নাম ভাড়িয়ে হিন্দু মেয়েকে অপহরণ করে ধর্ষণ তিন স্ত্রী-র স্বামী আবদুল্লার

0
445

লখনউ: লাভ জিহাদের বড় ঘটনা প্রকাশ্যে এল যোগী আদিত্যনাথের রাজ্য উত্তরপ্রদেশে। একই দিনে রাজ্যের একাধিক স্থানে একই ধরণের ঘটনায় মুসলিম সম্প্রদায়ের দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। যার ঘটনা প্রবাহ শুনলে চোখ কপালে উঠবে।

আরও পড়ুন- অন্তর্দ্বন্দ্বেই ফাঁস হচ্ছে বিজেপি নেতানেত্রীদের যৌন কেচ্ছা

- Advertisement -

প্রথম ঘটনা মিরাটের। ওই শহরের কঙ্কারখেদা এলাকায় এক নাবালিকা নিখোঁজ হয়ে যায় চলতি মাসের তিন তারিখে। বুধবার সেই মেয়েটিকে উদ্ধার করে পুলিশ। সেই সঙ্গে অপহরণকারী ব্যক্তিকেও গ্রেফতার করা হয়। জানা গিয়েছে ধৃত ব্যক্তির নাম আবদুল্লা। ৪২ বছর বয়সী অভিযুক্তের তিনটি স্ত্রী এবং চার সন্তান রয়েছে।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে যে লাভ জিহাদের লক্ষ্যে হিন্দু মেয়েদের প্রেমের জালে ফাঁসিয়ে তাদের বিয়ে করাই ছিল আবদুল্লার লক্ষ্য। জেরায় তা স্বীকারও করে নিয়েছে সে। বিয়ে করা সম্ভব না হলে ধর্ষণ বা যৌন সঙ্গম করেও তৃপ্তি পেত আবিদুল্লা। কারণ অমুসলিম মহিলাদের সঙ্গে যৌন মিলনের মাধ্যমে জেহাদের পূর্ণতা রয়েছে বলে ধারণা ছিল তার।

আরও পড়ুন- স্ত্রীর অবৈধ সম্পর্ক নিয়ে সন্দেহ, লরিচালককে খুন করল স্বামী

সেই কারণেই হিন্দু নাম নিয়ে ফেসবুকে প্রোফাইল খোলে আবদুল্লা। আমন নামের সেই প্রোফাইলে নিজের ছবি দিলেও বয়স কমাতে অন্য পন্থা নিয়েছিল সে। মাথাউ নকল চুল লাগিয়ে গাক ঢেকে ফেলত আবদুল্লা। সেই সঙ্গে বয়সটাও অনেকটা কম মনে হতো। সেই উপায়েই ওই নাবালিকা মেয়েটিকে প্রেমের জালে ফাঁসিয়ে অপহরণ করে আবদুল্লা। এরপরে ওই মেয়েটিকে ধর্ষণ করার কথা পুলিশের জেরায় স্বীকার করে নিয়েছে সে। সেই সঙ্গে ওই মেয়েটিকে বিয়ের ইচ্ছাও তার ছিল বলে জানিয়েছে ধৃত আবদুল্লা।

এই ঘটনায় মিরাটের পুলিশ সুপার অখিলেশ নারায়ণ বলেছেন, “মেয়েটিকে খুঁজতে আমরা পুলিশের অনেকগুলো দল গঠন করেছিলাম। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। জেরায় নিজের যাবতীয় অপরাধ কবুল করেছে আবদুল্লা। বুধবার তাকে আদালতে তোলা হয়। তার বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির একাধিক ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। একইসঙ্গে পকসো আইনেও রুজু হয়েছে মামলা।”

আরও পড়ুন- মাস্ক না পড়লেই করোনায় মৃতদের জন্য কবর খুঁড়তে হবে এই দেশে

অন্যদিকে এদিন আরও একটি ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে। ওই ঘটনা মোরাদাবাদ এলাকার। সেখানের এক অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রীকে প্রেমের জালে ফাঁসিয়ে অপহরণ করে আসিফ নামের এক ব্যক্তি। এক্ষেত্রেও সেতু সেই ফেসবুক এবং নাম ভাড়ানো। আসিফ ফেসবুকে ‘বান্টি ত্যাগি’ নাম নিয়ে ফেসবুকে প্রোফাইল খুলেছিল। এদিন আসিফকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।