তালিবানের পাশে চিন, কাবুল দূতাবাস রক্ষার প্রতিশ্রুতি বেজিং-এর

0
18

খাস খবর ডেস্ক: প্রত্যাশা মতই তালিবানদের পাশে দাঁড়াল চিন। অন্যান্য দেশগুলি আফগানিস্তানে তাদের দূতাবাস খোলা রাখার বিষয়ে কোনও ঘোষণা না করলেও এদিন কাবুলে দূতাবাস খোলা রাখার প্রতিশ্রুতির কথা জানিয়েছে চিন। একই সঙ্গে তাঁরা জানিয়েছে, আফগানিস্তানকে মানবিক সহায়তা দিয়েও যাবে। এই কথাই জানিয়েছেন তালিবানের মুখপাত্র সোহাইল শাহীন।

সোহাইল শাহীন তাঁর টুইটার হ্যান্ডেলে লেখেন, ‘তালিবানের শীর্ষ নেতা আব্দুস সালাম হানফি চিনের উপরাষ্ট্রপতি উ জিয়াংহাওয়ের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন।উভয়পক্ষের মধ্যে বর্তমান পরিস্থিতি এবং ভবিষ্যৎ সম্পর্ক নিয়ে কথা হয়েছে।’ সেই সঙ্গে তিনি লিখেছেন, ‘চিনের উপরাষ্ট্রপতি বলেছেন, তাঁরা কাবুলে দূতাবাস খোলা রাখবেন এবং অতীতের তুলনায় দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক আরও উন্নত হবে। আফগানিস্তানের নিরাপত্তা এবং উন্নয়নে তাঁরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।’

- Advertisement -

চিনও একটি বিবৃতি দিয়েছে আফগানিস্তান নিয়ে। সেখানে বলা হয়, ‘এই প্রতিশ্রুতি আফগানিস্তানের সঙ্গে চিনের সম্পর্ক নিশ্চিত করবে।’ দেশ পুনর্গঠনে আফগানদের মঙ্গল কামনাও করা হয় বিবৃতিতে। একদিন আগেই কাবুলে চিনের দূতাবাসের ওয়েবসাইটে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে সাময়িকভাবে কনস্যুলার সেবা বাতিল সংক্রান্ত একটি নোটিশ দেওয়া হয়েছে। এতে বলে হয়, ১০ অগাস্ট থেকে আফগানিস্তানে থাকা চিনের দূতাবাস সাময়িকভাবে কনস্যুলার সেবা দেওয়া স্থগিত করেছে। এখন থেকে সাময়িকভাবে পাকিস্তানে থাকা চীনা দূতাবাস আফগানিস্তানের চিনা দূতাবাসের কনস্যুলার পরিষেবার দায়িত্ব নেবে।

সূত্রের খবর, চীন আফগানিস্তানের সঙ্গে “বন্ধুত্বপূর্ণ এবং সহযোগিতামূলক” সম্পর্ক আরও গভীর করতে প্রস্তুত। রাশিয়া বলেছে, কাবুল থেকে তাদের কূটনীতিকদের সরিয়ে আনার কোন পরিকল্পনা তাদের নেই। অন্যদিকে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বলেন যে, আফগানিস্তানের জনগণ অবশেষে “দাসত্বের শৃঙ্খল ভেঙ্গেছে। তালিবান যখন ১৯৯৬ সাল থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত আফগানিস্তানের ক্ষমতায় ছিল, তখন দেশটি ছিল আন্তর্জাতিকভাবে প্রায় একঘরে। কিন্তু এবার পরিস্থিতি সেরকম নাও হতে পারে, সেরকম ইঙ্গিত দেখা যাচ্ছে এখন।

উল্লেখ্য, গত ১৫ আগস্ট কাবুল দখল করে নেয় তালিবানরা। তবে কাবুলের উত্তরে পাঞ্জশির উপত্যকা এখনও তাদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে রয়েছে। সেখানে তালিবান বিরোধী জোটের সঙ্গে তালিবানের সংঘর্ষ হচ্ছে। এর আগে তালিবানের দুটি সূত্র বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানিয়েছিল, জুমার নামাজের পরই নতুন প্রশাসন ঘোষণা করা হবে। প্রায় দুই দশকের যুদ্ধের সমাপ্তি ঘটিয়ে গত সোমবার আফগানিস্তান ছেড়ে যায় মার্কিন বাহিনী। শনিবার মূলত সরকার গঠন করতে পারে তালিবানরা, এমনটাই সূত্রের খবর।