আদালতের রায়ে একজনের চোখে আনন্দাশ্রু, চাকরি খুইয়ে অন্যজনের চোখে আশঙ্কার জল

0
53

খাস প্রতিবেদন: আদালতের রায়ে একজনের চোখে যখন আনন্দাশ্রু, চাকরি খুইয়ে অন্যজনের চোখ উপচে ততক্ষণে নেমেছে ভবিষ্যতের অজানা আশঙ্কার জল! শিক্ষাক্ষেত্রে নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে দীর্ঘ কয়েক বছর আইনি লড়াইয়ের পর অবশেষে মঙ্গলবার চাকরি পেলেন অনামিকা রায়। আগামী ২ সপ্তাহের মধ্যে তাকে চাকরিতে যোগদানের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। অন্যদিকে একই রায়ের জেরে চাকরি হারাতে হল শিলিগুড়ির বাসিন্দা ববিতা সরকারকে। স্বভাবতই সামনে এসেছে দুই ধরণের প্রতিক্রিয়া৷

আরও পড়ুন: জঙ্গলমহলে ফের মাওবাদী! কুর্মীরা কাদের ফাঁদে পা দিলেন- কি বললেন দিলীপ ঘোষ

- Advertisement -

আনন্দাশ্রুকে সঙ্গী করেই সদ্য চাকরি পাওয়ার আনন্দে অনামিকা বলছিলেন, ‘‘আজ আমার খুশির দিন৷ এই দিনটার জন্যই এত লড়াই, এত অপেক্ষা৷’’ অন্যদিকে চাকরি খুইয়ে ববিতা বলছেন, ‘‘আমার ভুল না কমিশনের ভুল বুঝতে পারছি না৷’’ টাকা ফেরতের জন্য তাঁকে তিন মাস সময় দেওয়ার আবেদন জানিয়েছেন আদালতে৷

আরও পড়ুন: কোচবিহারে উলোটপুরাণ, দেখা নেই বৃষ্টির, ব্যাঙের বিয়ে দিলেন গ্রামবাসীরা

বস্তুত, রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীর বিরুদ্ধে নিজের কন্যা অঙ্কিতা অধিকারীকে বেআইনিভাবে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ করেছিলেন ববিতা। মেধা তালিকায় অঙ্কিতা তার থেকে পিছনে থেকেও কি করে চাকরি পেলেন, তুলেছিলেন সেই প্রশ্নও৷ যার জেরে আদালতের নির্দেশে চাকরি যায় অঙ্কিতার৷ বছর খানেক আগে সেই চাকরি পান ববিতা৷ অঙ্কিতার এত দিনের চাকরির সব বেতনও দিয়ে দেওয়া হয়েছিল ববিতাকে। কিন্তু চাকরি পাওয়ার ৬ মাসের মধ্যেই প্রশ্নের মুখে পড়ে ববিতার নিয়োগও। ববিতার চাকরি বাতিলের দাবিতে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন শিলিগুড়িরই এসএসসি পরীক্ষার্থী অনামিকা।

আরও পড়ুন: বন্ধ ভাতা, জিয়ন কাঠির সন্ধানে ‘মৃত’ বামপন্থী সিনিয়র সিটিজেন

আদালতে অনামিকার দাখিল করা অভিযোগে দাবি করা হয়েছিল, স্কুল সার্ভিস কমিশন (এসএসসি)-এর কাছে আবেদন করার সময় ববিতা স্নাতক স্তরের শতকরা নম্বর বাড়িয়ে দেখিয়েছেন। যার ফলে তাঁর ‘অ্যাকাডেমিক স্কোর’ বেড়ে গিয়েছে। কিন্তু আদতে ববিতা তার চেয়ে ২ নম্বর কম পেয়েছিলেন৷ অর্থাৎ চাকরি পাওয়ার প্রকৃত যোগ্য তিনিই৷ সেই মামলাতেই মঙ্গলবার ববিতার চাকরি বাতিল করে সেই চাকরি অনামিকাকে ফেরানোর নির্দেশ দেন বিচারপতি৷ তবে এই এক বছর শিক্ষকতার বেতন ফেরৎ দিতে হবে না ববিতাকে৷ তিনি অঙ্কিতার কাছ থেকে যে ১৫ লক্ষ ৯২ হাজার ৮৪৩ টাকা পেয়েছিলেন, সেটাই হাইর্কোটের রেজিস্টারের কাছে ফেরানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে৷ হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার সেই টাকা নতুন চাকরি প্রাপক অনামিকা রায়ের হাতে তুলে দেবেন।

আরও পড়ুন: নবজোয়ারের নামে আসলে জেলায় জেলায় কি হচ্ছে, গোপন তথ্য ফাঁস