৫ কোটি দিয়েও পাননি কাজের বরাত, গাঁজা কেসে ফাঁসিয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়েছিলেন কেষ্ট

0
77
ফাইল ছবি

কলকাতা: কেচো খুঁড়তে কেউটে বেরিয়ে পড়ার উপক্রম। গরু পাচার মামলার তদন্তে নেমে ইতিমধ্যেই বেআইনি রাইস মিল, একাধিক বিলাসবহুল গাড়ির দৌলতে আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিবিহীন মামলায় জড়াচ্ছে অনুব্রত মণ্ডলের নাম৷ এবার সেই সঙ্গে সামনে এল, প্রভাব খাটিয়ে ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা ‘তোলা আদায়ে’র অভিযোগ৷ বীরভূমের দোর্দন্ডপ্রতাপ তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে এমনই বিস্ফোরক অভিযোগ সামনে এনেছেন বীরভূমের দুই ব্যবসায়ী৷ যার জেরে নতুন করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে৷

বস্তুত, গরু পাচার কাণ্ডের তদন্তে নেমে এদিন বোলপুরের ভোলে ব্যোম রাইসমিলে পৌঁছে যান সিবিআই কর্তারা৷ সেখানে বন্ধ রাইস মিল থেকে এদিন পাঁচ পাঁচটি বিলাসবহুল গাড়ির হদিস পেয়েছেন তদন্তকারীরা। গাড়িতে রয়েছে রাজ্য সরকারের স্টিকার লাগানো বোর্ডও৷ এর মধ্যে একটি গাড়িতে অতীতে বারংবার অনুব্রতকে চড়তে দেখা গিয়েছে৷ ইতিমধ্যে তদন্তকারীদের নজরে, মোট ১২ টি চাল কল৷ নামে-বেনামে যে চালকলগুলির মালিক স্বয়ং অনুব্রতই৷ তদন্তে নেমে এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য পেয়েছেন তদন্তকারীরা (ED)৷

- Advertisement -

এরই মাঝে বিস্ফোরক তথ্য সামনে এনেছেন বীরভূমের দুই গাড়ি ব্যবসায়ী। এক ব্যবসায়ীর কথায়, ঠিকাদারির বরাত পেতে অনুব্রত মণ্ডলকে কোটি-কোটি টাকার গাড়ি দিয়েছিলেন তিনি৷ কিন্তু কাজের বরাত পাননি৷ তখন টাকা চাইতে গেলে তাঁকে শুনতে হয়েছিল, গাঁজা কেসে ফাসিয়ে দেওয়ার হুমকি৷ ওই ঠিকাদারের কথায়, ‘‘জলে থেকে তো কুমিরের সঙ্গে লড়াই করা যায় না৷ টাকা এবং গাড়ি দিই৷ কিন্তু কাজের বরাত পাইনি৷ উল্টে টাকা চাইলে গাঁজা কেসে ফাঁসিয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়েছিল৷’’

প্রবীর মণ্ডল নামে সিউড়ির আর এক গাড়ি মালিক বলেন, ‘‘এতদিন ভয়ে অভিযোগ জানাতে পারিনি৷ ওনাকে দু’দফায় নগদ ৫ কোটি ৪৬ লক্ষ টাকা দিয়েছি৷ গাড়িও দিয়েছি৷ কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি৷ টাকা ফেরত চাইলে বলে জেলে থাকবি না গাড়ি চাপবি!” স্বভাবতই, সংশ্লিষ্ট দুই ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে নতুন করে তদন্তে নেমেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা৷ যা দেখে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, যেভাবে কেষ্ট কেচ্ছা সামনে আসছে, তাতে আগামীদিনে অনুব্রতর বিপদ আরও বাড়তে চলেছে৷

আরও পড়ুন: https://play.google.com/store/apps/details?id=app.aartsspl.khaskhobor