জন্মেছিলেন একসঙ্গে, কয়েকঘণ্টার ব্যবধানে করোনায় মৃত্যু যমজ ভাইয়ের

দুই ছেলেকে হারিয়ে শোকস্তব্ধ গ্রেগরি রেমন্ড রাফায়েল৷ বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েছেন তাঁর স্ত্রী সুজা৷ জোফ্রেড ও রালফ্রেডকে নিয়েই ছিল তাঁদের জগৎ৷ এখন ওঁদের স্মৃতিটুকুই সম্বল৷

0
280

মেরঠ: ১৯৯৭ সালের ২৩ এপ্রিল৷ মায়ের কোল আলো করে পৃথিবীতে এসেছিল দুই ভাই৷ কিছুদিন আগে একসঙ্গে ২৪ তম জন্মদিন পালন করেন তাঁরা৷ কিন্তু কে জানত এটাই ছিল শেষ জন্মদিন পালন৷ করোনায় আক্রান্ত হয়ে একইদিনে মৃত্যু হল দুই ভাইয়ের৷

গত ১৩ মে উত্তরপ্রদেশের মেরঠের আনন্দ হাসপাতালে মৃত্যু হয় জোফ্রেড এবং রালফ্রেডের৷ দুই ছেলেকে হারিয়ে শোকস্তব্ধ গ্রেগরি রেমন্ড রাফায়েল৷ বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েছেন তাঁর স্ত্রী সুজা৷ জোফ্রেড ও রালফ্রেডকে নিয়েই ছিল তাঁদের জগৎ৷ এখন ওঁদের স্মৃতিটুকুই সম্বল৷ পেশায় শিক্ষক গ্রেগরি জানিয়েছেন, জন্মদিনের পরদিনই দুই ভাইয়ের করোনা রিপোর্ট পজিটিভ আসে৷ বাড়িতেই চিকিৎসা চলছিল৷ কিন্তু শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা কমে যাওয়ায় দু’জনকে ভরতি করা হয় হাসপাতালে৷ গত ১০ মে তাঁদের করোনা রিপোর্ট নেগেটিভ আসে৷ রিপোর্ট দেখে গ্রেগরি ও সুজার এতদিনের উৎকন্ঠা যায় কেটে৷

- Advertisement -

কথায় বলে, সুখ ক্ষণস্থায়ী৷ গ্রেগরি ও সুজার জীবনে ওই সুখ ছিল সাময়িক৷ এর ঠিক তিনদিন পর ভেঙে চুরমার হয়ে যায় তাঁদের জগৎ৷ জোফ্রেড মারা যায়৷ তখনই আরও বড় বিপদের আঁচ পেয়েছিলেন গ্রেগরি৷ স্ত্রীকে বলেছিলেন, ‘‘দেখে নিও, রালফ্রেডও ফিরবে না৷’’ মিলে যায় গ্রেগরির সিক্সথ সেন্স৷ জানান, এতদিন জোফ্রেড যা যা করেছে, পেয়েছে এবং পেরেছে রালফ্রেডও তাই তাই করেছে এবং পেয়েছে৷ ওঁরা অবিচ্ছেদ্য৷ তাই জোফ্রেড মারা যাওয়ার কয়েকঘণ্টা পর মারা যায় রালফ্রেডও৷

জোফ্রেড এবং রালফ্রেডের বয়সের ফারাক ৩ মিনিট৷ দু’জনেই ৬ ফুট লম্বা৷ একসঙ্গে কলেজ যেন৷ কোয়েম্বাটোর থেকে বি.টেক নিয়ে পড়াশোনা সম্পূর্ণ করে মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিতে যোগ দেয় দুই ভাই৷ দু’জনের বিদেশ যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল৷ করোনার সময় বাড়িতেই কাজ করতেন জোফ্রেড৷ রালফ্রেড ছিলেন হায়দরাবাদে৷ চোট পেয়ে কয়েকদিনের ছুটিতে বাড়ি এসেছিল৷ তারপরই মর্মান্তিক সমাপতন৷