছিল। সে পিএফআই-এর অন্তর্গত এবং এটি একটি সন্ত্রাসী সংগঠন। তার কাছে অপরাধমূলক সাহিত্যও রয়েছে৷” উত্তরপ্রদেশের মথুরা থেকে হাতরাসে যাওয়ার পথে ২০২০ সালের ৫ অক্টোবর গ্রেফতার করা হয়েছিল।