স্পোর্টস ডেস্ক: ফিফা বিশ্বকাপ ২০২২ শুরু হওয়ার আগেয়াও বিতর্ক চলছিল এবং এখন টুর্নামেন্ট শুরু হওয়ার পরেও একাধিক বিতর্ক চলছে। সমস্যায় পড়েছিলেন প্রথম টিভি রিপোর্টাররাও। ডেনমার্কের এক সাংবাদিককে কয়েকজন ভিডিও করতে বাধা দেয়। সেই সঙ্গে এক মহিলাও ডাকাতির শিকার হয়েছেন। এবার টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় ম্যাচে খেলোয়াড়দের নিয়েও বিতর্ক শুরু হয়ে গিয়েছে। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচের আগে ইরানের খেলোয়াড়রা তাদের দেশের জাতীয় সঙ্গীত গাইতে অস্বীকার করে। ইরানের সরকারের বিরুদ্ধে চলতি বিক্ষোভকে সমর্থন করতে গোটা ইরান দল এই পদক্ষেপ নিয়েছে।
ইরান ফুটবল দলের অধিনায়ক আলিরেজা জাহানবাস্ক ম্যাচের আগে বলেছিলেন যে, দলের সব খেলোয়াড় একসঙ্গেই সিদ্ধান্ত নেবেন তারা সরকার বিরোধী বিক্ষোভের সমর্থনে জাতীয় সঙ্গীত গাইতে অস্বীকার করবেন কিনা। ম্যাচের আগে যখন ইরানের জাতীয় সঙ্গীত বাজছিল, তখন ইরানের ১১ জন খেলোয়াড় খলিফা আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে গম্ভীর ভঙ্গিতে দাঁড়িয়েছিলেন। তখন সব খেলোয়াড়ই খুব আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছিলেন। মাহসা আমিনি (২২) নামে এক নাগরিকের ইরানে ১৬ সেপ্টেম্বর পুলিশ হেফাজতে মৃত্যু হয়। এরপর থেকে গত দুই মাসে গোটা ইরানে সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ চলছে।
আরও পড়ুন: আজকের ময়দানের খাস খবর (২১ নভেম্বর, ২০২২)
কুর্দি বংশোদ্ভূত ২২ বছর বয়সী ইরানী আমিনিকে তেহরানে গ্রেফতার করা হয়েছিল। এর তিন দিন পর তার মৃত্যু হয়। আমিনির বিরুদ্ধে ইরানের ড্রেস কোড লঙ্ঘনের অভিযোগ আনা হয়। ইরানের ড্রেসকোডে হিজাব বাধ্যতামূলক। এই ঘটনার প্রতিবাদেই ইরানের খেলোয়াড়রা সরকারের বিরুদ্ধে চলমান বিক্ষোভের সমর্থনে জাতীয় সঙ্গীত গাওয়া এবং সেলিব্রেট না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কাতার বিশ্বকাপে এটি দুই দিনে তৃতীয় বড় বিতর্ক। এর আগে ডেনমার্কের এক রিপোর্টারকে কয়েকজন লোক ভিডিও করতে বাধা দেয়। এই ঘটনা পরে ক্ষমাও চেয়েছিল কাতার কর্তৃপক্ষ।