সবার আগে কথায় কথায় টিম ইন্ডিয়াকে ফেভারিট বলা বন্ধ হোক

0
43

বিশ্বদীপ ব্যানার্জি: বিষ নেই তার কুলোপনা চক্কর। বর্তমানে টিম ইন্ডিয়াকে দেখলে এর থেকে ভাল উপমা মাথায় আসা অসম্ভব। ভাবা যায়, দল সেমিফাইনালের মত মঞ্চে ১৬৮ রানের পুঁজি হাতে থাকা সত্ত্বেও ১০ উইকেটে ধুলিসাৎ হয়, তাদের নিয়েই নাকি আদিখ্যেতার চূড়ান্তে পৌঁছে গিয়েছিলেন কিছু বিশেষজ্ঞ! প্রতিযোগিতার দরকার-ই ছিল না। পারলে তাঁরা যেন বিশ্বকাপ শুরুর আগেই ট্রফিটা তুলে দিতেন রোহিত শর্মার হাতে।

আরও পড়ুন: ভারতকে ট্রফি জেতাতে হলে নয়া ফরম্যাট চালু করতে হবে আইসিসিকে

- Advertisement -

ভারতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ সম্প্রচারকারী চ্যানেল স্টার স্পোর্টসের অবদান এ বিষয়ে অপরিসীম। চ্যানেল কর্তৃপক্ষ বিশ্বকাপের প্রোমোগুলো-ই দেয় এভাবে যেন ২০০৭ এর পর ১৫ বছর বাদে ফের টি-২০ বিশ্বকাপ ট্রফি আসতে চলেছে এ দেশে। কী বলবেন, ব্যবসায়িক স্বার্থ? হ্যাঁ, অবশ্যই চ্যানেলের উদ্দেশ্যে কেবল ব্যবসা করা। ভারত হারল কি জিতল, তাতে কিস্যু এসে যায় না তাদের। সেটাই স্বাভাবিক। তবু এ দেশের বাজারটা ধরতে ভারতবাসীর আবেগ নিয়ে যে নোংরা খেলাটা তারা খেলল, তা কি আজ একটু বেশিই চোখে লাগছে না?

এরই সঙ্গে রয়েছেন কিছু পেটোয়া বিশেষজ্ঞ আর ধারাভাষ্যকার। ভাবতে কেমন অবাক লাগে, এঁরা নাকি নিজের সময়ে ২২ গজের একেকজন দিকপাল ছিল আর আজ লোকে তাঁদের বড় বিশেষজ্ঞ বলে। অথচ তাঁদের অন্ধ দেশভক্তি দেখলে কে বলবে সে কথা? বিশেষ করে, ম্যাচে যখন কঠিন পরিস্থিতিতে পড়ে টিম ইন্ডিয়া তখন তো এঁদের কথা শুনলে গা, হাত-পা রীতিমত জ্বলতে শুরু করে। ভারত যত খারাপ পরিস্থিতিতেই থাকুক না কেন, এঁরা মনেপ্রাণে বিশ্বাস করেন, সে পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠবেই দল। এমনকি যদি বিপক্ষের মাত্র ১ রান কিংবা ১ উইকেট নিতেও বাকি থাকে তখনও এরা বিশ্বাস করেন, নাঃ এখান থেকেও ম্যাচে ফিরতে পারে দল। সত্যি কথা বলতে, রোহিত-বিরাটরা নিজেরাও নিজেদের অতটা ফেভারিট মনে করেন না, যতটা এঁরা করেন তাঁদের।

খাস খবর ফেসবুক পেজের লিঙ্ক:
https://www.facebook.com/khaskhobor2020/

বন্ধ হোক এভাবে কথায় কথায় ভারতীয় দলকে ফেভারিটের তকমা দেওয়া। এ মুহূর্তে সবার প্রথমে এটিই প্রয়োজন। শোয়েব আখতার কোনও ভুল কথা বলেননি। ভারত মোটেই কোনও অপ্রতিরোধ্য দল নয়। ভারতীয় বিশেষজ্ঞদের-ও এটা বুঝতে হবে। ভারতীয় ক্রিকেটের স্বার্থেই বুঝতে হবে। যাতে ক্রিকেটারের মধ্যে কোনও রকম আত্মতুষ্টি বা ওভার কনফিডেন্স বাসা না বাঁধে। একইসঙ্গে জনগণের উদ্দেশ্যেও বার্তা দেওয়া হবে— এই দল নিয়ে আপনাদের বেশি আশা না করাই শ্রেয়। এতে প্রত্যাশার চাপটা অনেক কমে যাবে ক্রিকেটারদের ওপর থেকে।