কাশ্মীরে বাড়ছে জঙ্গিবাদ, আফগানিস্তান পরিস্থিতি নিয়ে নভেম্বরে বৈঠকের আয়োজন করতে চলেছে নয়াদিল্লি

জাতিসংঘের প্রতিনিধিদেরও দিল্লিতে আমন্ত্রণ জানানো হবে বলে আশা করা হচ্ছে। জানা গিয়েছে পাকিস্তানের NSAএ মহিদ ইউসুফকেও এই সম্মেলনের জন্য আমন্ত্রণ জানানো হতে পারে। যদি এটি কার্যকর হয় তবে ২০১৬ সালের পর এটি হবে পাকিস্তান থেকে প্রথম উচ্চ পর্যায়ের সফর।

0
71

নয়াদিল্লি: আফাগানিস্তানে তালিবানরা ক্ষমতায় ফেরার পর থেকেই সন্ত্রাসবাদ ও দেশের সুরক্ষা নিয়ে চাপ বেড়েছে নয়াদিল্লির। তালিবানদের উত্থানের প্রভাব দেখা গিয়েছে কাশ্মীরে। বর্তমানে কাশ্মীরে সন্ত্রাসবাদ এক ধাক্কায় অনেকটাই বৃদ্ধি পেয়েছে। দেশের সুরক্ষা নিয়ে যথেষ্ট মাথাব্যথা বেড়েছে ভারতের। আফগানিস্তান সম্পর্কিত নিরাপত্তা উদ্বেগ নিয়েই এবার একটি বৈঠকের আয়োজনে পদক্ষেপ নিতে চলেছে নয়াদিল্লি।

দেশের বর্তমান পরিস্থিতি এবং ভবিষ্যতের দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে একটি সম্মেলন আয়োজন হতে চলেছে আগামী মাসে। ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভালের দল বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ দেশগুলির সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে বৈঠক করার উদ্যোগ নিচ্ছে। সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, দেশের শীর্ষ নিরাপত্তা সংস্থা, জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদ সচিবালয়, সম্মেলন আয়োজনে নেতৃত্ব দিচ্ছে। আফগানিস্তানের প্রতিবেশী যেমন পাকিস্তান, ইরান, তাজিকিস্তান, উজবেকিস্তান, ইইউ, ফ্রান্স, জার্মানি এবং যুক্তরাজ্য, রাশিয়া এবং চিনে ভারতের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিনিধিদের পাঠানো হচ্ছে। জাতিসংঘের প্রতিনিধিদেরও দিল্লিতে আমন্ত্রণ জানানো হবে বলে আশা করা হচ্ছে। জানা গিয়েছে পাকিস্তানের NSAএ মহিদ ইউসুফকেও এই সম্মেলনের জন্য আমন্ত্রণ জানানো হতে পারে। যদি এটি কার্যকর হয় তবে ২০১৬ সালের পর এটি হবে পাকিস্তান থেকে প্রথম উচ্চ পর্যায়ের সফর।

- Advertisement -

আরও পড়ুন- Article 370 : “৩৭০ ধারা বাতিল করে কাশ্মীর সমস্যার পুরোপুরি সমাধান হয়নি”: মোহন ভাগবত

আফগানিস্তান নিয়ে বৈঠকের জন্য নভেম্বর মাসে দিন নির্ধারণের চেষ্টা করছে নয়াদিল্লি। আফগানিস্তানের বিষয়ে ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা নির্ধারণের বিষয়েও আলোচনা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। পরিস্থিতি যে দিকে এগাচ্ছে তাতে আফাগান সমস্যা দ্রুত সমাধান না করলে ভারতের উপর আর চাপ বাড়বে বলেই মত দিচ্ছেন নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা। দিল্লির জন্য, এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ খেলা। যেহেতু ভারত সরকার স্পষ্ট করে দিয়েছে যে আফগানিস্তানে নতুন তালিবানদের শাসনের রেডলাইন রয়েছে। ভারতের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে আফগানিস্তানের মাটিকে সন্ত্রাসের নিরাপদ আশ্রয় হতে দেওয়া না হয়। সেই সঙ্গে তালিবান প্রশাসনকে সংখ্যালঘুদের অধিকার, নারী ও শিশুদের সুরক্ষার বিষয়ও মাথায় রাখতে হবে। বলা বাহুল্য যে আফগান সমস্যার দ্রুত সমাধান চাইছে ভারত।

আরও পড়ুন- Killed by Terrorists: জঙ্গি আতঙ্কে কাঁপছে উপত্যকা, কাশ্মীরে ফের খুন দুই ভিন রাজ্যের বাসিন্দা

উল্লেখ্য, দীর্ঘ ২০ বছর পর অগাস্টে আফগানিস্তানে ক্ষমতায় ফিরেছে তালিবান। সেই থেকেই এখনও পর্যন্ত আফগানের তালিবান সরকারকে স্বীকৃতি দেয়নি ভারত। তবে পর্বত ঘেরা দেশের পরিস্থিতির দিকে সর্বদা রেখেছে নয়াদিল্লি। তালিবানদের ভারত স্বীকৃতি দেবে কিনা সেটাই এবার স্পষ্ট হয়ে যাবে। কারণ ২০ অক্টোবর মস্কোতে আফগানিস্তানের সঙ্গে আলোচনায় যোগ দেওয়ার জন্য রাশিয়ার আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছে ভারত। ভারতের অংশগ্রহণের বিষয়টি নিশ্চিত করে, বিদেশ মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি বৃহস্পতিবার বলেছেন, “আমরা ২০ অক্টোবর আফগানিস্তানের মস্কো ফরম্যাটের বৈঠকের জন্য একটি আমন্ত্রণ পেয়েছি। আমরা এতে অংশ নেব।” সম্ভবত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক একটি যুগ্ম সচিব পর্যায়ের অফিসারকে বৈঠকে পাঠাবে। তবে কে যাবে এই বিষয়ে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।