ভূমি পুজোর প্রস্তুতি দেখতে অযোধ্যায় যোগী আদিত্যনাথ

0
46

লখনউ: হাতে আর মাত্র ১০ দিন সময়৷ তারপরই ঐতিহাসিক রামমন্দিরের ভূমি পুজো সম্পন্ন হবে অযোধ্যায় সেই বিতর্কিত জমিতে৷ জোর কদমে চলছে তারই প্রস্তুতি৷ ভূমি পুজোর প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে শনিবার অযোধ্যায় হাজির হন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ৷

মন্দির শহরে পা রাখতেই যোগী চলে যান রামজন্মভূমি স্থানে৷ সেখান থেকে যান হনুমান মন্দির৷ রামমন্দির থেকে খুব বেশি দূর নয়৷ ওই মন্দিরে পুজো দেন যোগী আদিত্যনাথ৷ তারপর কথা বলেন শ্রী রামজন্মভূমি তীর্থ ক্ষেত্র ট্রাস্টের সদস্যদের সঙ্গে৷ মন্দিরের ভূমি পুজোর আয়োজন নিয়ে নানা কথা হয় তাঁদের মধ্যে৷ পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে যোগী আদিত্যনাথ বলেন, ‘‘অযোধ্যাকে আমরা বিশ্বের কাছে ভারতের গর্ব হিসেবে তুলে ধরব৷ পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা হবে তার প্রথম শর্ত৷ এটা অযোধ্যার কাছেও একটা সুযোগ বিশ্বের দরবারে নিজেকে বিশ্বমানের মতো করে তুলে ধরা৷ ’’

- Advertisement -

এদিকে শিলান্যাসের আগেই রামমন্দিরের নকশায় বদল ঘটালো বিশ্ব হিন্দু পরিষদ৷ ডিজাইন, শৈল্পিক কারুকার্য আপাতত একই রাখা হলেও মন্দিরের উচ্চতা আগের চেয়ে আরও বাড়ানো হয়েছে বলে খবর৷ পুরনো নকশায় রামমন্দিরের উচ্চতা রাখা হয়েছিল ১৪১ ফুট৷ সম্প্রতি নির্মাতারা মন্দিরের উচ্চতা আরও ২০ ফুট বাড়িয়ে দেন৷ এখন রামমন্দিরের উচ্চতা হতে চলেছে ১৬১ ফুট৷

কেন উচ্চতায় বদল আনা হয়েছে তার ব্যাখ্যা দেন ভাস্কর শিল্পী নিখিল সোমপুরা৷ তিনি জানান, পুরনো নকশাটি ১৯৮৮ সালে তৈরি করা হয়েছিল৷ তারপর কেটে গিয়েছে ৩০ বছর৷ আদালতের নির্দেশে রামমন্দির নির্মাণের জটিলতা দূর হয়েছে৷ খুব তাড়াতাড়ি মন্দির নির্মাণের কাজ শুরু হবে৷ বহু মানুষ মন্দিরে আসার জন্য উদগ্রীব৷ নির্মাণ কাজ শেষ হলে তখন ভক্তদের ভিড় উপচে পড়বে এই মন্দিরে৷ সেই কথা মাথায় রেখে রামমন্দিরের উচ্চতা বাড়ানো হয়েছে৷ আগের নকশায় মন্দিরের উচ্চতা ছিল ১৪১ ফুট৷ সেটা বাড়িয়ে ১৬১ ফুট করা হয়েছে৷ উল্লেখ্য, নিখিল সোমপুরার বাবা সি সোমপুরা হলেন রামমন্দিরের প্রধান ভাষ্করশিল্পী৷ তাঁর তৈরি করা নকশা দিয়েই মন্দির নির্মাণ করা হবে৷