নয়া উপায়ে দেশ জুড়ে শীঘ্রই শুরু হবে জনগণনার কাজ

0
459

নয়াদিল্লি: করোনা আবহে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল জনগণনার কাজ। এখন প্রতিষেধক প্রয়োগের কাজ শুরু হয়েছে। অল্প সময়ের মধ্যেই জাতীয় জনগণনা বা আদমশুমারির কাজ শুরু করা হবে। কেন্দ্রীয় সরকারের এক পদস্থ কর্তার বক্তব্য উদ্ধৃত করে এই সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে সর্বভারতীয় সংবাদপত্র দ্যা হিন্দু।

আরও পড়ুন- এক ভয়ঙ্কর কেলেঙ্কারিতে নাম জড়াচ্ছে সোহম-শ্রাবন্তীর

- Advertisement -

সাধারণত প্রতি দশ বছর অন্তর আদমশুমারি করা হয়ে থাকে। শেষবার তা প্রকাশ হয়েছিল ২০১১ সালে। চলতি বছরে ফের তা হওয়ার কথা। এই চুড়ান্ত রিপোর্ট পেশ করার প্রায় এক বছর আগে থেকে কাজ শুরু হয়। সেই অনুযায়ী গত বছরের এপ্রিল মাসের শুরুর দিন থেকে জাতীয় জনগণনার কাজ শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু করোনার কারণে সেই কাজ সম্পন্ন করা সম্ভব হয়নি।

আরও পড়ুন- ‘দল প্রার্থী না করলেও নন্দীগ্রামে মমতাকে হারাব’, চ্যালেঞ্জ শুভেন্দুর

দ্যা হিন্দুর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে খুব শীঘ্রই সেই কাজ শুরু করা হবে। আর এবার জাতীয় জনগণনার তথ্য সংগ্রহ করা হবে ডিজিটাল প্রক্রিয়ায়। এর জণ্য একটি মোবাইল অ্যাপলিকেশন তৈরি করা হয়েছে। প্রতিটি জেলার প্রতিটি ব্লকে এই কাজ করার জন্য কর্মী নিয়োগ করা হবে চুক্তির ভিত্তিতে। প্রতি কর্মীকে ৫০ থেকে ৬০টি বাড়ির তথ্য সংগ্রহ করতে হবে। তারপরে তা ওই অ্যাপের মাধ্যমে রেজিস্টার করে রাখতে হবে। খুব কম সময়ে বিস্তারিত তথ্য একত্রিত করাও যাবে।

ওই অ্যাপলিকেশনের মাধ্যমে প্রতিটি পরিবারের সম্পর্কে তথ্য জানার জন্য নানাবিধ প্রশ্ন তৈরি করা হয়েছে। যদিও এই বিষয়ে চুড়ান্ত কোনও সিদ্ধান্ত এখনও নেওয়া হয়নি বলে জানিয়েছেন ওই আধিকারিক। আগের মতোই বাড়িতে গ্যাস সিলিন্ডার, মোবাইল, রেডিও, টিভি, গাড়ি, ল্যাপটপ আছে কিনা তা জানতে চাওয়া হবে। এছড়াও পরিবারের সদস্যদের শিক্ষাগত যোগ্যতাও জানা হবে।

আরও পড়ুন- বনগাঁয় বিজেপির যুব মোর্চার নেতাকে মারধরের অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে

এই বিষয়ে কর্মীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। সম্পূর্ণ কাজটিই হবে ডিজিটাল প্রক্রিয়ায়। কোনও কাগজ ব্যবহার করা হবে না। এই জনগণনার জন্য ২০২১-২২ সালের বাজেটে তিন হাজার ৭৬৮ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন।

এই আদমশুমারির সঙ্গে জনসংখ্যাপঞ্জির যোগ রয়েছে বলে ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছে। কেন্দ্রের আধিকারিক জানিয়েছেন যে জনসংখ্যাপঞ্জির কাজ অনেকটা হয়েছিল। মূলত প্রতিটি নাগরিকের জন্মসূত্র নথিবদ্ধ করাই লক্ষ্য ছিল। ২০১৯ সালেই সেই কাজ অনেকটা হয়ে গিয়েছে। পড়ে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু হলে সেই কাজ ব্যহত হয়। ২০০৩ সালে নাগরিকপঞ্জির মতো কোনও কাজ এখন হবে না বলেই লেখা হয়েছে দ্যা হিন্দুর প্রতিবেদনে।