১.৯০ কোটি টাকার বীমা হাতাতে স্ত্রীকে খুন করল স্বামী

0
33
Murder

জয়পুর: টাকার নেশা বড়ই খারাপ। কেবল টাকার জন্য নিজের স্ত্রীকে কেউ খুন করতে পারে তা স্বপ্নেও ভাবেননি প্রতিবেশীরা। স্ত্রীর নামে করা ছিল কোটি টাকার বিমা। সেই টাকা হাতাতেই ভাড়াটে খুনি দিয়ে স্ত্রীকে খুন করার অভিযোগ উঠেছে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে।

১.৯০ কোটি টাকার বীমা হাতাতেই স্ত্রীকে খুন করা হয়েছে বলেই অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। শালু নামের মহিলা ৫ অক্টোবর স্বামী মহেশ চাঁদের অনুরোধে তাঁর ভাইয়ের সঙ্গে একটি মোটরসাইকেলে চড়ে মন্দিরে যাচ্ছিলেন পুজো দিতে। সেই সময়েই উল্টো দিক থেকে আসা একটি এসইউভি গাড়ি তাঁদের বাইকে এসে সজোরে ধাক্কা দেয়। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ওই মহিলার। দুর্ঘটনার পর বাইকের চালক অর্থাৎ মহিলার ভাইকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও পরে গুরুতর আঘাতের কারণে তাঁর মৃত্যু হয়। প্রথমে এটিকে দুর্ঘটনা বলে মনে করা হলেও পরে জানা যায় যে মহিলার স্বামী তাঁর স্ত্রীর নামে থাকা ১.৯০ কোটির বীমার টাকা হাতাতেই বউকে খুনের ষড়জন্ত্র করেছে। এই দুর্ঘটনা ঘটানোর জন্য ভাড়াটে খুনিকে টাকাও দিয়েছিল ওই ব্যক্তি। পরিবারের সদস্যরাও খুন বলেই সন্দেহ করেছিল।

- Advertisement -

আরও পড়ুন- “আমার গায়ে যত কাদা ছুঁড়বে, ততই পদ্ম ফুটবে” গুজরাট থেকে কংগ্রেসের কটাক্ষের পাল্টা জবাব PM Modi-র

ডেপুটি কমিশনার অফ পুলিশ বন্দিতা রানা বুধবার বলেছেন যে মহেশ চাঁদ ৪০ বছরের জন্য স্ত্রী শালুকে বীমা করেছিলেন। বিমার পরিমাণ স্বাভাবিক মৃত্যুতে ১ কোটি এবং দুর্ঘটনায় মৃত্যুর জন্য ১.৯০ কোটি ছিল। পুলিশ আরও জানিয়েছে, চাঁদ স্ত্রী শালুকে হত্যা করার জন্য ভাড়াটে খুনি মুকেশ সিং রাঠোরের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছিল। রাঠোর কাজের জন্য ১০ লক্ষ দাবি করেছিল এবিং তাকে ৫.৫ লক্ষ টাকা অগ্রিম দেওয়া হয়েছিল বলেই পুলিশ জানিয়েছে। পুলিশ আরও জানিয়েছে যে, শালুর সঙ্গে মহেশ চাঁদের ২০১৫ সালে বিয়ে হয়েছিল তাঁদের একটি মেয়েও রয়েছে। কিন্তু বিয়ের দুই বছর পর তাদের মধ্যে ঝগড়া শুরু হয় এবং সে তার বাবা-মায়ের বাড়িতে থাকতে শুরু করে। তিনি ২০১৯ সালে গার্হস্থ্য অত্যাচারের একটি মামলাও নথিভুক্ত করেছিলেন।

আরও পড়ুন- “খাড়গেকে সম্মান করি কিন্তু…” গুজরাটের প্রচারমঞ্চ থেকে ‘রাবণ’ মন্তব্যের জবাব দিলেন প্রধানমন্ত্রীর 

তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে চাঁদ সম্প্রতি শালুকে দিয়ে বীমা করিয়েছিলেন। পরে তিনি তাকে বলেছিলেন যে তাঁর একটি ইচ্ছা রয়েছে সেটা কাউকে না বলার কথাও জানান তিনি। স্ত্রীকে চাঁদ বলেছিলেন একটি মোটরসাইকেলে করে ১১ দিন ধরে একটি হনুমান মন্দিরে যেতে হবে। তিনি আরও বলেছিলেন যে তাঁর ইচ্ছা পূরণ হলে তাঁর স্ত্রী নিজের বাড়ি ফিরে পাবেন। এই কারণেই স্ত্রীকে তাঁর ভাইয়ের সঙ্গে মোটরসাইকেলে মন্দিরে যেতে বলেন। ৫ অক্টোবর, যখন শালু এবং রাজু মন্দিরে যাচ্ছিলেন, তখন রাঠোর এবং অন্য তিনজন একটি এসইউভিতে তাদের ধাওয়া করে এবং তাদের মোটরসাইকেলকে ধাক্কা দেয়। পুলিশ জানিয়েছে দুর্ঘটনার সময় মহেশ চাঁদ একটি মোটরসাইকেলে ছিল এসইউভি অনুসরণ করছিলেন। দুর্ঘটনার পর তিনি ঘটনাস্থল থেকে ফিরে আসেন। রাঠোর এবং অন্য দুজন এসইউভির মালিক রাকেশ সিং এবং সোনুকেও গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি দুই আসামি পলাতক বলে জানিয়েছে পুলিশ।