‘মন কি বাত’-এর ১০০ তম পর্বের জন্য বিশেষ স্ট্যাম্প, মুদ্রা প্রকাশ করলেন অমিত শাহ

0
41

নয়াদিল্লি: নরেন্দ্র মোদী ২০১৪ সালে ক্ষমতায় আসার পরেই প্রত্যেক মাসে শেষ রেডিও পোগ্রাম ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠান শুরু করেন। এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী দেশের বহু মানুষের সঙ্গে কথা বলেছেন জানিয়েছেন নিজের মনের কথা এবং দেশের কথা। সেই অনুষ্ঠানই এবার ১০০ তম পর্বে পা দিতে চলেছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বুধবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মাসিক রেডিও অনুষ্ঠান ‘মন কি বাত’-এর ১০০তম সংস্করণ উপলক্ষ্যে বিশেষ স্ট্যাম্প ও মুদ্রা প্রকাশ করেছেন।

একদিন আগেই কেন্দ্র সরকার জানিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর এই রেডিও অনুষ্ঠান দেশের ১০০ কোটি মানুষ একবার হলেও শুনেছেন। একটি সমীক্ষা করা হয়েছিল যেখানে দাবি করা হয়েছে, দেশের ২৩ কোটি জনগণ নিয়মিত এই ‘মন কি বাত’ শো শোনেন বা দেখেন। এমনকি নিয়মিত ‘মন কি বাত’ শোনেন  প্রায় ২৩ কোটি মানুষ।   ২০১৪ সালের ৩ অক্টোবর শুরু  হয়েছিল এই অনুষ্ঠানে। ৯৯টি পর্ব ইতিমধ্যেই হয়ে গিয়েছে।  চলতি মাসের শেষ রবিবার অর্থাৎ, ৩০ এপ্রিল অনুষ্ঠানের ১০০ তম পর্ব সম্প্রচারিত হওয়ার কথা রয়েছে। সমাপনী অধিবেশনে গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাটি চিহ্নিত করার জন্য একটি স্মারক হিসাবে ১০০ টাকার মুদ্রাও উন্মোচন করা হয়েছিল। অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, মুদ্রাটি প্রচলিত অন্যান্য মুদ্রা থেকে আলাদা হবে। এটি চারটি ধাতু থেকে তৈরি করা হয়েছে এবং এতে ৪৪ মিমি ব্যাস এবং  ২০০টি সেরেশন রয়েছে। মুদ্রার অন্য মুখটি মন কি বাতের  ১০০তম পর্বের লোগো বহন  করবে।

- Advertisement -

আরও পড়ুন: গ্যাংস্টার আতিক আহমেদের চেয়েও বেশি বিপজ্জনক, বিজেপি প্রধানের নিশানায় তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী KCR

ইন্ডিয়া পোস্ট অনুসারে উল্লেখ করা হয়েছে যে, স্মারক ডাকটিকিটগুলি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা, বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব, প্রকৃতির দিক, পরিবেশগত সমস্যা, কৃষি কার্যক্রম, জাতীয়/আন্তর্জাতিক সমস্যা, খেলা ইত্যাদির স্মরণে  প্রাকাশ করা হয়। এই স্ট্যাম্পগুলি, সীমিত পরিমাণে মুদ্রিত, শুধুমাত্র  পাওয়া যায় ফিলাটেলিক ব্যুরো এবং কাউন্টার বা ফিলাটেলিক ডিপোজিট অ্যাকাউন্ট স্কিমের অধীনে। জানিয়ে রাখা ভাল, বিজেপি  মাইলফলক উদযাপনের জন্য’Mann Ki Baat @100′ নামে একটি জাতীয় সম্মেলনেরও আয়োজন করবে, যেখানে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রায়  ১০০ জন সম্মানিত নাগরিক অংশগ্রহণ করবেন। মন কি বাত নিয়ে বলিউড অভিনেতা আমির খান বলেছেন,  ‘‘দেশকে যিনি নেতৃত্ব দিচ্ছেন তাঁর সঙ্গে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সাধারণ মানুষের এই যোগাযোগ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কথোপকথনের মাধ্যমেই তো নেতৃত্ব দেওয়া উচিত। যেখানে একজন নেতা দেশ নিয়ে তাঁর ভবিষ্যৎ চিন্তা, জনগনের সমর্থনের প্রাসঙ্গিকতা ইত্যাদি বিষয়গুলোকে তুলে ধরেন।’’