ফের লাদাখ সীমান্তে চোখ রাঙাচ্ছে চিন, তৈরি করছে নতুন যুদ্ধ বিমান ঘাঁটি

0
8294

নয়াদিল্লি: ফের লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা (এলএসি)-এর কাছে চোখ রাঙাতে শুরু করেছে চিন। যুদ্ধের পরিস্থিতি না থাকলেও সীমান্ত নিয়ে দুই দেশের বিবাদ এখনও এখনও মেটেনি। লাদাখ সীমান্তে চিনা আগ্রাসন রুখতে সদা সতর্ক ভারতীয় সেনা। সেনার পক্ষ থেকেই জানানো হচ্ছে LAC-তে ফের উত্তাপ বাড়ানোর চেষ্টা করছে চিন। জিনজিয়াং প্রদেশের শকচে শহরের পূর্ব লাদাখ অঞ্চলের কাছাকাছি যুদ্ধবিমানের বিমান পরিচালনার জন্য একটি বিমানবন্দর তৈরি করছে ড্রাগন।

সরকারী সূত্র জানিয়েছে, “কাশগড় ও হোগানের বিদ্যমান বিমান ঘাঁটির মধ্যে আরেকটি বায়ু সেনার ঘাঁটি তৈরি হচ্ছে যা দীর্ঘদিন ধরে ভারতীয় সীমান্তে জঙ্গি অভিযান চালিয়ে আসছে। যুদ্ধবিমানের এই নতুন ঘাঁটি এই অঞ্চলে চিনা বিমান বাহিনীর ব্যবধান পূরণ করবে।” শকচে শহরে ইতিমধ্যে একটি এয়ার বেস রয়েছে এবং এটি যুদ্ধবিমানের অভিযানের জন্য চিনের পক্ষ থেকে উন্নীত করা হচ্ছে বলেই সেনা সূত্রে জানানো হয়েছে। এই ঘাঁটি অদূর ভবিষ্যতে যুদ্ধবিমানের বিমান পরিচালনার জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে এবং এটির কাজটি ত্বরান্বিত করা হয়েছে বলেও জানানো হয়েছে।

- Advertisement -

আরও পড়ুন- আজ শ্রীলঙ্কাকে হারালেই পাকিস্তান ও অস্ট্রেলিয়াকে পিছনে ফেলে বিশ্ব রেকর্ড করবে ভারত

যুদ্ধবিমানের অভিযানের জন্য এলএসি-র কাছে থাকা চিনের বিমান ঘাঁটিগুলির মধ্যে ব্যবধান ছিল প্রায় ৪০০ কিলোমিটার। সেটাই কমাতেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলেই মনে করা হচ্ছে। শুধু তাই নয় কাশগড়, নাগারি গুনসা ও হোগানেও বায়ুসেনার ঘাঁটি তৈরি করছে বেজিং। চিন সীমান্তে যে ফের চোখ রাঙাচ্ছে তা ভারত লক্ষ করেছে অনেক দিন থেকেই। তৎপর রয়েছে ভারতীয় সেনাও। জানা গিয়েছে, যদি কখনও প্রয়োজন হয় সেই কারণে চিন রাশিয়া থেকে আমদানি করা তাদের S-400 বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা মোতায়েন করার সঙ্গে সঙ্গে সমস্ত ব্যবস্থা তদারকি করতে বিশাল সংখ্যক সিস্টেম মোতায়েন করেছে। সব মিলিয়ে ওই অঞ্চলটিতে বিমান প্রতিরক্ষা আরও জোরদার করছে চিন।

উল্লেখ্য, গত ১৫ জুলাই সীমান্তে উত্তেজনাকে ঘিরে দ্বিতীয়বার তাজিকিস্তানে মুখোমুখি বৈঠকে বসেছিল ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শংকর ও চিনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং। সীমান্তে শান্তি ফেরাতেই এই বৈঠক করা হয়েছিল। এর আগে লাদাখে সীমান্তে ড্রাগনের আগ্রাসন নিয়ে ভারত চিনের সমস্যা সমাধানে গত সেপ্টেম্বর মাসে মস্কোয় বৈঠক করেছিলেন তাঁরা। আগের বৈঠকে বেশ কিছুটা সমাধান ও হয়েছিল। বৈঠকের পরেই প্রকৃত নিয়ন্ত্রন রেখার কাছে বেশ কিছু এলাকা থেকে সেনা প্রত্যাহার করেছিল।