প্রতিবেদন: দুশমনকে খুঁজে বের করে হত্যা করেই ক্ষান্ত হয়নি অভিযুক্তরা৷ এমনকি পরিজনদের সামনে একেবারে ছাগল কাটার স্টাইলে তার দেহ থেকে পা কেটে রাস্তায় ছুঁড়ে ফেলেছিল অভিযুক্তরা৷
গত ১১ ডিসেম্বর নৃশংস এই ঘটনাটি ঘটে কেরলের তিরুবন্তপুরমের রাস্তায়৷ ওই মামলার রায় দিতে গিয়ে মঙ্গলবার রীতিমতো শিউড়ে উঠেছেন কেরল হাইকোর্টের বিচারপতি দেবান রামচন্দ্রম৷
আদালত সূত্রের খবর, মামলার শুনানী চলাকালীন বিচারক স্বগতোক্তির সুরে বলে ওঠেন, ‘‘ভয়ানক, নৃশংস বললেও কম বলা হয়৷ সত্যি, আমরা কোথায় চলেছি? মানুষ হয়ে আরেকজনকে এভাবে কেউ খুন করতে পারে?’’
আদালত সূত্রের খবর, যাকে খুন করা হয়েছে সেও একটি খুনের মামলার আসামী৷ তাঁর খোঁজে ১২ জনের একটি দুষ্কৃতী দল তল্লাশি চালাচ্ছিল৷ তিরুবন্তপুরমে এক আত্মীয় বাড়িতে লুকিয়ে ছিল ওই অভিযুক্ত৷ সেখান থেকেই তাঁকে পাকড়াও করে আততায়ীরা৷
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, প্রকাশ্যে গুলি করে খুন করার পর কাঠারিতে করে দেহ থেকে পা আলাদা করে দেওয়া হয়৷ ফিনকি দিয়ে ছিটকে বেরায় রক্ত৷ তাতেও না থেমে দেহ থেকে বিচ্ছিন্ন করা পা কে কাটা ছাগলের পায়ের মতো রাস্তায় ছুঁড়ে ফেলা হয়৷
বীভৎস ওই ঘটনা দেখে শিউড়ে ওঠেন নিহতের পরিজনেরা৷ ইতিমধ্যে তদন্তে নেমে পুলিশ বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করেছে৷ বাকিদের খোঁজে চলছে তল্লাশি৷ ওই মামলার শুনানিতেই ঘটনার বীভৎসতা শুনে শিউড়ে উঠতে দেখা যায় বিচারককে৷
আরও পড়ুন: Protest in Singur: সিঙ্গুরে উলোটপুরাণ, মমতার কৃষির ভিত্তি কেড়ে নিতে মরিযা শুভেন্দু-সুকান্তরা