বাড়ছে ম্যালেরিয়া এবং ডেঙ্গুর মতো মশাবাহিত রোগের প্রকোপ, উদ্বিগ্ন স্বাস্থ্যকর্তারা

0
36
dengue

খাস প্রতিবেদন: মাঝের দু’বছর করোনার দাপটে সেভাবে সামনে আসেনি ম্যালেরিয়া এবং ডেঙ্গুর মতো মশাবাহিত রোগের প্রকোপের কথা৷ তবে বর্ষার পাঁচ মাস আগেই ফের শহর কলকাতা সহ রাজ্যের একাংশে ক্রমেই প্রকোপ বাড়ছে মশাবাহিত এই দুই রোগের৷ যা যথেষ্ঠ উদ্বেগের বলেই মনে করছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা৷

আরও পড়ুন: বিয়ের পাকা কথা বলার টোপ দিয়ে প্রেমিককে ডেকে…

- Advertisement -

কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত বছর এরাজ্যে ডেঙ্গুতে মৃত্যু হয় ৩০ জনের। ম্যালেরিয়ায় তিন জনের। একইভাবে ডেঙ্গু এবং ম্যালেরিয়ায় গত বছর আক্রান্তের সংখ্যা ছিল যথাক্রমে ৬৭ হাজার ২৭১ জন এবং ৪০ হাজার ৫৬৩ জন। চলতি বছরে ১ মে পর্যন্ত কলকাতা শহরে ৮৩ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন৷ অন্যদিকে এই সময়ে ম্যালেরিয়ায় আক্রান্তের সংখ্যা ৩৬৫ জন৷ দুটি ক্ষেত্রেই বেসরকারি মতে সংখ্যাটি অনেক বেশি বলেই মত বিশেষজ্ঞদের৷

আরও পড়ুন: নিয়োগ দুর্নীতিতে সিবিআই তদন্ত বন্ধের আর্জি রাজ্যের

বস্তুত, বর্ষা আসতে ঢের দেরি৷ তার আগেই যেভাবে ম্যালেরিয়া এবং ডেঙ্গুর মতো মশাবাহিত রোগের প্রকোপ ক্রমেই বেড়ে চলেছে, তাতে যথেষ্ঠ চিন্তিত কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক৷ বিশেষত, কলকাতা, হাওড়া, পূর্ব মেদিনীপুর, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি, বসিরহাট স্বাস্থ্য জেলার ক্ষেত্রে বাড়তি উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে কেন্দ্রীয় রিপোর্টে৷ কারণ, ২০২২ সালে ডেঙ্গু আক্রান্তের নিরিখে ৬৭ হাজার ছুঁয়ে দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ স্থানে পৌঁছেছিল পশ্চিমবঙ্গ।

আরও পড়ুন: ‘আগে ডেড বডি নিয়ে যেতেন, এখন ডেড বডি বানাচ্ছেন’

যদিও রাজ্যের স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দাবি, আগের তুলনায় বেশি সংখ্যক মানুষের পরীক্ষা হচ্ছে৷ সেই কারণেই আক্রান্তের সংখ্যা বেশি আসছে৷ রাজ্যের স্বাস্থ্য-অধিকর্তা সিদ্ধার্থ নিয়োগীর দাবি, ‘‘ ১০৬টি সরকারি হাসপাতাল এবং পুরসভা স্তরে প্রায় ২৫০টি জায়গায় ডেঙ্গিু পরীক্ষার বন্দোবস্ত রয়েছে। মশাবাহিত রোগ নিয়ন্ত্রণে রাখতে ইতিমধ্যেই মুখ্যসচিব সকলকে সতর্ক হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। ভেক্টর কন্ট্রোলের জন্য সমস্ত পুরসভা ও পঞ্চায়েতকে এখন থেকেই ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। অনেক জায়গায় সেই মতো খাল, নিকাশি নালা পরিষ্কার করা হচ্ছে।’’

আরও পড়ুন: বাড়ছে বজ্রাঘাতে মৃত্যুর সংখ্যা, এর জন্য কে দায়ী, আসল কারণটা জানেন

তবে বর্ষার পাঁচ মাস আগে থেকেই যেভাবে ম্যালেরিয়া এবং ডেঙ্গু প্রকোপ বৃদ্ধি করতে শুরু করেছে, তা যথেষ্ঠ উদ্বেগের বলেই মনে করছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের শীর্ষ কর্তারা৷

আরও পড়ুন: চলন্ত ট্রেনের সামনে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা, বাঁকুড়ায় চাঞ্চল্য