পলাশ নস্কর, কলকাতা: কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে সল্টলেকে পশ্চিমবঙ্গ মেডিকেল কাউন্সিলের অফিসে এলেন আইনজীবীরা। কাউন্সিলের সদ্যসমাপ্ত নির্বাচন সংক্রান্ত যাবতীয় নথি সংগ্রহ করতেই শুক্রবার দুপুরে তিনজনের এই প্রতিনিধি দল এসে পৌঁছলেন মেডিকেল কাউন্সিলের অফিসে। বস্তুত, সদ্য সমাপ্ত মেডিকেল কাউন্সিলের নির্বাচনে বিস্তর বেনিয়মের অভিযোগ সামনে এসেছিল৷ ব্যালটের রঙ এর ফারাক থেকে শুরু করে একই প্রার্থীর নাম দু’জায়গাতে দেখা গিয়েছিল৷ যা নিয়ে আদালতে মামলা দায়ের হয়৷
চলতি বছরের সেপ্টেম্বরের শুরুতে ওয়েস্ট বেঙ্গল মেডিকেল কাউন্সিলের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়৷ ১৯ অক্টোবর ছিল ভোটগণনা৷ অভিযোগ, ভোটগণনা শুরু হতে সামনে আসে কারচুপির ঘটনা৷ দেখা যায়, ব্যালটের রঙ এর ফারাক রয়েছে। এমনই একই ব্যালটের দু’জায়গাতে একই প্রার্থীর নাম! এমনকি রিটার্ন ব্যালটের হিসাব কিছু ছিল না কাউন্সিলের কাছে। এরপরই জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অফ ডক্টরসদের তরফে নির্বাচনের কারচুপি নিয়ে বিচারপতি মৌসুমী ভট্টাচার্যের এজলাসে মামলা রুজু করে৷
সূত্রের খবর: দু’পক্ষের বক্তব্য শোনার পর বিচারপতি মৌসুমী ভট্টাচার্য ওয়েস্ট বেঙ্গল মেডিকেল কাউন্সিলকে নির্দেশ দেন যে, ১.ভোটার সংখ্যা কত৷ ২. কত ভোট গণনা হয়েছে। ৩. কত ভোট বাতিল হয়েছে সবগুলির সংখ্যা গণনা করে জানাতে। হাইকোর্টের তরফে মণীশ রায়কে স্পেশাল অফিসার হিসাবে নিয়োগ করা হয়৷ এদিন তিন সদস্যের প্রতিনিধি দল ওয়েস্ট বেঙ্গল মেডিকেল কাউন্সিলে যান এবং মেডিকেল কাউন্সিলের রেজিস্টারের উপস্থিতিতে নির্বাচন সংক্রান্ত সমস্ত দলিল সংগ্রহ করেন৷
সূত্রের খবর: পশ্চিমবঙ্গ মেডিকেল কাউন্সিলের অফিস থেকে ৩ টি ট্রাঙ্ক ২০ ব্যালট বক্স সংগ্রহ করা হয়েছে। হাইকোর্টের প্রতিনিধি দল দুপুর ২ টো নাগাদ আসে৷ সাড়ে চারটে নাগাদ বেরিয়ে যায়। তবে হাইকোর্টের তরফে যে সমস্ত নথি সংগ্রহ করতে বলা হয়েছিল, সেই মতো নথিপত্র দেওয়া হয়নি। তাছাড়া হাইকোর্টের নিযুক্ত অফিসারের সামনে ভিডিওগ্রাফি করার চেষ্টা শাসক দলের চিকিৎসক বীরুপাক্ষ বিশ্বাসের। সংগৃহীত নথি জমা থাকবে কলকাতা হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলের কাছে৷ আগামী ১৯ ডিসেম্বর মামলার পরবর্তী দিন ধার্য করা হয়েছে৷ সেদিনই আদালতে যাবতীয় নথি পেশ করা হবে৷ একই সঙ্গে অসহযোগিতার কথাও আদালতকে জানাবেন প্রতিনিধি দলের সদস্যরা৷
আরও পড়ুন:আপাতত স্বস্তিতেই শুভেন্দু, রাজ্যকে এফআইআরের নির্দেশ দিল না আদালত