নয়াদিল্লি: ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে পুরানো জায়গা ফিরে পেতে মরিয়া কংগ্রেস। এই কারণেই নির্বাচনের দেড় বছর বাকি থাকতে থাকেই কোমর বেঁধে লড়াইয়ের ময়দানে নেমেছে। রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বে শুরু হয়েছে ভারত জোড় যাত্রা। কংগ্রেস নেতা ও কর্মীরা, দলের বিশাল প্রচার কর্মসূচিতে পা মিলিয়েছেন। এর মধ্যেই যে ছবি সামনে এসেছে তা সত্যিই অবাক করার মত। শোলে এবং ব্রহ্মাস্ত্র গানের তালে নাচতে দেখা গেল কংগ্রেসের বর্ষীয়ান নেতা দিগ্বিজয় সিং সহ কংগ্রেস কর্মীদের। এই ছবি নজর কেড়েছে রাজনৈতিক মহলের।
ভারত জোড়ো যাত্রার র্যালি মধ্যপ্রদেশে প্রবেশের আগে বলিউডের গানে পা মেলাতে দেখা গিয়েছে। মধ্যপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী দিগ্বিজয় সিংকে দলীয় নেতা গৌরব পান্ধির টুইট করা একটি ভিডিওতে ‘কেসরিয়া’ এবং ‘ইয়ে দোস্তি হাম নাহি তোডেঙ্গে’-তে নাচতে দেখা যায়। কংগ্রেস তার অফিসিয়াল টুইটার থেকে এই ভিডিও রিটুইট করেছে। যেখানে লেখা হয়েছে, “আপনারা যখন একসঙ্গে কয়েক দিন হাঁটছেন তখন আমাদের পাশে মজা করা উচিত নয়? হ্যাঁ আমাদের উচিত এবং আমরা করি। আমাদের যাত্রীদের জন্য এই সমস্ত ব্যবস্থা করার জন্য হর্ষবর্ধন সাপকালকে ধন্যবাদ।” জানিয়ে রাখা ভাল, রাহুল গান্ধী মধ্যপ্রদেশে প্রবেশের আগে তামিলনাড়ু, কেরালা, কর্ণাটক, তেলেঙ্গানা এবং মহারাষ্ট্রের মধ্য দিয়ে ঘুরে ৭ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হওয়া ভারত জোড় যাত্রার নেতৃত্ব দিচ্ছেন। এতদিনের এই এই যাত্রায় কংগ্রেস নেতাদের সিনেমার গানে পা মেলানো সত্যিই
বেশ আকর্ষণীয় ঘটনা।
Some happy, singing & dancing faces from the #BharatJodoYatra as the Yatris took a two day break to rejuvenate before entering Madhya Pradesh! @digvijaya_28 ji is all ❤️ pic.twitter.com/pjwtbzorqj
— Gaurav Pandhi (@GauravPandhi) November 21, 2022
আরও পড়ুন- Shraddha murder case: তদন্ত হলে শ্রদ্ধাকে প্রাণে বাঁচানো যেত, দাবী ফড়নবীশের
কংগ্রেসের এই ভারত জোড় যাত্রা কন্যাকুমারী থেকে শুরু হয়েছে যা আগামী বছরে শেষ হবে কাশ্মীরে। এই যাত্রা ভারতের ইতিহাসে প্রথম কোনও দীর্ঘ পদযাত্রা হচ্ছে বলেই কংগ্রেস একটি বিবৃতিতে জানিয়েছে। গ্র্যান্ড ওল্ড পার্টির লক্ষ্য হল কন্যাকুমারী থেকে জম্মু ও কাশ্মীর পর্যন্ত ১৫০ দিনেরও বেশি সময় ধরে ৩,৫৭০ কিলোমিটার জুড়ে একটি বিশাল সমাবেশের মাধ্যমে দলের ক্যাডার এবং সাধারণ জনগণকে একত্রিত করা। ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচন থেকে পর হাররে পর ২০২৪ সালে এই যাত্রা কংগ্রেসকে তাঁদের জায়গা ফিরিয়ে দিতে পারে কিনা সেটাই এখন কোটি টাকার প্রশ্ন।