“কর্ণেল নীলাদ্রি সরকার”-এর স্রষ্টা সৈয়দ মুস্তাফা সিরাজের জন্মবার্ষিকী উদযাপিত হল তিলোত্তমায়

0
71

কলকাতা: মুর্শিদাবাদের পারাগাঁয়ের সেই ছেলেটি বিখ্যাত কথাসাহিত্যিক হয়েছিলেন। বাংলার গ্রামের সেই নির্মল পরিবেশ তাঁর লেখকসত্বাকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করেছিল। নিজের লেখার মধ্যে দিয়ে বাংলা সাহিত্যেকে এক অন্যরূপ প্রদান করেছিল। কর্ণেল নীলাদ্রি সরকারের স্রষ্টা সৈয়দ মুস্তাফা সিরাজের (Syed Mustafa Siraj) ৯৩ তম জন্মদিন পলিত হল কলকাতার রোটারি সদনে। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিখ্যাত কথাসাহিত্যিক শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়, অভিজিৎ সেন সহ অন্যান্যরা।

আরও পড়ুন- চাকরিপ্রার্থীদের আন্দোলনে নেমে চাকরি পাননি, পেয়েছেন জীবনসঙ্গী

- Advertisement -

সাহিত্যিকের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে একটি সাহিত্য সমাবেশের আয়োজন করেছিল সৈয়দ মুস্তাফা সিরাজ আ্যকাডেমি। অনুষ্ঠানে সিরাজ আ্যকাডেমি পুরস্কারে ভূষিত হন কথাসাহিত্যিক ভগীরথ মিশ্র। সত্তরের দশকের পরবর্তী সময়ে বাংলা সাহিত্যে উল্লেখযোগ্য অবদান রয়েছে তাঁর। ভগীরথ মিশ্রের হাতে এদিন পুরস্কার তুলে দেন শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়। অনুষ্ঠানের উদ্যোক্তা এবং সৈয়দ মুস্তাফা সিরাজ আ্যকাডেমির অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সৈয়দ হাসমত জালাল বলনে, “২০১২ সালে সাহিত্যিকের মৃত্যুর পর তাঁর পরিবার-পরিজনের বেশ কিছু সদস্য মিলিতভাবে এই আ্যকাডেমি স্থাপন করি এবং প্রতিবছর একজন কথাসাহিত্যিককে সিরাজ আ্যকাডেমি পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়। গত দু-বছর করোনার জেরে এই অনুষ্ঠান করা সম্ভব হয়নি। তবে এই বছর আমরা কথাসাহিত্যিক ভগীরথ মিশ্রের হাতে পুরস্কার তুলে দিতে পেরেছি”।

আরও পড়ুন- দুর্নীতি নিয়ে বিপাকে সৌমেন্দু অধিকারী ঘনিষ্ঠ, গ্রেফতার রামচন্দ্র পণ্ডা

তবে সৈয়দ মুস্তাফা সিরাজের দেখা সেই গ্রামে বর্তমান সমাজ এবং গণমাধ্যমের জেরে একপ্রকার খিচুড়ি সংস্কৃতির দেখা মেলে। এই সময়ে দাঁড়িয়ে নতুন প্রজন্ম সিরাজের লেখার সঙ্গে কতোটা একাত্ম বোধ করবে? এই বিষয়ে প্রশ্নের উত্তরে সৈয়দ হাসমত জালাল বলেন, “সৈয়দ মুস্তাফা সিরাজের (Syed Mustafa Siraj) সৃষ্টি সর্বকালে সমাদৃত হওয়ার এবং বর্তমানে বহু স্নাতক এবং গবেষক তাঁর লেখা নিয়ে গবেষণা করছেন। নতুন প্রজন্ম হয়তো চাকরির জন্য বিদেশি ভাষা শিখছে তবে বাংলা সাহিত্যের চর্চা থেমে যায়নি। পারিবারিকভাবে ছেলেমেয়েদের মধ্যে এই অভ্যাস দেওয়া হচ্ছে।” পাশাপাশি, বাংলা সাহিত্যের বহু গোয়েন্দাকে নিয়ে চলচ্চিত্র তৈরি হয়। কিন্তু কর্ণেল নীলাদ্রি সরকারকে নিয়ে ছবি হচ্ছে না কেন? প্রশ্নের উত্তর জালাল সাহেব বলেন, “কর্ণেলের চরিত্রকে পর্দায় ফুটিয়ে তোলা বেশ কষ্টসাধ্য। কেননা, এই চরিত্রের বেশিরভাগটাই মস্তিষ্কের খেলা। সেই কারণে যদি কোনও পটু পরিচালক এই কাজ নেন, তাহলে নিশ্চয়ই কর্ণেলের চরিত্রটি তিনি ফুটিয়ে তুলতে সক্ষম হবেন।” কর্ণেলকে নিয়ে বাংলাদেশ এবং বাংলার কয়েকজন পরিচালক ছবি বানাতে আগ্ৰহ প্রকাশ করেছেন বলে জানান তিনি।