ভারতে করোনার নতুন স্ট্রেন আরও বেশি সংক্রামক হতে পারে: এইমস প্রধান

0
328

নয়াদিল্লি: ভারতে হার্ড ইমিউনিটি ‘মিথ’৷ হার্ড ইমিউনিটি তৈরি হতে গেলে অন্তত ৮০ শতাংশ মানুষের শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি হওয়া দরকার৷ তাই ভারতীয়দের শরীরে হার্ড ইমিউনিটি তৈরি হয়েছে বলে যা প্রচার করা হচ্ছে তা মিথ ছাড়া কিছু নয়৷ এমনটাই জানালেন এইমসের (AIIMS) প্রধান ডাঃ রণদীপ গুলেরিয়া৷

সেই সঙ্গে আশঙ্কা প্রকাশ করে তিনি জানান, মহারাষ্ট্রে (Maharashtra) করোনার নতুন স্ট্রেন আরও সংক্রামক এবং বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে৷ শুধু তাই নয়, অ্যান্টিবডি (Antibody) তৈরি হওয়া শরীরেও নতুন স্ট্রেনটি প্রবেশ করে সংক্রমণ ছড়াতে পারে৷

- Advertisement -

ভারতে করোনার নতুন ২৪০টি স্ট্রেন পাওয়া গিয়েছে৷ গত সপ্তাহ থেকে মহারাষ্ট্র-সহ পাঞ্জাব, কেরল, মধ্যপ্রদেশ এবং ছত্তিশগড়ে ফের আতঙ্ক ছড়াতে শুরু করেছে করোনা৷ শনিবার মহারাষ্ট্রে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছে ৬ হাজারের বেশি মানুষ৷ যার জেরে ভারতেও কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা অনেকটা বেড়ে গিয়েছে৷ দেশের মধ্যে মহারাষ্ট্রেই সবচেয়ে বেশি সংখ্যক মানুষ সংক্রমিত হয়েছেন৷ তিন মাস পরে ফের রাজ্যে দৈনিক সংক্রমণ ৬ হাজার ছাড়িয়ে গিয়েছে৷ বিশেষজ্ঞদের দাবি, করোনা সেখানে জিনগত পরিবর্তন ঘটিয়েছে৷ সেজন্যই বেড়েছে সংক্রমণ৷

ভারতে গণ টিকাকরণ শুরু হয়েছে৷ প্রথম দফায় ৩ কোটি স্বাস্থ্যকর্মী ও প্রথম সারির করোনা যোদ্ধাদের টিকার ডোজ দেওয়া হবে৷ এর পরের পর্যায়ে ২৭ কোটি মানুষ পাবেন টিকা৷ তারপর কতজনকে টিকা দেওয়া হবে সেটা হার্ড ইমিউনিটির উপর নির্ভর করে ঠিক করবে সরকার৷ কিন্তু ডাঃ গুলেরিয়ার মতে, হার্ড ইমিউনিটির উপর ভরসা না করে আবার আগের মতো টেস্টিং, ট্রেসিং এবং আইসোলেশনে জোর দেওয়া উচিত সরকারের৷

তাঁকে প্রশ্ন করা হয়, করোনার টিকা নতুন স্ট্রেনের বিরুদ্ধে লড়াই করার ক্ষেত্রে আদৌ সক্ষম কিনা? জবাবে তিনি বলেন, ‘‘এটি সক্ষম৷ কিন্তু কার্যকারিতা হয়তো অনেকটাই কমে যাবে৷ করোনা বিশেষ ক্ষতি করতে পারবে না৷ তবে হালকা উপসর্গ কিছু দেখা দিতে পারে৷’’