সাহিত্য অ্যাকাডেমি পুরস্কারে পুরস্কৃত হলেন তপন বন্দ্যোপাধ্যায়

0
135
Sahitya Akademy Award

খাস ডেস্ক: ২০১৯ সালের পরে ফের ২০২২ সালে বাংলা ভাষায় সাহিত্য অ্যাকাডেমি পুরস্কার(Sahitya Akademy Award) পেলেন সাহিত্যিক তপন বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার তাঁর ‘বীরবল’ উপন্যাসের জন্য তাঁকে দেওয়া হল সাহিত্য অ্যাকাডেমি পুরস্কার। ২০১৯ সালে তিনি সতীকান্ত মহাপাত্রের কবিতা সংকলন ‘ভারতবর্ষ’ অনুবাদের জন্য সাহিত্য অ্যাকাডেমি পুরস্কার পান।

আরও পড়ুন বর্ষবরণের রাতে ২ হাজারেরও বেশি কন্ডোম ডেলিভারি Swiggyর

- Advertisement -

১৯৬৬ সালে আশুতোষ কলেজের পত্রিকায় তাঁর প্রথম কবিতা প্রকাশিত হয়, নাম- ‘আমি’। অর্ণব নামের একটি পত্রিকা তিনি যৌথভাবে সম্পাদনা করেছিলেন। ১৯৭১ সালে তাঁর প্রথম কাব্যগ্রন্থ প্রকাশিত হয় ‘ ভাবনায় সাম্প্রতিক শব্দগুলি’। এই সালেই তাঁর সম্পাদনায় ‘বাংলার মুখ’ পত্রিকা প্রকাশিত হয়। ১৯৮১ সাল পর্যন্ত এই পত্রিকার ১৫টি সংখ্যা প্রকাশিত হয়। ১৯৭৩ সালে দ্বিতীয় কাব্য ‘বাবা দক্ষিণ রায়ের গুলগুলি চোখ’ প্রকাশিত হয়। ১৯৮০তে তৃতীয় কাব্যগ্রন্থ ‘মা বনবিবির হাজার বাহন’-এর প্রকাশ। প্রথম উপন্যাস ‘সাইবেরিয়ার হাঁস’ ১৯৭৪ সালে রূপসা পত্রিকায় প্রকাশ পায়।

আরও পড়ুন ফের বলিউডে টুকলির অভিযোগ, Ranbir’র Animal লুকে মজল না দর্শক

লেখক জীবনের প্রায় প্রথম থেকেই তিনি ছোটোদের জন্যও লেখালেখি করেছেন। আশির দশকের গোড়াতেই আনন্দমেলা পত্রিকায় গল্প লিখতে দেখা যায়। কিশোরভারতী পত্রিকায় তিনি ধারাবাহিক ভাবে কল্পবিজ্ঞানের গল্প লিখেছেন। শিশু কিশোরদের জন্য লেখা রচনার মধ্যে ভূতুড়ে দুপুর, পরীর দেশে ঝিলমিল, অমরকণ্টকের বাঘ, হিয়াকাতুকের দেশে তিনজন, চাঁদের পিঠে দশদিন, তিমি হাঙরের দেশে, ধূমকেতুর লেজে একটি সবুজ বিন্দু , ক্লোন, মঙ্গলগ্রহে অমঙ্গল, ওয়াই টু কে উল্লেখযোগ্য।

তাঁর রচনার সংখ্যা যেমন অনেক তেমনি তাঁর বিষয়ের বৈচিত্রও বহু। ১৪২৬ বঙ্গাব্দ পর্যন্ত তাঁর রচিত গল্পের সংখ্যা প্রায় চারশো। সত্তর ও আশির দশকের বাংলা লেখকরা উল্লখযোগ্যভাবে কাজের বা বসাবসের সূত্রে প্রত্যন্ত গ্রামজীবনের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে ছিলেন। সত্তর দশকের পর থেকে গ্রাম বাংলার সমাজ ও মনের যে পরিবর্তন ঘটেছে তা বহু লেখায় ধরা পড়েছে। তপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের ক্ষেত্রেও গ্রাম দেখার অভিজ্ঞতা নানান চেহারায়, রঙে ও ভঙ্গিতে ধরা পড়েছে সামাজিক গল্পগুলিতে।