কলকাতা: অবশেষে শুনানি শেষ হল আনিস খান হত্যা মামলায়৷ তবে এদিন রায় ঘোষণা করেননি বিচারপতি৷ বরং মামলার আদ্যন্ত পর্যবেক্ষণ করতে গিয়ে এদিন স্তরে স্তরে রাজ্য পুলিশের ভূমিকা নিয়েই প্রশ্ন তোলেন বিচারপতি৷ এমনকি আনিস খান হত্যা মামলার আগা গোড়া যেভাবে পুলিশের বিরুদ্ধে মূল অভিযোগ সামনে এসেছে, তাতে এরপরেও পুলিশি তদন্তের প্রতি মানুষের আস্থা নিয়ে বড়সড় প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন খোদ বিচারপতি৷ যা দেখে আইন বিশেষজ্ঞদের অভিমত, আনিস হত্যা কাণ্ডে ফের আদালতে মুখই পুড়ল রাজ্যের৷
হাওড়ার আমতার ছাত্র নেতা আনিস খানকে গভীর রাত বাড়ি থেকে গ্রেফতারির নামে তিন তলা থেকে ফেলে মেরে ফেলার অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে৷ ওই ঘটনায় ইতিমধ্যে পুলিশ গ্রেফতার করেছে থানার এক হোম গার্ড ও এক সিভিক ভলেন্টিয়ারকে৷ তবে তদন্তের শুরু থেকেই প্রায় প্রতিটি পদক্ষেপে যেভাবে পুলিশের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ সামনে এসেছে এদিন ফের সেই প্রসঙ্গই উত্থাপন করেছেন বিচারপতি৷ আদালত সূত্রের খবর, এদিন শুনানি শেষে মামলার পর্যবেক্ষণ করতে গিয়ে বিচারপতি বলেছেন, ‘‘সবচেয়ে উদ্বেগের বিষয়, একটি মামলার আগাগোড়া অভিযোগ একমাত্র পুলিশের বিরুদ্ধেই। স্বাভাবিকভাবে পুলিশের তদন্তে সাধারণ মানুষ বা অভিযুক্তের পরিবার কতখানি বিশ্বাস রাখবে সেই প্রশ্ন কিন্তু সামনে আসছে৷’’
যদিও জবাবে রাজ্যের তরফ থেকে জানানো হয়, বিধি মেনেই তদন্ত হয়েছে৷ গঠন করা হয়েছে স্পেশ্যাল ইনভেসটিগেশন টিম৷ রাজ্যের দাবি, পুলিসি তদন্তে কোনও গাফিলতি ছিল না৷ বরং নিহত আনিসের বাবা সালেম খানের অভিযোদপত্রেই অসঙ্গতি ছিল৷ প্রথমে থানায় জমা দেওয়া অভিযোগপত্রটি তিনি নিজে লেখেননি। পরে তাঁকে শুনিয়ে অভিযোগপত্রের কিছু সংশোধন করা হয়৷’’
আরও পড়ুন: কীভাবে বন্দুকের নল ভোঁতা করতে হয় আমি জানি, জঙ্গিদের পাল্টা হুঁশিয়ারি মমতার