১ কোটি মুক্তিপণ চাওয়ার পরই নিখোঁজ ছাত্রের দেহ উদ্ধার, পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে অভিযুক্তের বাড়ি ভাঙচুর

0
46

খাস ডেস্ক: দুই ছাত্রকে অপহরণের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। এক কোটি টাকা মুক্তিপণ চাওয়ার পরও অপহৃত দুজনের দেহ উদ্ধার করা হয়। পরিবারের তরফে পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ আনা হয়েছে। এদিকে দুই ছাত্রের অস্বাভাবিক মৃত্যুকাণ্ডে CBI তদন্তের দাবি জানিয়েছে বিজেপি। সল্টলেকে সাংবাদিক বৈঠক করে দাবি তোলেন রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য।

আরও পড়ুন: নিয়ম ভেঙে ফের কাশ্মীরে আন্তর্জাতিক সীমান্তে যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন পাকিস্তানি সেনার

- Advertisement -

পরিবারের অভিযোগ, বাগুইআটি থানায় অভিযোগ জানানো হলেও পুলিশের তরফে কোনও প্রয়োজনীয় পদেক্ষেপ নেওয়া হয়নি। সোমবার রাতে পুলিশের তরফে জানানো হয় বসিরহাটে নিখোঁজ দুই ছাত্রের দেহ উদ্ধার হয়েছে। খবর জানাজানি হতেই ক্ষোভে ফেটে পড়ে স্থানীয়রা। পরিবারের দাবি, পুলিশ সঠিক সময়ে সঠিক ব্যবস্থা নিলে ছাত্রদের খুঁজে পাওয়া যেত। এভাবে একজনকে প্রাণ হারাতে হত না।

আরও পড়ুন: টেট উত্তীর্ণ আরও ৫৪ জনকে চাকরির নির্দেশ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের

পরিবারের অভিযোগ, বাগুইআটি থানায় অভিযোগ জানানো হলেও পুলিশের তরফে কোনও প্রয়োজনীয় পদেক্ষেপ নেওয়া হয়নি। সোমবার রাতে পুলিশের তরফে জানানো হয় বসিরহাটে নিখোঁজ এক ছাত্রের দেহ উদ্ধার হয়েছে। মৃতের নাম অতনু দে। খবর জানাজানি হতেই ক্ষোভে ফেটে পড়ে স্থানীয়রা। পরিবারের দাবি, পুলিশ সঠিক সময়ে সঠিক ব্যবস্থা নিলে ছাত্রদের খুঁজে পাওয়া যেত। এভাবে একজনকে প্রাণ হারাতে হত না।

এদিন অভিযুক্ত সত্যেন চৌধুরীর বাড়িতে চড়াও হয় মৃত ছাত্রের পরিবার সহ এলাকার বহু বাসিন্দা। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠলে নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় বাগুইআটি থানার পুলিশ। পরিবারের অভিযোগ, সত্যেন চৌধুরীর ফোন থেকেই মুক্তিপণের মেসেজ পাঠানো হয়েছে। পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে, বাইক কেনার জন্য অতনু অভিযুক্তকে পঞ্চাশ হাজার টাকা দেয়। বাইক কিনতে দুজনকে সঙ্গে নিয়ে যায় সত্যেন্দ্র। এরপর থেকেই তাঁরা নিখোঁজ। পুলিশ সূত্রে খবর, মৃত অতনু দে-র প্রতিবেশী অভিযুক্ত। এরপর অভিজিৎ নামের একজনকে এবং আরও তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতদের নাম অভিজিৎ বোস, শামীম আলী, সাহিল মোল্লা ও দিব্যেন্দু দাস। তবে মূল অভিযুক্ত সত্যেন্দ্র চৌধুরী এখনও পলাতক।