আমার জীবনে রবীন্দ্রনাথ- সুমেলা দত্ত

0
718

লেখাটা লিখতে বসে প্রথমেই মনে হচ্ছে, এতদিন কেন লিখিনি এই বিষয়ে? আমার চির-পুরাতন, চির-নতুন রবীন্দ্রনাথ! সেই জ্ঞান হওয়ার আগে থেকে যাঁর সৃষ্টি আমার জীবনের সাথে জড়িয়ে রয়েছে। বহুবার চেতনে-অবচেতনে প্রভাব ফেলেছে। সেই আত্মোপলব্ধি থেকেই আজ এই লেখা।

আমার সৌভাগ্য আমি কলকাতা শহরের নব নালন্দা স্কুলে পড়াশুনা করেছি। আমাদের স্কুল যাঁরা তৈরি করেছেন সেই আর্য মিত্র-ভারতী মিত্র মহাশয়-মহাশয়া শান্তিনিকেতনের ছাত্র-ছাত্রী ছিলেন। ফলতঃ, তাঁদের তৈরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে রবীন্দ্রভাবনার ছায়া থাকবে, একথা বলাই বাহুল্য। স্কুলে বরাবর মহাসমারোহে পালিত হয়েছে রবীন্দ্র-জয়ন্তী উৎসব। সহজ পাঠ হাতে পেয়েছি জ্ঞান হওয়ার আগে থেকেই। মুখস্থ করেছি ‘কুমোর পাড়া গরুর গাড়ি, বোঝাই করা কলসি হাঁড়ি’, ‘তাল গাছ এক পায়ে দাঁড়িয়ে, সব গাছ ছাড়িয়ে উঁকি মারে আকাশে’, পড়েছি মেঘমালার গল্প। তখন অবশ্য তিনি কে কিছুই বুঝতাম না৷ শুধু তাঁর কবিতার মাধুর্যের ছন্দ উপভোগ করতাম।

- Advertisement -

ছোটবেলা থেকে নাচ শিখেছি, নাচের স্কুলের নাম রবি-তীর্থ। স্বয়ং সুচিত্রা মিত্র এই রবিতীর্থ গড়ে তুলেছিলেন। তাই এখানেও পেলাম তাঁর ছোঁয়া৷ শিখলাম প্রথম রবীন্দ্র-সংগীতের সঙ্গে নাচ ‘মেঘের কোলে রোদ হেসেছে , বাদল গেছে টুটি, আজ আমাদের ছুটি ও ভাই’, ‘ধানের খেতে রৌদ্র ছায়ায় লুকোচুরি খেলা রে ভাই, লুকোচুরি খেলা’। সেই বাল্যকাল থেকেই স্কুল, নাচের স্কুল সব জায়গাতেই পেয়েছি এই মহীরুহের ছোঁয়া।

ছোটবেলা থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত বাংলা পড়েছি। ইতিমধ্যে পড়েছি রবীন্দ্রনাথের বহু কবিতা, গদ্য, প্রবন্ধ ও ছোট গল্প। সামান্য ক্ষতি, নগরলক্ষী, পূজারিণী, পুরাতন ভৃত্য, দেবতার গ্রাস, দুই বিঘা জমি -কৈশোর বেলায়ে পড়া এক একটা কবিতা শিখিয়েছে একেক রকমের মূল্য বোধ। ওনার ‘ছেলেবেলা’ও পড়েছি আমার মেয়ে বেলাতেই। ওই যে কথাটা, ‘এখনকার সম্পন্ন ঘরের ছেলেদের দেখি তাহারা সহজেই সব জিনিস পায় বলিয়া তাহার বারো আনাকেই আধখানা কামড় দিয়া বিসর্জন করে’ আমার কৈশোর মনে এতটাই সুদৃঢ় ভাবে দাগ কাটে যে ওই কথাগুলিকে ভুল প্রমাণ করার জন্য আজও তৎপর থাকি।

যৌবনে রবীন্দ্রনাথের সৃষ্টির সমুদ্রে এসে পড়লাম। প্রেম, আধ্যাত্মিক প্রেম এই সবেরই প্রথম উপলব্ধি রবীন্দ্রনাথের গান থেকে- ‘সখী, ভাবনা কাহারে বলে, সখী যাতনা কাহারে বলে’, ‘কতবার ভেবেছিনু আপনা ভুলিয়া’, ‘তোমার চরণে দিব হৃদয় খুলিয়া’, ‘তুমি রবে নীরবে’, ‘আমার বেলা যে যায় সাঁঝ বেলাতে’, ‘ভালোবাসি, ভালোবাসি’- এসব গান ছাড়া কি প্রেম হয়?

কলেজে শ্রুতি নাটকের স্ক্রিপ্ট লিখতে গিয়ে একবার চোখে পড়ল এক অপূর্ব পংক্তি- ‘আমি সকল নিয়ে বসে আছি সর্বনাশের আশায়, আমি তার লাগি পথ চেয়ে আছি, পথে যে জন ভাসায়, যে জন যায় না দেখা, যায় যে দেখে, ভালোবাসে আড়াল থেকে, আমার মন মজেছে, সেই গভীরের গোপন ভালোবাসায়’-অনুভব করলাম গোপন প্রেমের অনন্য অনুভূতি। সত্যিকারের প্রেমের অনুভূতি তো চিরকালীন, অনন্ত৷ তার খোঁজ দেন কবি ‘হঠাৎ দেখা’ কবিতায় যেখানে তিনি লিখছেন, ‘রাতের সব তারাই আছে দিনের আলোর গভীরে’।

মাঝে মাঝে অবাক হয়েছি , পূজার গান কে প্রেমের গান ভেবেছি আর প্রেমের গান কে পূজার গান! পরে একদিন সুনীল গাঙ্গুলীর রবীন্দ্রনাথ সম্বন্ধীয় এক সাক্ষাৎকার দেখে সেই দ্বন্দ্বের অবসান হয়েছে। সেই সাক্ষাৎকার থেকেই জানতে পারি ‘দেবতারে প্রিয় করি, প্রিয়রে দেবতা’ এই ধারণা আমাদের উপমহাদেশে রবীন্দ্রনাথই প্রথম করেন। কি অদ্ভুত সুন্দর কনসেপ্ট! মন শিহরিত হল। কাদম্বরীদেবীর সাথে রবীন্দ্রনাথের যে আধ্যাত্মিক টান বা প্রেম, লোকে যে যাই বলুক না কেন আমি বারবার অন্তরের সেই শুদ্ধ ভালোবাসাকে কুর্নিশ করেছি এবং আমি জানি আমার মতো অনেকেই করেছেন।

শুধু কি প্রেম? যৌবনের প্রারম্ভে এসে রবীন্দ্রনাথের সমাজ ভাবনা আমাকে অনেক পরিণত করেছে। ‘লোকহিত’ পরে গভীর ভাবে চিন্তা করেছি , সত্যি কোনো মানুষের উপকার করতে চাইলে কেমন ভাবে করা উচিত৷ শিক্ষা নিয়ে তিনি যা বলেছেন, ‘শিক্ষাকে আমরা বহন করিয়া চলি , বাহন করি না’ বা ‘বিদ্যা আবরণে, শিক্ষা আচরণে’- এই কথাগুলি চির-প্রাসঙ্গিক। হিন্দু-মুসলমানের সহাবস্থান নিয়ে ওনার ধারণা আমার ধর্ম-নিরপেক্ষ মনকে ওনার প্রতি আরও আকৃষ্ট করেছে।

সক্রিয় রাজনীতি তিনি কোনওদিন করেননি (কেন করেননি তার ব্যাখ্যাও তার বিভিন্ন লেখায় পাওয়া যায়)৷ কিন্তু তাঁর মতো একনিষ্ঠ দেশপ্রেমিক আমরা কজন? ইতিহাস বইতে পড়েছি ১৯০৫ খ্রিস্টাব্দে বঙ্গ-ভঙ্গ আন্দোলনের সময় কী রকম কাণ্ডারির ভুমিকা তিনি নিয়েছিলেন৷ জালিয়ানওয়ালা বাগ হত্যাকাণ্ডের পর নিজের ‘নাইটহুড’ উপাধি ফিরিয়ে দিতে বিন্দুমাত্র দ্বিধাবোধ করেননি৷ তখন তাঁর দেশপ্রেমের ভাবাবেগ আমাকেও স্পর্শ করেছে। তিনি রচনা করেছেন কত অজস্র কালজয়ী দেশপ্রেমের গান -সে গানগুলি শুনে সব সময় উদ্বুদ্ধ হয়েছি। ‘জন গণ মন’ গানটি যখনি শুনি হৃদয়ে এক অবর্ণনীয় অনুভূতি হয় এবং যথেষ্ট গর্ববোধ হয় এই ভেবে যে এই জাতীয় সংগীতের স্রষ্টা আমাদের বঙ্গদেশের বাঙালির অতিপ্রিয় রবীন্দ্রনাথ।

শুধু দেশপ্রেমেই নিজেকে আবদ্ধ রাখেননি কবিগুরু, তিনি জয়-জয়কার করেছেন বিশ্ব-সৌভ্রাতৃত্বের । একাদশ শ্রেণিতে উঠে যখন রাষ্ট্র-বিজ্ঞানে ‘ইন্টারন্যাশনালিজম’ পড়া শুরু করলাম তখন রবীন্দ্রনাথের চিন্তা ভাবনাকে নতুন করে বুঝতে শিখলাম। প্রথম বিশ্ব-মহাযুদ্ধ বা দ্বিতীয় বিশ্ব-মহাযুদ্ধ -কোনও যুদ্ধই তিনি মেনে নিতে পারেননি, তাঁর সৃষ্ট রচনা থেকে বারবার আমরা যুদ্ধবিরোধী বার্তাই পেয়েছি।

‘বঙ্গমাতা’ কবিতাটি আমাদের পাঠ্য বইতে থাকার দরুণ কবিতাটি মুখস্থ করে ফেলেছিলাম। বঙ্গমাতাকে বলা কবির প্রতিটি কথা মর্মে প্রবেশ করেছিল। ‘দেশ দেশান্তর মাঝে যার যেথা স্থান, খুঁজিয়া লইতে দাও করিয়া সন্ধান’, কবি এবং কবির পরিবার যেমন নিজেদেরকে বাংলার বাইরে তথা ভারতের বাইরে ছড়িয়ে দিয়েছিলেন, তেমনভাবে তিনি আমাদেরকেও বিশ্ব মাঝে বিস্তৃত হওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন। আর কী অপরূপ স্নেহময় ভঙ্গিতে তিনি বঙ্গমাতার সমালোচনা করেছেন! তিনি বাঙালির ভুল আবার ধরিয়ে দিয়েছেন ‘দুরন্ত আশা’ কবিতায়। তাঁর কবিতাগুলি পরে এই উপলব্ধি হয় যে, আত্মসমীক্ষা সব সময়ই গঠনমূলক। তাই নিজ জাতির ভুল শুধরে দিয়ে তিনি আমাদের নতুন দিশা দিয়েছেন।

‘চিত্ত যেথা ভয়শূন্য ,উচ্চ যেথা শির’ আমার এই প্রিয় কবিতাটি বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন বিদেশি ভাষায়ও অনূদিত হয়েছে। আমেরিকার রাষ্ট্রপতি ব্যারাক ওবামাও তাঁর বক্তৃতায় এই কবিতাটির উল্লেখ করে স্মরণ করেছেন যে তিনি কবিগুরুর এই ভাবধারায় প্রভাবিত। ‘সংকোচের বিহবলতা নিজেরে অপমান’ বা ‘ধর্ম যবে শঙ্খ রবে করিবে আহ্বান, নীরব হয়ে, নম্র হয়ে পণ করিয়ো প্রাণ’ – এই কথাগুলি আমায় আজীবন অনুপ্রেরণা দেয়।

২০২০ থেকে যখন Covid এর কালো ছায়া সারা পৃথিবীতে ছেয়ে আমাদের প্রত্যেকের জীবন দুর্বিষহ করে তুলল তখনও অন্যদের মতো আমিও আশ্রয় নিয়েছি রবীন্দ্রনাথের গানে/কবিতায়৷ কখনও গেয়েছি ‘জানো না রে অধো-উর্ধে বাহিরে অন্তরে, ঘেরি তোরে, নিত্য রাজ্যে সেই অভয় আশ্রয়’৷ কখনও গেয়েছি, ‘সকাতরে ওই কাঁদিছে সকলে শোনো শোনো পিতা’ কখনও বা চীনের প্রতি রাগে, অভিমানে আবৃত্তি করেছি, ‘যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু , নিভাইছে তব আলো, তুমি কী তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কী বেসেছো ভালো?”

আসলে জীবনে চলার পথে বাঁচতে শিখিয়েছেন রবীন্দ্রনাথ। পথ যতই চড়াই বা উৎরাই হোক তার মধ্যে থেকেই বেঁচে থাকার আনন্দ খুঁজে নিতে হবে আমাদের। আনন্দের ডালি নিয়ে প্রতি বছর আমাদের উপহার দিয়েছেন রবীন্দ্র-জয়ন্তী উৎসব। আহা! রবীন্দ্র জয়ন্তী ছাড়া আমাদের বাঙালির সংস্কৃতি জীবনের কী যে হতো কে জানে! এমনি এক রবীন্দ্র জয়ন্তীর দিনে বাবা-মায়ের সঙ্গে একবার জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ি বেড়াতে গিয়েছিলাম৷ সেই অভিজ্ঞতাও দুর্দান্ত। সুবিশাল অট্টালিকা, না জানি কত মহৎ স্মৃতির অধিকারী৷ সারি সারি ঘর, বারান্দা, স্বনামধন্য ঠাকুরবাড়ির ঐতিহ্য বহন করে চলেছে। মনে হল, আভিজাত্যে মোড়া এরকম এক ধনী পরিবারে জন্ম হয়েও কী করে তিনি দরিদ্রদের মনের কথা বুঝতে পারলেন, কেমন করে লিখলেন, ‘এ জগতে হায়, সেই বেশি চায়, আছে যার ভুরি ভুরি’৷ কী ভাবে অনুভব করলেন শাস্তি গল্পের গ্রাম্যবধূ চন্দরার যন্ত্রণা বা পোস্ট অফিসের নিতান্ত সাদামাটা রতনের মনের কথা!

প্রথম যখন শান্তিনিকেতন গেলাম, চারধারের পরিবেশের এক অদ্ভুত প্রশান্তি অনুভব করলাম। মনে হল, এমন স্নিগ্ধ পরিবেশেই তো কালজয়ী সৃষ্টিরা কলমে আসে। নিজের অজান্তেই গেয়ে উঠলাম, ‘আকাশ-ভরা সূর্য তারা, বিশ্ব ভরা প্রাণ …..।’ আর অনুভব করেছিলাম কবিগুরুর আকাশের মতো উদার মনকে, কত অনায়াসে এই জমিদার পুত্র তাঁর স্থাবর, অস্থাবর যা কিছু আছে উজাড় করে দিয়েছেন আমাদের মতো জনসাধারণের কাছে, তাই না সৃষ্টি হয়েছে বিশ্ববন্দিত বিশ্ববিদ্যালয় বিশ্বভারতী! ‘তোমারেই করিয়াছি জীবনের ধ্রুব তারা’ হ্যাঁ সত্যি, প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে আমরা আমাদের এই বিশ্বকবির কাছেই জীবনবোধের পাঠ নিয়েছি। জীবনে আনন্দ, দুঃখ, প্রেম, শোক সবেতেই সঙ্গী হয়েছে রবীন্দ্র-সংগীত।

একবার কলকাতা বইমেলা থেকে একটা বই কিনেছিলাম, নাম, ‘তুমি রবে নীরবে’৷ কবির জীবনে অকালে চলে গেছেন তাঁর মা, স্ত্রী, এক পুত্র, এক কন্যা এমনকী শেষ বয়েসে এক নাতিও৷ সেই বিষয় ছিল বইটিতে। প্রিয়জনের এই বিয়োগ ব্যাথা কীভাবে তিনি জয় করেছেন জানতে বইটি পরে শিউরে উঠলাম। এছাড়া, নিজের মৃত্যু নিয়েও তাঁর কালজয়ী গান ‘যখন পড়বে না মোর পায়ের চিহ্ন এই বাটে’ আমায় শিখিয়েছে জীবনের চরম সত্যকে নির্বিকার চিত্তে মেনে নিতে।

‘ভালো, মন্দ যাহাই আসুক, সত্য রে লহ সহজে’- কী নিখাদ বাণী তাঁর। দুর্লভ কবিতাটিতে লিখছেন, ‘দেখা হয়ে নাই চক্ষু মেলিয়া, ঘর হইতে শুধু দুই পা ফেলিয়া, একটি ধানের শিষের উপর, একটি শিশির বিন্দু’ – জীবনের ছোট ছোট অনুভূতির সন্ধান দিয়েছেন তিনি। তিনি শিখিয়েছেন দুঃখের মধ্যে দিয়েও বাঁচার রসদ খুঁজে নিতে, কঠিন পরিস্থিতিতেও নম্র থেকে জীবন পণ করতে, কেউ সাড়া না দিলেও একলা পথ চলতে; আবার সেই তিনি প্রকৃতির মধ্যে প্রাণের স্পন্দন অনুভব করেছেন – ঝরা পাতা, কাশফুল, শিউলি ফুল এরা প্রাণবন্ত হয়ে উঠেছে তাঁর কবিতায়৷ কখনও শুষ্ক গ্রীষ্মকালকে স্পন্দিত করে গেয়ে উঠেছেন, ‘এসো হে বৈশাখ, এসো, এসো’, কখনও বসন্তকালকে ‘পথভোলা পথিক’ বলে সম্বোধন করেছেন, আবার চরম আধ্যাত্মিক ভাব চেতনা থেকে লিখেছেন , ‘রয়েছ তুমি একথা কবে, জীবন মাঝে সহজ হবে’ বা ‘তোমারে যেন না করি সংশয়’।

ছোটবেলা থেকে স্কুলে না বুঝেই গেয়ে উঠেছি কবিগুরুর বিখ্যাত প্রার্থনা সংগীত ‘আগুনের পরশমনি ছোঁয়াও প্রাণে’ আবার ‘আমরা সবাই রাজা আমাদেরই রাজার রাজত্বে’ এই গানটির প্রকৃত মর্মার্থ বুঝেছি এমবিএ করার পর। তাই আমার জীবনে চলার পথে তাঁর প্রভাব অশেষ, আজীবন।

(লেখিকা পরিচিতি: সুমেলা দত্ত কলকাতা থেকে বড় হয়েছেন। নব নালন্দা, গোখলে মেমোরিয়াল গার্লস স্কুল থেকে পাশ করে অর্থনীতি নিয়ে লেডি ব্রেবোর্ন কলেজ থেকে স্নাতক হন৷ এরপর কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতি নিয়ে স্নাতকোত্তর পাশ করেন। তারপর এমবিএ করেন আইআইএসডাবলুবিএম থেকে। বর্তমানে, মুম্বইতে এক বহুজাতিক সংস্থায় এইচআর ম্যানেজার পদে কর্মরতা৷)