বিরাট রাজার রাজপাট: তিন অঙ্ক আসবে কী

অধিনায়কত্বের বোঝা আর বইতে হচ্ছে। কেন হচ্ছে না, তা অন্য প্রসঙ্গ। কিন্তু চাপটা কমছে, তা কী অস্বীকার করা যাবে?

0
75

বিশ্বদীপ ব্যানার্জি: ২০১৯ র নভেম্বরে আপাত শেষবার। ইডেনের স্ট্যান্ডে সেদিন উপস্থিত থাকার সৌভাগ্য হয়েছিল। সে সময় অবশ্য ব্যাপারটার একটা অন্য তাৎপর্য— আন্তর্জাতিক মঞ্চে গোলাপি বল ঠেঙিয়ে প্রথম কোনো ভারতীয়র তিন অঙ্কে পৌঁছানো।

এখন ভাবুন দেখি, যদি সেটা লোকটার একেবারে অন্তিমও হয়ে রয়ে গেল! প্রথম লাইনটা থেকে উঠে গেল ‘আপাত’ শব্দখানা!

- Advertisement -

আরও পড়ুন: ভারতীয় ক্রিকেটের দুই অবিসংবাদী সেনাপতি: মিথ্যে বলছে কে

সত্যি বলতে, অভিপ্রেত নয়। সম্ভব তো নয়ই।

বিরাটের হালফিলের অবস্থার সাথে ২০০৭ র মাস্টার ব্লাস্টারের তুলনা টানা যেতেই পারে। বছরটায় একদিনের ক্রিকেটে টানা বারছয়েক ‘নার্ভাস নাইন্টি’র বলি হন সচিন। ৩ বারই ৯৯। অন্যদিকে টেস্টে ইংল্যান্ড এবং পাকিস্তানের বিপক্ষে যথাক্রমে ৯১, ৮২ এবং ৮২। ৮ বছরের অর্জুন তেন্ডুলকর তো বলেই দিয়েছিল, “বাবা, তুমি না ৯৪ তে পৌঁছেই ৬ মেরে দেবে!” এমন অবস্থা।

কিন্তু যেই একবার ‘মাঙ্কিগেটে’র সিডনিতে লকগেট খুলে গেল— তারপর? বেশি না, ৪ বছরে দুই ফর্ম্যাট মিলিয়ে মাত্র ২১টি শতরান।

অন্ততঃ ফিটনেসে বিরাট বহুকাল আগেই টেক্কা দিয়েছেন তাঁর পূর্বসূরীকে। আশা করাই যায়, আরো বছর পাঁচেক অনায়াসে টেনে দেবেন। তাহলে তিনিই বা কেন এ গেরোয় ফেঁসে থেকে আলবিদা বলবেন? সাধে কী তাঁকে উত্তরাধিকার বেছে নিয়েছিলেন স্বয়ং ‘ক্রিকেট-ঈশ্বর’ই! সাধে কী তিনি ‘রানমেশিন’! শত শতরানের চ্যালেঞ্জটা কমপ্লিট যদি নাও হয়। অন্ততঃ আরো ১০/১২টা?

আরও পড়ুন: সচিন রমেশ তেন্ডুলকার: কাজে না আসা শতরানের এক বিতর্কিত অধ্যায়

অধিনায়কত্বের বোঝা আর বইতে হচ্ছে। কেন হচ্ছে না, তা অন্য প্রসঙ্গ। কিন্তু চাপটা কমছে, তা কী অস্বীকার করা যাবে? তাহলে এখন কী করণীয়? কিচ্ছু না। সিটবেল্টটা বেঁধে শুধু ধৈর্য ধরে বসুন। আসবে-ই তারা আসবে-ই!