মদ্যপ শিক্ষকের অত্যাচারে অতিষ্ঠ ছাত্র-ছাত্রীরা, বাড়ছে স্কুল ছুটের সংখ্যা

0
26

সুদেষ্ণা মণ্ডল, পাথরপ্রতিমা: চোখের পাতা খোলা থেকে চোখ বন্ধ করা পর্যন্ত আকন্ঠ মদ্যপান করার অভিযোগ দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে৷ অভিযোগ, মদ্যপ অবস্থায় স্কুলে এসে ছোট্ট ছোট্ট ছেলেদেরকে মারধর করতে থাকেন। ভয়ে স্কুল ছেড়ে পালিয়ে যায় ছাত্রছাত্রীরা। যার জন্য বাড়ছে স্কুল ছুটদের সংখ্যা। ঘটনার জেরে উদ্বিগ্ন অভিভাবকরা। ঘটনাটি পাথরপ্রতিমার জীপ্লটের তটের বাজার এলাকার উত্তর সুরেন্দ্রগঞ্জ অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের৷

অভিভাবক থেকে স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, শিক্ষা জাতির মেরুদন্ড৷ আর শিক্ষক হল মানুষ তৈরির কারিগর৷ কিন্তু বর্তমান আবহে রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে৷ শিক্ষা বিভাগের মন্ত্রী থেকে আমলা যখন জেলে, তখন পাথর প্রতিমার এই ঘটনা থেকে স্পষ্ট, শিক্ষাব্যবস্থায় ঘুণ ধরতে শুরু করেছে। অভিযোগ, সুরেন্দ্রগঞ্জ অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ে রয়েছেন দু’জন শিক্ষক এবং ১২৮ জন ছাত্রছাত্রী। অভিযোগ, মদ্যপ অবস্থায় এই দুই শিক্ষক স্কুলে আসেন৷ কখনও রাস্তায় পড়ে থাকেন, কখনও নৌকাতে, কখনও স্কুলের বারান্দায়। মানবিক কারণে রাস্তায় পড়ে থাকা ওই শিক্ষকদের তুলে নিয়ে স্কুলে দিয়ে আসেন অভিভাবকরা।

- Advertisement -

তাঁদের অভিযোগ, এতসবের পরও নেশার ঝোঁকে দুই শিক্ষক স্কুলে এসে কারণে অকারণে ছাত্রছাত্রীদের মারধর করেন। আর এতেই ক্ষুব্ধ অভিভাবক অভিভাবিকারা থেকে এলাকার মানুষ। স্থানীয়প প্রশাসনের কাছে দরবার করেও কোন ফল হয়নি। বাধ্য হয়ে প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন তাঁরা৷ অবিলম্বে যেন ওই শিক্ষকদের অন্যত্র বদলি করে শিক্ষা ক্ষেত্রে সুস্থ পরিবেশ ফিরিয়ে আনেন ছাত্রছাত্রীদের স্বার্থে। যদিও সহকারী শিক্ষক অনুব্রত মোদক জানিয়েছেন, ‘‘তিনি মদপান করেন না৷ দিনে গুটকা ৮-১০টি খান।’’ অন্যদিকে প্রধান শিক্ষক প্রবীণ মাহাতো জানিয়েছেন, ‘‘সহকারি শিক্ষক মাঝেমধ্যেই মদ খেয়ে আসতেন। কিন্তু তিনি এখন খান না।’’

স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্যা ভিইসি কমিটির সভাপতি কাকলি সাঁতারা জানিয়েছেন, ‘‘অভিযোগ পাওয়ার পর তিনি দিনের-পর-দিন ওই স্কুলের শিক্ষক এবং অভিভাবকদের নিয়ে বসেছেন৷ বারবার সবার সামনে কথা দেওয়ার পরও একই অবস্থা৷ এখনও সপ্তাহের প্রায় দিন মদ খেয়ে স্কুলে আসছেন দু’জন।’’ উপযুক্ত শাস্তির মাধ্যমে ওদেরকে স্কুল থেকে সরিয়ে দেওয়ার দাবি তুলেছেন তিনি।

আরও পড়ুন: মামলার পর মামলা, সময়ে টেটের নিয়োগ নিয়ে বাড়ছে উৎকন্ঠা