ভোপাল: মঙ্গলবার কংগ্রেস পার্টি ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া। তিনি বাদে আরও ২২ জন বিধায়কও কংগ্রেস পার্টি ছেড়েছেন। এই কমল নাথ সরকারের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, বিজেপির ‘ভাগ করো এবং শাসন করো’ নীতি সফল হবে না। কারণ কংগ্রেস পার্টি সম্পূর্ণ ভাবে একজোট।
মধ্যপ্রদেশ কংগ্রেস ইউনিট টুইট করে জানিয়েছেন, কংগ্রেস পার্টি এখনও একজোট। কংগ্রেসের কমল নাথ সরকারের দল এখনও একজোট রয়েছে। বিজেপির ভাগ করো এবং শাসন করো নীতি কার্যকর হবে না। সমস্ত বিধায়ক তাঁদের কর্তব্য এবং নৈতিকতা বজায় রেখেছে।
মঙ্গলবার কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করার পর সিন্ধিয়া সোনিয়া গান্ধিকে চিঠি লেখেন এবার তার কংগ্রেস ছেড়ে এগিয়ে যাওয়ার সময় চলে এসেছে।
প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালে মধ্যপ্রদেশের বিধানসভা ভোটে মুখ্যমন্ত্রীর লড়াইয়ে কমল নাথের কাছে মাত্র ২৩ জন বিধায়ককে নিয়ে হেরে যায়। তারপর থেকেই সমস্যার সৃষ্টি হয়। মনোমালিন্য চলতে থাকে দলের মধ্যেই।
এই বিষয় দিগ্বিজয় সিং টুইট করে জানিয়েছেন, তাকে কোনদিনও অবহেলা করা হয়নি। যে কোনও কংগ্রেস নেতাকে জিজ্ঞেস করুন তাঁরা সকলেই বলবে গোয়ালিয়র চম্বল ডিভিশনে বিগত ১৬ মাসে তার সিধান্ত ছাড়া একটা কাজও করা হয়নি। দুঃখিত। তবে তাকে মোদী-শাহ দলে যাওয়ার জন্য অভিনন্দন রইল।
No question he was not at all sidelined. In fact, please ask any Congress Leader from MP particularly from Gwalior Chambal Division and you would come to know nothing moved in this area without his consent in last 16 months. Sad. But I wish him well under ModiShah Tutelage! https://t.co/ChEycCkrRc
— digvijaya singh (@digvijaya_28) March 11, 2020
কংগ্রেসের তরফ থেকে মঙ্গলবার দুজন নেতাকে পাঠানো হয়েছিল বেঙ্গালুরুতে পাঠানো হয়েছিল ‘বিক্ষুদ্ধ বিধায়ক’ দের সঙ্গে আলোচনার জন্য। বেশির ভাগ ক্ষুদ্ধ বিধায়করা সিন্ধিয়ার খুব কাছের। কংগ্রেস পার্টি থেকে সিন্ধিয়াকে সবসময় অবহেলা করা হয়েছে। এটাই তাঁদের ক্ষুদ্ধ হওয়ার কারণ। ২০১৮ সালে মধ্যপ্রদেশ সরকার হওয়ার পর থেকেই কংগ্রেসের মধ্যে ঠাণ্ডা যুদ্ধ তৈরি হয়ে গিয়েছিল।