একদা মাওবাদীদের ডেরা এখন পর্যটন কেন্দ্র

0
53

খাস খবর ডেস্ক: বাঙালিদের মন সর্বদা ভ্রমণ পিপাসু। আর আমাদের রাজ্যেও তেমনই ভ্রমণবিলাসী মানুষদের জন্যে রয়েছে অনেক ঘোরার জায়গা। খরচও সাধ্যের মধ্যেই। শুধু হাতে চাই সঠিক ট্যুর প্ল্যান আর দৈনন্দিন কাজ থেকে কিছুদিনের একটু বিশ্রাম। সপ্তাহান্তের ছুটির জন্য আদর্শ জায়গা ঝাড়গ্রাম ও তার চারপাশের জায়গাগুলো। ঝাড়গ্রামে বেলপাহাড়ির কোলে লুকিয়ে থাকা এক অজানা আস্তানা ঢাঙিকুসুম পর্যটকদের এক নতুন গন্তব্যস্থল।

আরও পড়ুনঃ Rahul-Rooqma : নকল বিয়ের আসল ভোজ, মেনু শুনলে জিভে জল আসবে আপনারও

- Advertisement -

ঝাড়খণ্ড সীমান্ত লাগোয়া পাহাড়-ঝরনার ঢাঙিকুসুম যেন ক্যানভাসের আঁকা ছবি। একদা মাওবাদীদের ডেরা ছিল। একসময় তাদের ভয়ে কেউ আসতে চাইত না এই গ্রামে। কিন্তু, এখন সেসব অতীত। একটা সময় ছিল এই ঢাঙিকুসুম ঝরনার কাছে পৌঁছতে জঙ্গলের ভেতরে পাথরের উপর দিয়ে চড়াই-উতরাই পার হতে হত। তবে, এখন পরিবেশ একদম অন্যরকম। এখন বেলপাহাড়ি থেকে সহজেই পৌঁছানো যায় ঢাঙিকুসুমে। বেশ কিছু বছর হয়েছে চিড়াকুটি থেকে ঢাঙিকুসুম পর্যন্ত পাহাড় কেটে পিচ রাস্তা তৈরি করা হয়েছে। পাশাপাশি পৌঁছেছে বিদ্যুৎ ও পানীয় জলও।

আরও পড়ুনঃ অগ্নিপথে বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া উচিত: Venkatesh Prasad

অ্যাডভেঞ্চার ট্যুরিস্টদের জন্য বেলপাহাড়ি ব্লকের ঢাঙিকুসুমের ঝরনার জলের আওয়াজ আর পাখির ডাকে যে কেউ হারিয়ে যাবেন জঙ্গলের ভেতরে। বিকেলে পাহাড়ের কোলে পড়ন্ত সূর্যের মায়াবী রূপে সেজে ওঠে ঢাঙিকুসুম। পর্যটকদের জন্য সেখানে সিভিক ভলান্টিয়ার মোতায়েন করা হয়েছে। তাঁরা পর্যটকদের যেমন পথ নির্দেশিকা দিচ্ছেন, তেমনই নতুন আগন্তুক কোথা থেকে আসছেন সে সবও জিজ্ঞাসা করছেন। ঘুরতে আসা গাড়ির নম্বরও খাতায় লিখে রাখছেন সিভিক ভলান্টিয়াররা।