মহারাষ্ট্রে হোস্টেলের ১৯০ জন আক্রান্ত করোনায়, কনটেনমেন্ট জোন ঘোষণা প্রশাসনের

0
492

মুম্বই: মহারাষ্ট্রের কোভিড পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ দিন দিন বেড়েই চলেছে৷ হু হু করে ছড়াচ্ছে সংক্রমণ৷ রাজ্যের একাধিক জায়গায় লকডাউন এবং নাইট কারফিউ জারি করা হয়েছে৷ তাতেও কাবু করা যাচ্ছে না করোনাকে৷ এবার ওয়াসিম জেলায় একটি হোস্টেলের নাম উঠে এল কোভিড হটস্পট হিসাবে৷ পড়ুয়া ও শিক্ষক মিলিয়ে ওই হোস্টেলের ১৯০ জন আক্রান্ত হয়েছেন করোনায়৷ তারপরই ওই হোস্টেলকে কনটেনমেন্ট জোন ঘোষণা করে জেলা প্রশাসন৷

জানা গিয়েছে, আক্রান্তের মধ্যে ১৮৬ জনই পড়ুয়া৷ চার জন টিচার৷ পড়ুয়াদের অধিকাংশ অমরাবতী এবং ইয়াভতমল জেলার বাসিন্দা৷ গত কয়েক সপ্তাহ ধরে এই দুই জেলাতেই উর্ধ্বমুখী কোভিড গ্রাফ৷ নতুন করে সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় উদ্বেগে উদ্ধব ঠাকরের সরকার৷ রাজ্যবাসীকে সতর্ক করে মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে ইতিমধ্যে জানিয়েছেন, কঠোরভাবে কোভিড বিধি মেনে চলতে হবে৷ নইলে লকডাউনের পথে হাঁটা ছাড়া উপায় নেই৷

- Advertisement -

ঘটনাচক্রে কোভিডবিধি উলঙ্ঘন করার অভিযোগ উঠেছে শিবসেনার সমর্থকদের বিরুদ্ধে৷ মঙ্গলবার ওয়াসিম জেলায় একটি মন্দিরে পুজো দিতে যান শিবসেনা দলের মন্ত্রী সঞ্জয় রাঠোর৷ কোভিড বিধি না মেনে মন্ত্রীর অনুগামীরা ভিড় করেন ওই মন্দিরে৷ রাজ্যে যখন ফের মাথাচাড়া দিচ্ছে করোনা, সেই সময় সমর্থকদের নিয়ে জমায়েত করে বিরোধীদের তোপের মুখে পড়েন সঞ্জয় রাঠোর৷ মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরেও ঘটনায় ক্ষুব্ধ হন৷ তিনি পুলিশের কাছে রিপোর্ট চেয়ে পাঠান৷ সেই সঙ্গে পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন, কোভিড বিধি না মানলে তাঁর বিরুদ্ধে যেন ব্যবস্থা নেওয়া হয়৷ আইন সবার জন্যই এক৷

করোনা পরিস্থিতি যতটা নিয়ন্ত্রণে এসেছিল, মহারাষ্ট্রের নতুন সংক্রমণ তা ফের লাগামছাড়া হয়ে গিয়েছে৷ কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের হিসেব বলছে, গত সপ্তাহ থেকে মহারাষ্ট্রে কোভিড সংক্রমণের হার বেড়েছে ৮১ শতাংশ৷ দেশের জাতীয় গড়ের থেকে যা অনেক বেশি৷ ভাইরোলজিস্টরা বলছেন, মহারাষ্ট্রে ছড়িয়ে পড়া এই নতুন স্ট্রেনের সঙ্গে দক্ষিণ আফ্রিকায় পাওয়া করোনার নতুন প্রজাতির মিল রয়েছে৷