কাজের ব্যস্ততার মাঝে মনের শান্তি পেতে ঘুরে আসুন উত্তরবঙ্গের এই গ্রামে

0
101

খাস ডেস্ক: একঘেয়ে লাগছে সবকিছু নিয়ে। সব চলছে কিন্তু আনন্দটা কোথাও পাওয়া যাচ্ছে না। অফিস-বাড়ি আর বাড়ি-অফিস এই একঘেয়ে জীবন আর তার সঙ্গে হাজার একটা চিন্তা। বিষণ্ণ লাগছে, কিছুই আর ভাল লাগছে না এমন মনে হল দু দিনের জন্য একটু ছুটি নিয়ে ঘুরে আসুন মনসংয়ে। উত্তরবঙ্গের একটি পাহাড়ি গ্ৰাম মনসং। পাহাড়ি গ্রাম, কাঞ্চনজঙ্ঘা, তিস্তা সঙ্গে যেটা একদম পাওয়া যায় না আমাদের শহরে সেটা হল নিস্তব্ধতা।

যাবেন নাকি উত্তরবঙ্গ? একটু ছুটি পেলেই ব্যাগ গুছিয়ে বেড়িয়ে পড়া বাঙালির যেমন অভাব নেই, তেমনই কিছু মানুষ আছে যারা ছুটি পেলেও পাহাড় পর্যন্ত পৌঁছতে পারছেন না। একঘেয়ে জীবন কাটিয়ে চলেছেন কিন্তু পাহাড়ের কোলে গিয়ে মাথা রাখতে পারছেন না। বেশি না ভেবে একটু বেরিয়েই পড়ুন মনসংয়ের উদ্দেশ্যে। নিরিবিলি পাহাড়ি গ্রাম, কাঞ্চনজঙ্ঘা, তিস্তা, সিঙ্কোনা, ব্রিটিশ বাংলো আর নিস্তব্ধতা। সবকিছু একসঙ্গে পেতে গেল এক রাত মনসংয়ে কাটিয়ে যেতে হবে।

- Advertisement -

কিভাবে যাবেন

এই মনসং উত্তরবঙ্গের একটি পাহাড়ি গ্রাম। সেই অর্থে এখনও পর্যটন মহলে জনপ্রিয়তার মুখ দেখেনি মনসং। সেবক রোড ধরে এগিয়ে যান সিকিমের দিকে। তিস্তা রিভার রাফটিং পয়েন্ট ছাড়িয়ে কালিম্পংয়ের উদ্দেশ্যে রওনা দিন। যেখান থেকে সিকিমের রংপো যাওয়ার রাস্তা চলে যাচ্ছে তার ঠিক আগে থামবেন। এই অবধি আসা পর্যন্ত আপনাকে সঙ্গ দেবে তিস্তা। ডান হাতের রাস্তা ধরে উপরে উঠবেন ঘন সবুজ জঙ্গলের মধ্য দিয়ে। যত উপরে যাবেন তত সুন্দর ভিউ চোখের সামনে। প্রায় ৪৫ মিনিট পর পৌঁছে যাবেন গন্তব্যে অর্থাৎ মনসং গ্রাম।

এই গ্ৰাম বাড়ির সংখ্যা খুব কম। এই গ্রামের মানুষদের আতিথেয়তা মনে রাখার মতো। গ্রামের সৌন্দর্য দেখে আপনার মন ভাল হতে বাধ্য। চাক্ষুষ করার পর একঘেয়েমি দূর হবে , চারিদিকে পাহাড় ঘন সবুজ জঙ্গল আর মনসংয়ের একদিক থেকে স্পষ্ট দেখা যায় কাঞ্চনজঙ্ঘা। শহরের এত ভিড় ফেলে রেখে দুদিনের জন্য নিস্তব্ধতা উপভোগ করে আসুন। শরীরের আরাম মনের বিশ্রামের এক অনবদ্য ঠিকানা হতে পারে মনসং। এখানে ভোর আসে কাঞ্চনজঙ্ঘার দৃশ্য আর হিমালয়ের পাখিদের কলরব নিয়ে। রাত হলে এখানে ঝিঁঝিঁর ডাক। আর অনেকটা দূরে মিটমিট করে জ্বলতে থাকে পাহাড়ি গ্রামগুলি।