বিজেপি প্রার্থীর গাড়িতে ইভিএম, পুননির্বাচনের নির্দেশ কমিশনের

0
439
File Photo

গুয়াহাটি: বিজেপি প্রার্থীর গাড়িতে ইভিএম উদ্ধারের ঘটনার কড়া পদক্ষেপ করল কমিশন। অসমের রাতাবাড়ী আসনের ১৪৯ নম্বর বুথে পুননির্বাচনের নির্দেশ দিল নির্বাচন কমিশন। পাথরকান্দির বিজেপি প্রার্থী কৃষ্ণেন্দু পালের গাড়ির থেকে ইভিএম উদ্ধারের ভিডিও ভাইরাল হওয়ার ঘটনায় আজ সকাল থেকেই বিরোধীদের তোপের মুখে পড়ছিল নির্বাচন কমিশন। তা সামাল দিতেই এই পদক্ষেপ করল তারা। 

এই ঘটনায় যুক্ত থাকার অপরাধে এদিন সকালেই চার আধিকারিককে সাসপেন্ড করেছিল কমিশন। পাশাপাশি আলাদাভাবে তদন্তের নির্দেশও দিয়েছিল তারা। আর এবার ওই বুথে পুননির্বাচনের নির্দেশ দিল কমিশন। বিরোধীদের ক্রমাগত চাপের মুখে পড়েই তড়িঘড়ি ওই বুথে পুননির্বাচনের কথা ঘোষণা করল কমিশন, এমনটাই মতো রাজনৈতিক মহলের। 

- Advertisement -

পশ্চিমবঙ্গের মতো গতকাল অসমেও ছিল দ্বিতীয় দফার ভোট৷ ভোট শেষ হওয়ার কয়েকঘণ্টা পর একটি ভিডিও ভাইরাল হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়৷ তাতে দেখা গিয়েছে, পাথরকান্দির বিজেপি প্রার্থী কৃষ্ণেন্দু পালের গাড়ির ভেতর থেকে উদ্ধার হয়েছে ইভিএম মেশিন৷

এলাকার বাসিন্দারা জানিয়েছেন, ভোট শেষ হওয়ার পর রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ কনিসালি এলাকায় সাদা রঙের একটি বোলেরো গাড়ি তাঁরা দেখতে পান৷ এত রাতে গাড়ি এখানে কী করছে তা প্রশ্ন করায় পালিয়ে যায় চালক৷ মনে সন্দেহ জাগায় স্থানীয়রা গাড়ির ভেতর তল্লাশি করেন৷ তখনই খুঁজে পাওয়া যায় ইভিএম মেশিন৷

এই ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে অসমের এক সাংবাদিক অতনু ভুঁইঞা৷ ভিডিওতে স্থানীয়দের বলতে শোনা গিয়েছে, গাড়ির মালিক পাথরকান্দির বিধায়ক তথা বিজেপি প্রার্থী কৃষ্ণেন্দু পাল৷ এলাকাবাসীর দাবি যে মিথ্যা নয় তার প্রমাণ মিলেছে বিজেপি প্রার্থীর হলফনামাতেও৷

এদিকে ভিডিওটি নিয়ে হইচই শুরু হওয়ার পরই অস্বস্তিতে পড়ে যায় নির্বাচন কমিশন৷ ইতিমধ্যে চার ভোট কর্মীকে সাসপেন্ড করা হয়েছে৷ জেলা প্রশাসনের কাছে ঘটনার পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছে কমিশন৷ পরে নির্বাচনী আধিকারিকরা জানান, মেশিন নিয়ে যাওয়ার গাড়ি খারাপ হয়ে যাওয়ায় অন্য একটি গাড়ি লিফট চাওয়া হয়েছিল৷

পরে জানা যায় সেটি বিজেপি প্রার্থীর গাড়ি৷ কিন্তু স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ওই গাড়িতে কোনও ভোট কর্মী বা কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান ছিল না৷ অথচ নিয়ম হল, কড়া নিরাপত্তা প্রহরায় ভোট যন্ত্র নিয়ে যাওয়া হয় স্ট্রং রুমে৷ নিরাপত্তা ছাড়া কী করে মেশিন অন্য গাড়িতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল সেই প্রশ্ন উঠছে৷